পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বামীর সব সম্পত্তিতে ভাগ পাবেন হিন্দু বিধবা নারী। গতকাল বুধবার এমন রায় দিয়েছেন বিচারপতি মিফতাহউদ্দিন চৌধুরীর একক ভার্চুয়াল বেঞ্চ। এতদিন বাংলাদেশে হিন্দু উত্তরাধিকারিত্বে যারা মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধ্যে শাস্ত্রমতে পিন্ডদান করতে পারে তারাই মৃত ব্যক্তির একমাত্র সম্পত্তির উত্তরাধিকার ছিলেন। এক রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘ শুনানি শেষে এ রায় দিলেন আদালত। এক হিন্দু বিধবা নারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ নাফিউল ইসলাম বলেন, হিন্দুদের মধ্যে সাধারণত বিধবা নারীরা স্বামীর বসতভিটার মালিকানা লাভ করতেন। আজকের এ রায়ের ফলে হিন্দু বিধবা নারীরা এখন থেকে কৃষি জমিরও ভাগ পাবেন। যুগান্তকারী এই রায়ের মধ্য দিয়ে ৮৩ বছর পর স্বামীর সম্পত্তির ওপর অধিকার ফিরে পেলেন বাংলাদেশের হিন্দু বিধবা নারীরা। এটি একটি যুগান্তকারী রায়।
মুসলিম ধর্মীয় আইন অনুযায়ী কন্যা সন্তানের মতোই মেয়ে সন্তানরাও সম্পত্তির ভাগ পায়। স্বামীর সম্পত্তিতে আছে স্ত্রীর অধিকার। এমনকি ভরণপোষণের জন্যও রয়েছে আইন। খ্রিস্টান নারীদের ক্ষেত্রেও রয়েছে এমন আইন। কিন্তু হিন্দু মেয়ে সন্তানরা বাবার সম্পত্তি থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত। হিন্দু আইনেই তৈরি হয়েছে এ বাধা। হিন্দু আইনের সবচেয়ে কঠোর অংশ হলো কন্যা সন্তানদের মধ্যে সম্পত্তি বণ্টনের বিষয়টি। ১৯৩৭ সালে প্রণীত এ আইনে বাবার সম্পদের উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয় মেয়েদের। ‘দায়ভাগ আইন’ অনুযায়ী মৃত ব্যক্তির পুত্র থাকলে কন্যারা সম্পত্তির ভাগ পায় না। আর যদি ছেলে না থাকে সে ক্ষেত্রে অবিবাহিত ও ছেলেসন্তান জন্মদানকারী মেয়েরা জীবনস্বত্বে সম্পত্তির অধিকার পায়। বন্ধ্যা, বিবাহিতা বা বিধবা ও কন্যা সন্তান জন্মদানকারী মেয়েরা বাবার সম্পত্তি পান না। অর্থাৎ মেয়ের অধিকার নির্ভর করে ছেলে থাকা বা না থাকার ওপর। তবে ২০১২ সালের আগস্ট মাসে আইন কমিশন হিন্দু নারীদের সম্পত্তির সমান ভাগ দেয়ার জন্য একটি নতুন আইনের সুপারিশ করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।