পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গত দুই বছরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে ছয়টি অত্যাধুনিক উড়োজাহাজ যোগ হলেও রুট বেড়েছে মাত্র তিনটি। চলতি বছর একাধিক নতুন রুটে যাত্রার উদ্যোগও পিছিয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস মহামারীতে। বিভিন্ন দেশ নিষেধাজ্ঞা না তোলায় বিদ্যমান ১৭টি রুটের মধ্যে বর্তমানে মাত্র চারটি রুটে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। বাংলাদেশ থেকে এখন শুধুমাত্র বিমান বাংলাদেশ, এমিরেটস, কাতার ও টার্কিশ এয়ারলাইন্স সীমিত সংখ্যায় মধ্যপ্রাচ্যগামী ফ্লাইট পরিচালনা করছে। তাও শুধু কয়েকটি গন্তব্যে। এতে করে টিকিট সঙ্কটে দেশে আটকা পড়ে আছেন লাখ লাখ বিদেশগামী।
বিমান সূত্র জানায়, আগামী ৪ অক্টোবর থেকে চালু হচ্ছে বিমানের সিলেট-লন্ডন রুটের সরাসরি ফ্লাইট। করোনা পরিস্থিতিতে ঢাকা থেকে ওসমানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে লন্ডন যাবে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট। এ ছাড়া টরেন্টো, টোকিও, গুয়াংজু ও চেন্নাইসহ নতুন চারটি আন্তর্জাতিক রুটে ডানা মেলতে চায় বিমান। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নভেম্বরের মধ্যেই এসব ফ্লাইট চালু হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ অঞ্চলের দেশগুলোর ট্রানজিট যাত্রী পরিবহনে নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের সূচি।
এদিকে, করোনাকালে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ছুটিতে আসা প্রায় ৫ লাখ প্রবাসী কর্মী আটকা পড়েছেন। এর মধ্যে শুধু সউদী আরব থেকেই ছুটিতে দেশে এসে আটকা পড়েছেন প্রায় সোয়া লাখ কর্মী। আটকে পড়া এসব প্রবাসী কর্মীর উপার্জনের সাথে আরো ২০ লাখ লোক জড়িত। প্রবাসে স্ব স্ব কর্মস্থলে ফিরতে না পারায় প্রতি মাসে এসব কর্মী দশ থেকে পনেরো মিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বাংলাদেশ। বিমানের টিকিট না পেয়ে অনেকেরই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন দেশে লকডাউন শিথিল হলেও ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ না নেয়ায় এসব প্রবাসী কর্মী কর্মস্থলে ফিরতে পারছে না। ভুক্তভোগিরা জানান, আগে ১৭ টি গন্তব্যে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করতো বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স। সেখানে এখন মধ্যপ্রাচ্যের মাত্র দুটি গন্তব্যে, আবু ধাবি ও দুবাই রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান। আগে সপ্তাহে ২১ টি ফ্লাইট ছিল এমিরেটস এয়ারলাইন্সের। এখন চারটি থেকে বেড়ে হয়েছে ৬টি। এসব কারণেই লাখ লাখ বিদেশগামী আটকা পড়েছেন দেশে। কি কারণে ফ্লাইট বাড়ানো হচ্ছে না সে প্রশ্ন অনেকেরই। তবে বিমান সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে টোকিও, টরন্টোসহ নতুন চারটি রুটে যাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিমান। টরন্টো ছাড়া বাকি তিনটি রুটে ফ্লাইট চালুর প্রস্তুতিও শেষ হয়েছে।
অন্যদিকে, যুক্তরাজ্য প্রবাসী সিলেটবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি সিলেট-লন্ডন সরাসরি ফ্লাইট। কথা ছিল, চালু হবে চলতি বছরের এপ্রিলের শেষে। সব প্রস্তুতি থাকলেও করোনাভাইরাস মহামারিতে থেমে যায় প্রক্রিয়া। অবশেষে পূরণ হচ্ছে স্বপ্ন। এরই মধ্যে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে শক্তিশালী করাসহ আনুষঙ্গিক সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিদেশফেরত যাত্রীদের জন্য সিলেটে কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। এখন শুধু বাকি ব্রিটিশ পরিবহন বিভাগের সার্টিফিকেট। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ৪ অক্টোবর সিলেট থেকে লন্ডন যাবে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট।
এদিকে, সেপ্টেম্বরের প্রথম দিন থেকে ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটে সপ্তাহে বাড়তি একটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। ইউএস-বাংলার জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক মো. কামরুল ইসলাম বলেন, মহামারীর কারণে বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর ১৬ অগাস্ট থেকে ঢাকা-কুয়ালামপুর রুটে সপ্তাহে দুটি ফ্লাইট পরিচালনা করছিলেন তারা। ১ সেপ্টেম্বর থেকে এই রুটে সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট চলবে। এখন বৃহস্পতি ও রবিবার রাত ৮টায় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে। কুয়ালালামপুর থেকে সোম ও শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোর ৩টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসছে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে মঙ্গল, বৃহস্পতি ও রবিবার ঢাকা থেকে এবং ২ সেপ্টেম্বর থেকে সোম, বুধ ও শুক্রবার কুয়ালালামপুর থেকে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট ছাড়বে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।