Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রিজার্ভ চুরির দেড় কোটি ডলার ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ

প্রকাশের সময় : ৭ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : প্রমাণপত্র দেয়া মাত্র রিজার্ভের চুরি যাওয়া দেড় কোটি ডলার ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ। ম্যানিলা সফররত বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের বরাতে এ তথ্য জানা গেছে। তারা জানান, কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেই জব্দ হওয়া অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেরত পাবে। এসময় ফিলিপাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জন গোমেজ জানান, ক্যাসিনো জাংকেট অপারেটর কিম অংয়ের ফেরত দেয়া দেড় কোটি ডলার ফেরত নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ। অর্থ উদ্ধারে শেষ পর্যায়ে তারা। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরিতে রিজাল ব্যাংক দায়ি বলেও উল্লেখ করেন। অর্থ উদ্ধারে ফিলিপাইন সফরে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা দেবপ্রসাদ দেবনাথ, ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিটের আবদুল রব ও আইনজীবী আজমালুল হোসেন।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশনকে (আরসিবিসি) ১ বিলিয়ন পোসো বা ২ কোটি ১২ লাখ ৮৮ হাজার ডলার জরিমানা করেছে দেশটির ব্যাংক নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৭০ কোটি টাকা (১ ডলার ৮০ টাকা ধরে)।
ফিলিপাইনের ইতিহাসে এটি এ যাবতকালের কোন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় জরিমানার ঘটনা। গত শুক্রবার ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ জরিমানা করেছে বলে দেশটির গণমাধ্যম ইনকোয়ারারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এক বছরের মধ্যে দুটি সমান ভাগে রিজাল ব্যাংককে জরিমানার অর্থ পরিশোধ করতে হবে। মনিটরি বোর্ডে অনুমোদন হওয়ার মধ্যে প্রথম ৫০০ মিলিয়ন পেসো ১ কোটি ৬ লাখ ডলার এবং বাকী অর্থ পরবর্তী ১ বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
রিজাল ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মনিটরি বোর্ডের ১৩৯২ নং প্রবিধানমালা অনুযায়ী তারা জরিমানা পরিশোধ করবে। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ব্যাংকের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বড় জরিমানার ঘটনা।’ বিবৃতিতে বলা হয়, বিশেষ তদন্তের প্রেক্ষিতে নজরদারিমূলক শাস্তির পদক্ষেপ হিসাবে আরসিবিসিকে ১ বিলিয়ন পেসো জরিমানার বিষয়টি ব্যাংকের মনিটরি বোর্ড অনুমোদন দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিশেষ তদন্ত শেষ হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরির বিষয়ে ‘নিউ সেন্ট্রাল ব্যাংক অ্যাক্ট’ পরিপালন না করায় রিজাল ব্যাংকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা এবং কার্যকর নজরদারির বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত হয়েছে’ ব্যাংকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারির শুরুতে সুইফট সিস্টেম ব্যবহার করে ৩৫টি ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রায় এক বিলিয়ন ডলার সরানোর চেষ্টা হয়। এরমধ্যে চারটি বার্তার মাধ্যমে ফিলিফাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকে সরিয়ে নেয়া হয় ৮১ মিলিয়ন ডলার। আর একটি বার্তার মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার একটি ‘ভুয়া’ এনজিওর নামে ২০ মিলিয়ন ডলার সরিয়ে নেয়া হলেও বানান ভুলের কারণে সন্দেহ হওয়ায় শেষ মুহূর্তে তা আটকে যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রিজার্ভ চুরির দেড় কোটি ডলার ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ