পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম নগরীর প্রধান সড়কের সিমেন্ট ক্রসিং থেকে সল্টগোলা ক্রসিং অংশে বেহাল অবস্থা। বড় বড় গর্তে আটকা পড়ছে ভারী যানবাহন। আর তাতে দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি চট্টগ্রাম বন্দরকে ঘিরে তীব্র যানজট স্থায়ী রূপ নিয়েছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত টানা যানজটে আটকা পড়ছে আমদানি-রফতানি পণ্যবাহী ভারী যানবাহন। নগরীর সব চেয়ে বেশি ঘনবসতিপূর্ণ ওই এলাকার বাসিন্দা এবং চট্টগ্রাম ও কর্ণফুলী ইপিজেডের লাখ লাখ শ্রমিকের দুর্ভোগের শেষ নেই। সড়কের দুপাশের বাসিন্দা এবং ব্যবসায়ীরা পড়েছেন মহা বিপাকে। দুটি ইপিজেডের কাঁচামাল ও উৎপাদিত পণ্য পরিবহন এবং পতেঙ্গা এলাকায় গড়ে উঠা বেসরকারি কন্টেইনার ডিপো থেকে বন্দরমুখী পণ্যপরিবহন ব্যাহত হচ্ছে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মেগা প্রকল্প এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজে ধীরগতি আর সমন্বয়নীতার কারণে এই বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
করোনার মধ্যেই নগরীর গুরুত্বপূর্ণ প্রধান সড়কের ব্যস্ততম অংশে কাজ শুরু করে সিডিএ। সড়কের মাঝের বড় অংশ দখলে নিয়ে সেখানে এক্সপ্রেসওয়ের কাজ চলছে। দুই পাশের সরু অংশে যানবাহন চলাচল করছে। টানা বৃষ্টিতে পানিবদ্ধতা আর ভারী যানবাহনের চাকায় সরু অংশ ভেঙে একাকার। সড়কের পিস থেকে শুরু করে ইট পর্যন্ত উঠে গেছে। আর তাতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ভারী যানবাহনের চাকায় এসব গর্ত আরও বড় হচ্ছে। বৃষ্টি হলে সড়কজুড়ে থৈ থৈ পানি। সিমেন্ট ক্রসিং থেকে ইপিজেড পর্যন্ত যেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টার পার হয়ে যাচ্ছে।
যানবাহন চালক ও স্থানীয়রা বলছেন, সড়কে বড় বড় গর্ত ভরাটের কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না সিডিএ। পাইপ লাইনের কারণে নালা জমে পানি আটকে পানিবদ্ধতা স্থায়ী রূপ নিয়েছে। এতে যানজটে পুরো এলাকা স্থবির হয়ে পড়ছে। যানজট সিমেন্ট ক্রসিং থেকে কাটগড় এবং সল্টগোলা ক্রসিং থেকে কাস্টম মোড় হয়ে বারিক বিল্ডিং মোড় পর্যন্ত বিস্তৃত হচ্ছে। এই সড়কে প্রতিদিন হাজার হাজার ভারী যানবাহন চলাচল করছে। গর্তে কোন যানবাহনের চাকা আটকা পড়লে দ্রুত জট ছড়িয়ে পড়ছে। বিপাকে পড়ছেন বিমান বন্দরগামী যাত্রীরা।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক (বন্দর) বিভাগের উপ-কমিশনার তারেক আহম্মেদ বলেন, সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। যানজট নিয়ন্ত্রণ করে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ট্রাফিক বিভাগকে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে। ওই এলাকার প্রভাবে আশপাশের সড়কগুলোতেও যানজট হচ্ছে। ট্রাফিক সদস্যরা রাত দিন পরিশ্রম করছে।
সম্প্রতি চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন ওই এলাকা পরিদর্শন করে জনদুর্ভোগ লাঘবে সব সংস্থার সাথে সমন্বয় করে এক্সপ্রেসওয়ের কাজ করার নির্দেশনা দেন। প্রকৌশলীরা জানান, সিমেন্ট ক্রসিং থেকে ইপিজেড পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে নালায় ওয়াসার পাইপ লাইনের কারণে পানি নিস্কাশন ব্যাহত হওয়ায় রাস্তায় হাঁটু সমান পানি জমে যাচ্ছে। তাতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সিটি প্রশাসক চট্টগ্রাম ওয়াসাকে তাৎক্ষণিক পাইপ অপসারণ করতে বলেন। তবে এখনও পাইপ লাইন সরেনি।
এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, পানি সরতে না পারায় ওই এলাকায় সড়ক ভেঙ্গে গেছে। প্রতিদিন হাজার হাজার ইট দিয়ে গর্ত ভরানোর চেষ্টা হচ্ছে। তবে বৃষ্টির পানির কারণে ইট সরে ফের গর্ত হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি থামলে সড়ক পুরোপুরি যানবাহন চলাচলের উপযোগী করা হবে। প্রকল্পের ওই অংশের কাজ দ্রুত শেষ করা হবে বলেও জানান তিনি।
তিন হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকার এ প্রকল্পটির কাজ শুরু হয় গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি। নগরীর বিমান বন্দর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার এ এক্সপ্রেসওয়ের মাত্র ৫ কিলোমিটার কাজ শেষ হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।