পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির নতুন সভাপতি শাহাদাৎ সা. সম্পাদক বক্কর
শফিউল আলম : দীর্ঘ ৭ বছর পর অবশেষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। নয়া কমিটিতে ডা. শাহাদাৎ হোসেনকে সভাপতি, আবু সুফিয়ানকে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও আবুল হাশেম বক্করকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। গতকাল (শনিবার) ঢাকায় বিএনপির স্থায়ী কমিটি ঘোষণার পর দলের মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চট্টগ্রাম মহানগরীর নয়া কমিটির তিন নেতার নাম ঘোষণা করেন। তবে এবারও চট্টগ্রাম নগর পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেল না।
এদিকে বিএনপির ১৯ সদস্যের স্থায়ী কমিটিতে গতকাল নতুন মুখ হিসেবে স্থান করে নিলেন বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের দুই নেতা। তারা হলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির বিদায়ী সভাপতি ও চেয়ারপরসনের উপদেষ্টা সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও বিদায়ী যুগ্ম মহাসচিব সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাউদ্দিন আহমেদ। তাছাড়া নতুন কমিটিতে দলের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষিত ৩৫ জনের মধ্যে বৃহত্তর চট্টগ্রাম থেকে এবার নতুন মুখ এসেছেন মীর মোহাম্মদ নাছিরউদ্দিন, রুহুল আলম চৌধুরী ও গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী। কেন্দ্রীয় কমিটিতে নবাগত সদস্য হলেন হুম্মাম কাদের চৌধুরী।
নয়া কমিটিতে ঠাঁই পাওয়া স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং বিশেষ করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির নবগঠিত কমিটি কেন্দ্র থেকে ঘোষণা আসার পর থেকেই বৃহত্তর চট্টগ্রামে বিএনপির নেতা-কর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের মাঝে এ নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা, এমনকি সমালোচনা এবং ভাল-মন্দ দিকগুলোর বিশ্লেষণ শুরু হয়ে গেছে। চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগসহ অপরাপর দলীয় নেতা-কর্মীরা ছাড়াও রাজনীতি সচেতন চাটগাঁবাসী বিএনপির নতুন কমিটি নিয়ে আলাপচারিতায় মেতে উঠেছে। অবশ্য স্থায়ী কমিটিতে আমীর খসরু ও সালাউদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে মীর নাছির, মহানগর সভাপতির পদে ডা. শাহাদাৎ হোসেনের ঠাঁই পাওয়াকে দলের বিগত কর্মকা-ে ও নেতৃত্বে ‘সক্রিয়তা’ ও ‘ত্যাগে’র দৃষ্টিভঙ্গিতে সার্বিকভাবে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন চট্টগ্রামের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। গতকাল তারা অনেকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন, দলীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বে চট্টগ্রাম অঞ্চলের নতুন স্থান পাওয়া নেতৃবৃন্দ আন্দোলনে কিংবা দলের সাংগঠনিক কর্মকা- উভয় ক্ষেত্রে এবারের নতুন নেতৃত্ব আরও সময়োপযোগী ভূমিকা পালনে সমর্থ হবেন। উজ্জীবিত হবেন কর্মী-সমর্থকরাও। অবশ্য চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক যুবদল নেতা আবুল হাশেম বক্করের স্থান লাভ ‘যথার্থ’ কিনা তা নিয়ে কর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়াও লক্ষ করা গেছে। তবে দলে তার ত্যাগের দিকটিও ইতিবাচক আলোচনায় উঠে আসছে।
এদিকে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির ৭ বছরের পুরনো ও অসম্পূর্ণ কমিটি বিলোপ করে গতকাল নয়া কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফ থেকে। এতে ডা. শাহাদাৎ হোসেনকে সভাপতি ও আবু সুফিয়ানকে সিনিয়র সহ-সভাপতি ও আবুল হাশেম বক্করকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। গতকাল দলের মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চট্টগ্রাম মহানগরী বিএনপির নতুন কমিটির তিন নেতার নাম প্রকাশ করেন।
২০১০ সালে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এর পরই সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে সভাপতি এবং এককালের ছাত্রদল নেতা ডা. শাহাদাৎ হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। আর মহানগর বিএনপির বিদায়ী সভাপতি আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী স্থান পেলেন দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটিতে। অবশ্য এ নিয়ে আগেও অনুরূপ হতে পারে মর্মে জল্পনা ছিল। আগের কমিটির অপর তিন নেতা ছিলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি দস্তগীর চৌধুরী এবং সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান ও শামসুল আলম। কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি দস্তগীর চৌধুরী ২০১১ সালে ইন্তেকাল করেন। অপর ৪ জনকে নিয়েই কমিটি আরও ৬ বছর অতিক্রম করে। সম্প্রতি বিএনপির হাইকমান্ড চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ হোসেনকে কেন্দ্রীয় (চট্টগ্রাম বিভাগীয়) সাংগঠনিক সম্পাদক নিযুক্ত করে। এবার ডা. শাহাদাৎ আরও অধিকতর ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বিবেচিত পদ চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি হলেন। আর দস্তগীরের ইন্তেকালের পর সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে থাকা আবু সুফিয়ান স্বপদেই বহাল রয়েছেন। আবুল হাশেম বক্কর দীর্ঘদিন চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। সম্প্রতি বিএনপির কাউন্সিলের পর তাকে কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ দেয়া হয়। এবারের পরিবর্তনে তিনি চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের পদ পেলেন।
এদিকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান পদে নতুন কমিটিতে ঠাঁই পাওয়া ৩৫ জনের মধ্যে বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে রয়েছেনÑ সাবেক মন্ত্রী এম মোরশেদ খান, আবদুল্লাহ আল নোমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূত মীর মোহাম্মদ নাছিরউদ্দিন, মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী ও গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী।
নবগঠিত ৭৩ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদে বৃহত্তর চট্টগ্রাম থেকে ঠাঁই করে নিয়েছেনÑ সাবেক হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম, বেগম রোজী কবির, গোলাম আকবর খন্দকার, সাবেক বিজিএমইএ সভাপতি এসএস ফজলুল হক। বিএনপির ঘোষিত ৫০২ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে স্থান পেয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য (মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদ- কার্যকরকৃত) সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পুত্র হুম্মাম কাদের চৌধুরী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।