পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে এবার তাজিয়া মিছিল স্থগিত করায় শিয়া সম্প্রদায়কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। মহররম মাসের ১০ তারিখ বা আশুরার দিনে কারবালা ময়দানের শোকাবহ ঘটনা স্মরণে শিয়া মুসলিম সম্প্রদায় প্রতি বছর রাজধানীতে শোকের মিছিল বা তাজিয়া মিছিল বের করে। লন্ডনে অবস্থানরত ডিএসসিসির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস গতকাল শিয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের এ বছর তাজিয়া স্থগিত করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে এ বার্তা পাঠান।
বার্তায় ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা হচ্ছে, মানুষের সামগ্রিক কল্যাণ। তাই ইসলাম ধর্মের প্রকৃত শিক্ষাকে হৃদঙ্গম করার মাধ্যমে শিয়া মুসলিম সম্প্রদায় এবছর তাজিয়া মিছিল না করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ স্বত্বা হিসেবে মানুষের প্রতি মানুষের দায়িত্ববোধ প্রদর্শনের বৃহত্তম পরিচায়ক এবং জনগণ তথা দেশের প্রতি দায়িত্বশীল ও কর্তব্যপরায়ণ আচরণের বহিঃপ্রকাশ। সেজন্য আমি শিয়া মুসলিম সম্প্রদায়কে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।
পবিত্র আশুরা স্মরণে শিয়া মুসলিম সম্প্রদায় যে তাজিয়া আয়োজন করে থাকেন তা ধর্মীয় ও সামাজিক পটভূমিতে অত্যন্ত তাৎপর্যবাহী উল্লেখ করে মেয়র তাপস বলেন, বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের শুদ্ধতম মহামানব আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর অত্যন্ত স্নেহের দৌহিত্র ছিলেন হযরত ইমাম হাসান (রা.) ও হযরত ইমাম হোসেইন (রা.)। অথচ হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম কারবালার রক্তাক্ত ময়দানে ইয়াজিদের সৈন্যরা নির্মমভাবে হত্যা করে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসাইন (রা.) ও তার পরিবারের সদস্য ও অনুসারীদের। সেদিন অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় তারা শাহাদত বরণ করেছিলেন। তাই সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর জন্য এই দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও শোকাবহ।
আগামী ৮, ৯ ও ১০ মহররম স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে ইমামবাড়াগুলোতে সীমিত পরিসরে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে তাপস বলেন, শিয়া মুসলিম সম্প্রদায় এবার সম্প্র্ণূ ভিন্ন পরিস্থিতিতে পবিত্র আশুরা পালন করতে যাচ্ছে। তাই শিশু ও ষাটোর্ধ্ব এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের সীমিত পরিসর এই আয়োজনেও অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকার আহবান জানান। পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসলে নিশ্চয়ই আগামীতে আবারো যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায ও ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে আপনারা তাজিয়া আয়োজন করতে পারবেন। সামগ্রিক কল্যাণে সাময়িক এই ত্যাগ স্বীকার দেশ ও জনগণের জন্য মঙ্গলময় হবে বলেই তিনি আশাবাদব্যক্ত করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।