পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার ঘটনাকে নৃশংস এবং অত্যন্ত জঘন্যতম উল্লেখ করে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, আশা করি যারা প্রকৃত অপরাধী তাদের উপযুক্ত এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে। যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের কোনো ঘটনা সেনাবাহিনীতে কর্মরত অথবা অবসরপ্রাপ্ত আর কারও সঙ্গে না হয়। গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম সেনানিবাস ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট সেন্টারের রেজিমেন্টাল কালার প্যারেড শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে সেনাবাহিনী প্রধান এসব কথা বলেন।
জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, আমি বলব, এটা একটা নৃশংস এবং অত্যন্ত জঘন্যতম ঘটনা ঘটেছে, তদন্ত হচ্ছে। আমি সেনাপ্রধান হিসেবে আশা করতে চাই, তদন্তটা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা হবে। এ হত্যা মামলার তদন্তে সন্তুষ্ট কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্তাধীন বিষয়ে কিছু বলা যাবে না। তদন্তে সন্তুষ্ট কি না এটাও এখন বলা যাবে না। তদন্তে কি বেরিয়ে আসে সেটা দেখি এবং সাজাটা যখন হবে, তখনই সন্তুষ্টির বিষয়টা আসবে। তার আগে সন্তুষ্টির বিষয়ে বলার কোনো সুযোগ নেই
কক্সবাজারের টেকনাফে অবসরপ্রাপ্ত এ সেনা কর্মকর্তা হত্যার ঘটনায় একটি পক্ষ ‘অন্যায্য বিশেষ সুযোগ’ নেওয়ার চেষ্টা করেছিল জানিয়ে তিনি বলেন, এরকম একটি ঘটনা নিয়ে ‘অন্যকিছু করার চেষ্টা’ কাক্সিক্ষত নয়। সেনাপ্রধান বলেন, একটা ঘটনা ঘটলে কেউ না কেউ অন্যায্য বিশেষ সুযোগ নিতে চায়। এবারও অনেকে চেষ্টা করেছিল। হয়তো এখনও করছে। এই ধরনের ঘটনা চলতেই থাকবে, তবে সচেতন মানুষ এগুলো বোঝে। একটা ঘটনা ঘটেছে, অবশ্যই অত্যন্ত নৃশংস, ন্যাক্কারজনক। সেটা শুধু সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেই ঘৃণা জানানো হয়নি, পুলিশপ্রধানও এসেছিলেন, তারাও ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সকলেই এই ঘটনার জন্য মর্মাহত।
সিনহা হত্যাকান্ডের মতো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা রোধে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো সুপারিশ করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান বলেন, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সরকারকে কোনো সুপারিশ দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। কারণ এই ঘটনার পর সরকারের পক্ষ থেকে একটা যৌথ তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিমের প্রতি সেনাবাহিনী এবং আমি নিশ্চিত পুলিশবাহিনীরও সমর্থন আছে। এই তদন্ত দল যেটা উপযুক্ত মনে করবে, তারাই সুপারিশ করবে। এই ঘটনায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর কোনো সদস্যের অস্বাভাবিক কিছু যদি হয়, সেটা আমাদের অভ্যন্তরে তদন্ত হয়। এ ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ আমরা দিয়েছিলাম, তদন্ত হচ্ছে।
এর আগে সেনাবাহিনীর ৬টি ইউনিটের রেজিমেন্টাল কালার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কালার প্রদান করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। চট্টগ্রাম সেনানিবাস ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট সেন্টারের এম আর চৌধুরী প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছালে জিওসি, আর্মি ট্রেনিং এন্ড ডকট্রিন কমান্ড লে. জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এবং জিওসি, ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার চট্টগ্রাম এরিয়া মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমান সেনাপ্রধানকে অভ্যর্থনা জানান। এরপর প্যারেড কমান্ডার লে. কর্নেল মো. রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি চৌকষ দল কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করেন। সেনাবাহিনী প্রধান কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন।
আইএসপিআরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক ইউনিট সমূহ কর্তৃক সেনাবাহিনী তথা দেশমাতৃকার সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য রেজিমেন্টাল কালার প্রদান করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ সিগন্যাল ব্যাটালিয়ন, ১৮ বীর, ২০ বীর, ২১ বীর, ২২ বীর এবং ২৩ বীর কালার প্যারেডে অংশগ্রহণ করে এবং প্রধান অতিথির কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রেজিমেন্টাল পতাকা গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে ঊধ্বর্তন সেনাকর্মকর্তা ও বিভিন্ন পদবীর সেনাসদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।