পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সুইডেন ও ডেনমার্কে ইসলামবিদ্বেষী উগ্রপন্থী গোষ্ঠীরা পবিত্র কুরআন পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন। নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, পশ্চিমের দেশগুলোতে পরিকল্পিতভাবেই এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা কিছু দিন পর পর ঘটানো হয়ে থাকে। এতে তাদের একটাই উদ্দেশ্য, তারা যেকোনভাবে শান্তিপ্রিয় মুসলমানদেরকে বিক্ষুব্ধ করে তুলে চরমপন্থার দিকে ঠেলে দিতে চায়। তারা বলেন, এটা অত্যন্ত জঘন্য ও নোংরা অপকৌশল।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম: জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ’র মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী সুইডেন ও ডেনমার্কে ইসলামবিদ্বেষী উগ্রপন্থী গোষ্ঠীরা মহাগ্রন্থ পবিত্র কুরআন অবমাননার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, পশ্চিমের দেশগুলোতে পরিকল্পিতভাবেই এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা কিছু দিন পর পর ঘটানো হয়ে থাকে। এতে তাদের একটাই উদ্দেশ্য, তারা যেকোনভাবে শান্তিপ্রিয় মুসলমানদেরকে বিক্ষুব্ধ করে তুলে চরমপন্থার দিকে ঠেলে দিতে চায়। তিনি বলেন, এটা অত্যন্ত জঘন্য ও নোংরা অপকৌশল। আমি বুঝতে পারি না, তারা কি করে নিজেদেরকে সভ্য বলে দাবি করে। তারা নিজেদের সভ্য বলে দাবি করা ভন্ডামি ছাড়া কিছু নয়। অথচ কোন ধর্ম ও ধর্মগ্রন্থ নিয়ে এমন বর্বরতা আইয়্যামে জাহিলিয়্যাতেও ছিল না।
জমিয়ত মহাসচিব বলেন, ইসলাম ও মুসলমানের সৌন্দর্য এখানে যে, তারা কখনো কোন আসমানী কিতাবের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করেন না। কারণ, মুসলিমরা আল্লাহ তাআলার সমস্ত কিতাব ও সকল পয়গম্বরগণের উপর বিশ্বাস ও শ্রদ্ধাবোধ বজায় রেখে চলেন। তাছাড়া প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে অন্য কোন ধর্মগ্রন্থ ও ধর্মীয় স্থান নিয়ে এমন বর্বর কান্ডে জড়িত থাকার নজির মুসলমানদের ক্ষেত্রে নেই।
পবিত্র কুরআনে আগুন দেয়ার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সুইডিশ সরকারের পদক্ষেপকে লোকদেখানো আখ্যায়িত করে আল্লামা কাসেমী বলেন, দেশটির সরকার এই বর্বরতারোধে আন্তরিক হলে এটা সংঘটন কখনোই সম্ভব হতো না। তিনি ইউরোপকে সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি নিশ্চিতে উগ্রবাদি ডানপন্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
ইসলামী ঐক্যজোট : সুইডেনে মালমো শহরে পবিত্র কুরআনে অগ্নি সংযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ইসলামী ঐক্যজোটের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী বলেছেন, বিশ্বজুড়ে ইসলাম ফোবিয়া ও মুসলিম বিদ্বেষ বেড়েই চলেছে। পবিত্র মুহাররম মাসে সুইডেনে পবিত্র গ্রন্থ আল কুরআনের কপিতে আগুন দেয়া হয়েছে। দেশটির মুসলিম বিরোধী উগ্র ডানপন্থী দল হার্ড লাইনের নেতা রাসমেস পেলুডানের উস্কানিতেই তার দলের নেতাকর্মীরা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। তাকে গ্রেফতার করা হলেও তার বিরুদ্ধে কঠিন কোন অভিযোগ আনা হয়নি। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কুরআন পুড়ানো ও অবমাননায় জড়িত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে সুইডেন সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, সুইডেনের উগ্র সন্ত্রাসীরা আগুন নিয়ে খেলা করছে। এই আগুনে তারাই জ্বলে পুড়ে ছাই হবে ইনশাল্লাহ। ইতিহাস স্বাক্ষী কুরআনের বিরুদ্ধাচারণ ও অবমাননা করে কেউ রেহাই পায়নি এই শয়তানেরাও পাবে না। সোমবার বিকেলে লালবাগস্থ কার্যালয়ে ‘আশুরার তাৎপর্য ও শিক্ষা’ শীর্ষক এক আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রশিদ মজুমদার, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাওলারা এহতেশাম সারওয়ার, যুগ্ম মহাসচিব মুফতী তৈয়্যব হোসাইন, মাওলানা আবুল কাশেম, মাওলানা শেখ লোকমান হোসাইন, মাওলানা আলতাফ হোসাইন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কাইয়্যূম, মুফতি জিয়াউল হক মজুমদার, মাওলানা রফিকুল ইসলাম, মাওলানা আবুল হাসান তালুকদার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।