পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
২শ’ মুনাজ্জেম এখনো দেশে ফিরেনি : মালিকরা বিপাকে
স্টাফ রিপোর্টার : সাউদিয়া এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স এবার অত্যন্ত চাপের মুখে গ্রাহকদের কাছ থেকে পুরো টাকা নিয়ে আগাম হজ টিকিট বিক্রি করছে। সাউদিয়ার নিয়মিত গ্রাহক ট্রাভেলস এজেন্টগুলো ১৫% টাকা জমা দেয়ার পরেও হজ ভিসা ইস্যুর এক সপ্তাহ আগেই পুরো টাকা পরিশোধ করে হজ টিকিট ক্রয় করতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছে। এ ব্যাপারে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় নির্বিকার। গতকাল পর্যন্ত প্রায় দুশ’ হজ এজেন্সির মুনাজ্জেম মক্কা-মদিনায় বাড়িভাড়া করে বারকোড নিয়ে দেশে ফিরেননি। এসব হজ এজেন্সির হজযাত্রীদের হজ টিকিট কিভাবে এক সপ্তাহ আগে ক্রয় করা সম্ভব তা’ কেউ খতিয়ে দেখছে না। ধার দেনা করে গত শুক্রবার দিবাগত গভীর রাত পর্যন্ত সাউদিয়ার অফিস থেকে ৮, ৯ ও ১০ আগস্টের হজ টিকিট অগ্রিম ক্রয় করতে গিয়ে ট্রাভেলস এজেন্টগুলোকে গলদঘর্ম অবস্থায় পড়তে হয়েছে। সাউদিয়া কর্তৃপক্ষ এবারই প্রথম গত দু’দিন এসএমএসÑএর মাধ্যমে হজ টিকিটের পুরো টাকা পরিশোধ করে এক সপ্তাহ আগেই টিকিট সংগ্রহের নিদের্শ দেয়। আগামী ১১, ১২, ও ১৩ আগস্টের সাউদিয়ার সকল হজ ফ্লাইটের হজ টিকিট গতকাল রাত ১০টার মধ্যে ক্রয়ের নির্দেশ জারি করা হয়। এতে হঠাৎ এতো টাকা সংগ্রহ করে হজ টিকিট ক্রয়ে অনেকেই সক্ষম হননি। যারা এ নির্দেশ অনুযায়ী হজ টিকিট ক্রয়ে ব্যর্থ হবে তাদের টিকিটগুলো চড়া দামে কালো বাজারে চলে যাবে বলেও একজন এজেন্ট উল্লেখ করেন। হজ ভিসা না হওয়া এবং হজ এজেন্সির মুনাজ্জেম বাড়িভাড়ার বারকোড নিয়ে সউদী আরব থেকে দেশে না আসায় তাদের হজযাত্রীদের টিকিট কনফার্ম করতে পারছে না ট্রাভেল এজেন্সিগুলো। হজ টিকিটের ১৫% ভাড়া অগ্রিম দেয়ার পরে যারা ঘোষিত তারিখের হজ ফ্লাইটের টিকিট ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে সেসব হজ টিকিট অন্য এজেন্টের কাছে ২শ’ মার্কিন ডলার অতিরিক্ত নিয়ে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে নয়াপল্টনের একটি ট্রাভেলস এজেন্টের স্বত্বাধিকারী গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, সাউদিয়া নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে চাইল্ড হজযাত্রীদের পূর্ণ বয়স্ক হজযাত্রীদের ভাড়া আদায় করছে। কিন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স নিয়ম অনুযায়ীই চাইল্ড হজযাত্রীদের কাছে স্বল্প ভাড়ায় হজ টিকিট বিক্রি করছে। অথচ সাউদিয়া এয়ারলাইন্স চিরাচরিত নিয়মকে উপেক্ষা করে ২ বছর থেকে চাইল্ড হজযাত্রীর কাছ থেকে পূর্ণ বয়স্ক হজযাত্রীর ভাড়া আদায় করছে। এতে সাউদিয়া কর্তৃপক্ষের প্রতি হজযাত্রী ও হজ এজেন্সিগুলোর ক্ষোভ বাড়ছে। এব্যাপারে সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের সেল্স ম্যানেজার ওমর খৈয়াম ও সেলস এক্সিকিউটিভ লাবনীর সাথে গতকাল টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তারা ফোন ধরেননি। হাবের মহাসচিব শেখ আব্দুল্লাহ গতকাল ইনকিলাবের সাথে আলাপকালে এ প্রসঙ্গে কোনো কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানান। আটাবের সভাপতি মঞ্জুর মোর্শেদ মাহবুব বলেন, আমি দেশে ছিলাম না। তিনি সাউদিয়ার হজ টিকিট বিক্রি সম্পর্কে হাবের নেতাদের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। এদিকে, সাউদিয়ার টপ গ্রাহক কাজী মফিজুর রহমান রাতে ইনকিলাবের সাথে আলাপকালে বলেন, সাউদিয়ার হজ টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে আমি নিজেও সাফারার। তবে সাউদিয়া এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ তাদের গ্রাহকদের সাথে এগ্রিমেন্ট অনুযায়ীই এক সপ্তাহ আগে পুরো টাকা নিয়ে হজ টিকিট বিক্রি করছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাউদিয়ার হজ টিকিটের বোডিং কার্ড নেয়ার পর টিকিট বাতিল করলে প্রতি টিকিটের জন্য ৩শ’ মার্কিন ডলার নেয়া হয়। অন্য ক্ষেত্রে হজ টিকিট বাতিল করা হলে দেড়শ’ মার্কিন ডলার আদায় করা হয়। সাউদিয়ার কান্ট্রিম্যানেজার রিয়াদ আল হোতাইফ এবার গ্রাহকদের মাঝে হজ টিকিট বিতরণে চরম স্বজন প্রীতির মাধ্যমে সানসাইন ও কাজী এয়ারকে ত্রিশ হাজার হজ টিকিট দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে অন্যান্য গ্রাহকদের মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এসব হজ টিকিট বিক্রিতে অতিরিক্ত টাকাও হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠছে। হাবের সভাপতি আলহাজ মোঃ ইব্রাহিম বাহার রাতে ইনকিলাবকে বলেন, সাউদিয়ার হজ টিকিট নিয়ে দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। সাউদিয়ার অব্যবস্থাপনার দরুণ হজ টিকিট কালোবাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। সাউদিয়া কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ সরকারের কোনো আইন কানুনই মানে না। তিনি বলেন, সাউদিয়ার কান্ট্রিম্যানেজার দু’টি ট্রাভেলস এজেন্টের কাছে ত্রিশ হাজার হজ টিকিট বরাদ্দ দিয়ে চরম দুর্নীতির পরিচয় দিয়েছেন। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উচিৎ সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের অনিয়মের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া। হাব সভাপতি বলেন, এখনো দুশ’ মুনাজ্জেম বারকোড নিয়ে দেশে ফিরেনি। অথচ সাউদিয়া এয়ারলাইন্স এক সপ্তাহ আগেরই হজ টিকিটের পুরো টাকা দিয়ে টিকিট সংগ্রহের চাপ সৃষ্টি করছে। এতে হজ এজেন্সিগুলোর মাঝে চরম হতাশা দেখা দিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।