Inqilab Logo

সোমবার, ২৭ মে ২০২৪, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আন্দোলনরত শিক্ষকদের ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ১৮ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বেতন বৈষম্য ও পদমর্যাদা নিয়ে আন্দোলনরত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। লাগাতার কর্মবিরতিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অচলাবস্থার মধ্যেই শিক্ষক নেতাদের ডাকলেন প্রধানমন্ত্রী। আজ বিকেল ৪টায় গণভবনে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধিদের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। ফেডারেশনের মহাসচিব প্রফেসর ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকেল সাড়ে চারটায় শিক্ষক নেতাদের দাওয়াত দিয়েছেন। সেখানে তাঁর মাধ্যমে একটা কিছু ঘোষণা আসতে পারে বলে তিনি আশা করছেন। প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, একই দিন বিকাল সাড়ে ৪টায় গণভবনে পিঠা উৎসবে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতাদের আমন্ত্রণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ওই অনুষ্ঠানের পর প্রধানমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে বসবেন।
দেশের ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সমন্বিত সংগঠন শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন অষ্টম বেতন কাঠামোয় ‘অসঙ্গতি’ নিরসনের দাবিতে চলমান শিক্ষক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে। ফেডারেশনের পক্ষ থেকে গতকাল (রোববার) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষকদের দাবি-দাওয়া নিয়ে একটি প্রস্তাবনা জমা দেয়া হয়েছে বলেও প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন জানান। তিনি বলেন, শিক্ষক সমিতির ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নেতাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবেন তারা। নয় মাস আগে অষ্টম বেতন কাঠামোর প্রস্তাব আসার পর গ্রেডে অবনমন এবং সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বাতিলের প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা। পরে শিক্ষকদের দাবি পর্যালোচনায় একটি কমিটি গঠন করে সরকার। কমিটির সভাপতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠকও করেন। বৈঠকে অর্থমন্ত্রী শিক্ষকদের তিনটি দাবি মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও গত ১৫ ডিসেম্বর প্রকাশিত গেজেটে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি বলে অভিযোগ করেন শিক্ষকরা। দাবি আদালয়ে সভা, সমাবেশ, দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন তারা। তাতেও দাবি আদায় না হওয়ায় গত ১১ জানুয়ারি থেকে দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে লাগাতার অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। এতে অচল হয়ে পড়ে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ব্যবস্থা। শিক্ষকদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন তুললেও প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন একাধিবার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পাঁচ মিনিট বসতে পারলে এই সঙ্কটের সুরাহা হবে বলে তারা মনে করেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিজেদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরতে শুরু থেকেই চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন বলেও জানান প্রফেসর ফরিদ। গত আট মাসে কয়েক দফা চিঠি পাঠিয়ে তার কোনো সাড়া পাননি বলে সম্প্রতি জানিয়েছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো চিঠি ‘আমলাদের বলয় ভেঙে’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে যায়নি বলেও অভিযোগ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ফরিদ উদ্দিন।
এদিকে গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দেয়া শিক্ষকদের প্রস্তাব সম্পর্কে প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও মাকসুদ কামাল জানান, তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে আগের মতোই সর্বোচ্চ গ্রেডে যাওয়াসহ কিছু বিকল্প প্রস্তাব লিখিত আকারে শিক্ষা সচিব সোহরাব হোসাইনের হাতে দিয়ে আসেন। এই লিখিত প্রস্তাবের সঙ্গে আনুষঙ্গিক কিছু কাগজপত্রও দেন শিক্ষক নেতারা। এসব প্রস্তাব ও কাগজ জমা দেয়ার পর শিক্ষা সচিব ও শিক্ষক নেতারা শিগগিরই এই সংকট নিরসন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। এ বিষয়ে শিক্ষা সচিব সোহরাব হোসাইন বলেন, সবাই মিলেমিশে সমাধানের চেষ্টা চলছে যাতে ছাত্ররা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং শিক্ষকদের মর্যাদাও অক্ষুণœ থাকে। এ নিয়ে তাঁরা এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে আছেন। খুব কম সময়ের মধ্যেই পর্যালোচনা করে সরকারের যে পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা সেটা নেয়া হবে এবং সে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আন্দোলনরত শিক্ষকদের ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ