পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা : ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় এ বছর বন্যায় কৃষি খাতে প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে কৃষি অধিদপ্তর প্রতিবেদন দিয়েছেন। অবশ্য, উপজেলার চরঝাউকান্দা ইউনিয়নের চর কালকিনিপুর মৌজা এবং গাজীরটেক ইউনিয়নের জয়দেব সরকারের ডাঙ্গী গ্রামে চলতি বন্যায় প্রায় দেড়শ’ একর জমির আবাদী পাট ফসল পদ্মা নদীর তীব্র ভাঙনে বিলীন হওয়ার হিসাব প্রতিবেদনে উল্লেখ নেই। তাই উপজেলা কৃষিখাতে উক্ত ক্ষতির পরিমাণ যোগ হলে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ৫ কোটি টাকা। এ বছরের বন্যায় উপজেলার অধিকাংশ কৃষক বিশেষ করে চরাঞ্চলের কৃষকরা সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছেন। বন্যার্ত কৃষকরা এখন ১০ কেজি ত্রাণের চাল নেশায় দিন কাটাচ্ছেন। উপজেলার চরহরিরামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আমির খান জানান, “চরের কৃষকরা সব ফসল হারিয়ে এখন বেঁচে থাকার আশায় শুধু একটু ত্রাণ চাচ্ছে, পানিবন্দি পরিবারে ত্রাণের চাল নিয়ে গেলে তাদের মধ্যে উচ্ছাসের বন্যা দেখা যায়। সে দৃশ্য বা আনন্দ কাউকে বোঝানো সম্ভব নয়”। তিনি আরও জানান, বন্যায় সরকারি হিসাব যাই দেখানো হউক, অত্র ইউনিয়নে অন্ততঃ ৬ হাজার কৃষক সর্বশান্ত হয়ে গেছে”। আর চরঝাউকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ফরহাদ হোসেন মৃধা জানান, “বন্যায় ইউনিয়নে শত শত একর জমির ফসল স্বমূলে বিনষ্ট হয়ে গেছে, পদ্মা নদীর উত্তাল তরঙ্গ পারি দিয়ে সম্পূর্ণটা প্লাবিত ইউনিয়নে কৃষি অফিসের মাঠ কর্মীরা ঢুকতেও সাহস করে নাই, কাজেই সরকারি প্রতিবেদনটি সঠিক নয় বলেও তিনি দাবি করেন”। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, উপজেলায় মোট ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের সংখ্যা ৩ হাজার ৩শ’ ৬৫ জন। মোট আবাদী ফসলী জমির পরিমাণ ছিল ৭ হাজার ৩শ’ ১৮ একর। এরমধ্যে আমন বীজতলা, রোপা আমন ধান, আউশ ধান, বোনা আমন, পাট, সবজি মাঠ, তিল ও অন্যান্য ফসল আবাদী ছিল। বন্যায় ১ হাজার ৭শ’ ৪৩ একর জমির ফসল বিনষ্ট হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ ফসলের মধ্যে আমন বীজতলা রয়েছে প্রায় ২০ একর, রোপা আমন ধান ১শ’ ৪৬ একর জমি, আউশ ধান ২ হাজার ৭শ’ ৬৬ একর, বোনা আমন ৪ হাজার ২শ’ ৫০ একর জমি এবং অন্যান্য ১শ’ ৪১ একর জমির ফসল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে সরকারি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এচাড়া সম্পূর্ন ক্ষতিগ্রস্থ ফসলী জমির পরিমান প্রায় ১ হাজার ৩শ’ ৩৩ একর, আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ ৫শ’ ১১ একর মোট ক্ষতির পরিমান ১ হাজার ৪শ’ ৮৫ একর। বন্যায় বিনষ্ট ফসলী জমির উৎপাদন ক্ষতির পরিমান ১ হাজার ৩শ’ ৫ মে.টন. ফসল। এরমধ্যে আমন বীজতলা ১শ’ ৬০ মে.টন. রোপা আমন ৩০ মে.টন. আউশ ৬শ’ ৪২ মে.টন. বোনা আমন ৩শ’ ২৫ মে.টন. ও অন্যান্য ফসল ১শ’ ৫০ মে.টন। ্বন্যায় বিনষ্ট এসব ফসলের বাজার মূল্য রয়েছে প্রায় ৩ কোটি টাকা। এরসাথে উপজেলার চরঝাউকান্দা ইউনিয়নের চর কালকিনিপুর মৌজায় ও গাজীরটেক ইউনিয়নের জয়দেব সরকারের ডাঙ্গী গ্রামের ভাঙনের শিকার ফসলী জমি ও শষ্যের হিসাব যোগ হয়ে বন্যায় কৃষিখাকে ক্ষতির পরিমান দাড়াবে প্রায় ৫ কোটি টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।