পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নামের মিল থাকায় কারাভোগ করছেন ভোলার নিরীহ লিটন। সাজাপ্রাপ্ত আসামি ঘুরে বেড়ালেও তাকে গ্রেফতার করছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। লিটনের কারামুক্তির নির্দেশনা চেয়ে রিট করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র। এ তথ্য জানান সংস্থার আইনজীবী ইয়াদিয়া জামান।
রিটে উল্লেখ করা হয়, দুজনের নামই মো. লিটন। বাবার নাম, গ্রাম, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলার নামও এক। পার্থক্য শুধু বয়সে। একজনের অপরাধে অন্তত ৮ মাস কারাভোগ করছেন অন্যজন। মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. লিটনের বয়স ৪১। আর যিনি কারাভোগ করছেন তার বয়স ৩০। কিন্তু পুলিশের দাবি, গ্রেফতার হওয়া লিটন একবারের জন্যও বলেননি যে তিনি আসামি নন। দুই লিটনেরই বাবার নাম নূর ইসলাম। উভয়েই ইন্তেকাল করেছেন। উভয়ের বাড়ি ভোলার লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের চতলা গ্রামে।
২০০৯ সালের ২৮ জুন পল্টন থানার আহাদ পুলিশ বক্সের সামনে থেকে ভারত ও পাকিস্তানে তৈরি আমদানি নিষিদ্ধ চেতনানাশক ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার হন লিটন, শামীম ও আরশাদ মিয়া নামে তিনজন। এ ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিচার শুরুর আগেই ওই তিনজন জামিন নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। পরে ২০১৪ সালের ২২ অক্টোবর ঢাকা মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ আসামিদের ২ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড ও দুই হাজার টাকা করে অর্থদন্ড হয়।
কারাগারে থাকা লিটনের ভাই সাইফুল ইসলাম জানান, লিটনকে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের বাবা নূর ইসলাম ১০ বছর আগে ইন্তেকাল করেন। আসামি লিটনের বাড়ি তাদের বাড়ি থেকে ২-৩ মিনিটের রাস্তা। তার বাবা ৩০ বছর আগে ইন্তেকাল করেছেন। বাবা মারা যাওয়ার পর মাকে নিয়ে আসামি লিটন ঢাকায় চলে যান।
রিটে অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান জানান, লিটনের পরিচয় নিশ্চিতকরণে তাকে সশরীরে অথবা ভার্চুয়ালি হাইকোর্টে হাজির করা, তাৎক্ষণিক মুক্তি দেয়া এবং তার আটক আদেশ অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ব বহিভর্‚ত ঘোষণা করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, কারা মহাপরিদর্শক, ভোলার পুলিশ সুপার, ভোলার জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়। বিচারপতি তারিক উল হাকিম এবং বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের ডিভিশন বেঞ্চে রিটের শুনানি হতে পারে বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।