পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শোকের মাস আগস্ট
স্টাফ রিপোর্টার : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের পিতা-মাতার আচরণ দিয়ে মানুষকে তাদের হৃদয়ের কাছে টানার এক অসাধারণ ক্ষমতা ছিল। বঙ্গবন্ধুকে এভাবেই মূল্যায়ন করেন তার ব্যক্তিগত সহকারী এএসএম মহিতুল ইসলাম। মহিতুল ১৯৭৪ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাত পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং বঙ্গবন্ধু ও তার স্ত্রীকে খুব কাছ থেকে দেখার বিরল সুযোগ পেয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, দায়িত্বপালনের একপর্যায়ে তিনি (মহিতুল) নিজেকে মহান নেতার সন্তান হিসেবে মনে করতেন। দায়িত্বপালনের এক বছর সাত মাস এই নেতা ও তার স্ত্রীর কাছ থেকে পিতা-মাতার স্নেহ ও ভালোবাসা পেয়েছেন বলে জানান তিনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে একদল বিপথগামী সৈন্য বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের প্রায় সকল সদস্যকে হত্যা করে।
মহিতুল ইসলামের লেখা এবং অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম সম্পাদিত ‘বঙ্গবন্ধুর হাতের দলিল’ শীর্ষক গ্রন্থে বলা হয়, তার সহকর্মী অফিসে যোগদান না করা পর্যন্ত তার ডিউটি ছিল সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত। বঙ্গবন্ধুর গাড়ি দুপুরে করিডোরে এসে পৌঁছে। বঙ্গবন্ধু তার নিরাপত্তা কর্মকর্তা ফারুক আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে গাড়ি থেকে নামেন। তিনি বারান্দা পার হয়ে সিঁড়ির দিকে যান। তিনি সিঁড়ির কাছ থেকে ফিরে মহিতুলের অফিস কক্ষের কাছে ফিরে আসেন এবং জানতে চান ঈদের তিন দিন পরেও তিনি কেন গ্রামের বাড়িতে যাননি।
মহিতুল বলেন, এ সময় তিনি কিছু সময় নীরব থেকে আকস্মিকভাবে বলেন, আম্মা (বেগম মুজিব) বাড়ি যেতে নিষেধ করেছেন। বঙ্গবন্ধু তার অফিস কক্ষ থেকে চিৎকার করে বেগম মুজিবকে ডেকে পাঠান। বেগম মুজিব সঙ্গে সঙ্গে তার অফিস কক্ষে আসেন। এ সময় বঙ্গবন্ধু তার কাছে জানতে চান, কেন মহিতুলকে বাড়ি যেতে দেয়া হয়নি। বেগম মুজিব আমার দিকে তাকিয়ে হেসে দিলেন এবং বললেন, ‘যা বাড়ি যা।’ তখন আমি বুঝতে পারলাম, বেগম মুজিব কীভাবে একজন মায়ের মতো আমাকে রক্ষা করলেন এবং আমাকে তার নিজের ছেলের মতো স্নেহ করতেন।
মহিতুল বলেন, এর আগে তিনি এবং তার অপর দুই সহকর্মী ঈদে ঢাকা থাকার সিদ্ধান্ত নেন। এ কথা তারা বেগম মুজিবকে জানিয়েছিলেন। বেগম মুজিব তাদের ঈদবাজার করার জন্য কিছু টাকাও দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।