পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, করোনার সময় অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে ট্রেন চলাচলের যে ব্যবস্থা হয়েছে তা অব্যাহত রাখা হয়েছে। সেজন্য ভাড়া বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেই আজ মঙ্গলবার থেকে সব আসন পূর্ণ করে বাস চালানোর সিদ্ধান্ত হলেও ট্রেনে এখনই সেরকম কোনো সিদ্ধান্ত আসছে না।
গতকাল সোমবার রেল ভবনে বাংলাদেশ রেলওয়ের ৫০টি ব্রডগেজ ও ৭৫টি মিটারগেজ লাগেজ ভ্যান ক্রয়ের চুক্তিপত্র সই অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। রেলমন্ত্রী বলেন, সব ট্রেন আমরা পর্যায়ক্রমে চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। করোনাভাইরাস সংক্রমণ এখন উপরের দিকে যাবে না নিচের দিকে নামবে তা এখনও আমার নিশ্চিত নই। গণপরিবহন আসন পূর্ণ করে আগের ভাড়ায় চলাচলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, আমরা তেমন কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিনি। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা রেলের ভাড়া বৃদ্ধির কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি, তবে এ বিষয়ে গবেষণা চলছে ভবিষ্যতের জন্য। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে ট্রেন চালাতে। তিনি পণ্য পরিবহন করে রেলের আয় বাড়াতে বলেছেন। রেলমন্ত্রী বলেন, কৃষকের পণ্য সারাদেশে পৌঁছে দিতে লাগেজ ভ্যান ক্রয় করছে রেলওয়ে। লাগেজ ভ্যানের মাধ্যমে কম খরচে গ্রাম থেকে ঢাকায় পণ্য নিয়ে আসতে পারবে কৃষক। ফলে কৃষকরা লাভবান হবে। পাশাপাশি রাজধানীবাসীও ফ্রেশ পণ্য পাবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লাগেজ ভ্যান এসে পৌঁছাবে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯ জোড়া ট্রেন চালু হলে মোট ৬৭ জোড়া ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
এদিকে, বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ৭৫টি মিটারগেজ ও ৫০টি ব্রডগেজ লাগেজ ভ্যানসহ মোট ১২৫টি লাগেজ ভ্যান সংগ্রহে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। রেলওয়ের ভ্যানগুলো স্টেইনলেস স্টিল বডি, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, উচ্চগতি সম্পন্ন বগি এবং অটোমেটিক এয়ার ব্রেক সিস্টেম সম্বলিত হওয়ায় কৃষিপণ্য পরিবহনে বিশেষভাবে উপযোগী।
গতকাল সোমবার রেলভবনে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনের উপস্থিতিতে এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশের পক্ষে প্রকল্প পরিচালক মো. মিজানুর রহমান এবং সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান চীনের সিএনটিক-রেলটেকো-জিনসি, যৌথ কোম্পানীর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ইয়াং বিং। এ প্রসঙ্গে রেলপথ মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ রেলওয়েকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে রেলওয়ের উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। যাত্রী সেবার মান উন্নয়নসহ রেলপথ নির্মাণ ও সংস্কারের পাশাপাশি মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রেও ব্যপক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এরই অংশ হিসাবে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এর সহযোগিতায় ১২৫টি লাগেজ ভ্যান সংগ্রহের অনুমোদন করেছেন। সিডি-ভ্যাট ছাড়া ভ্যানগুলো সংগ্রহে খরচ হচ্ছে ৩৫৮ কোটি টাকা। চুক্তি স্বাক্ষরের দিন থেকে ২০ মাসের মধ্যে এগুলো সরবরাহ শুরু হরে এবং ২৭ মাসের মধ্যে শেষ হবে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজার সভাপতিত্বে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামানসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।