পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, করোনাকালীন ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সফরকে ঘিরে দেশবাসীর মধ্যে শঙ্কা ও গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। এই দ্বিপাক্ষিক সফরের বিষয়টি নিয়ে লুকোচুরি করা হয়েছে।
দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট হলে এই সফর নিয়ে এত লুকোচুরি কেন? অনতিবিলম্বে দেশবাসীর নিকট সফরের বিস্তারিত প্রকাশ করা হোক।
গতকাল ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শায়খে চরমোনাই এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বলা হচ্ছে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সাথে ইতিবাচক বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি, ভারতের জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) ও নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ), সীমান্ত হত্যাকান্ড এবং রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলায় কোনো আলোচনাই হয়নি। যাতে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নয়; বরং ভারতের মোড়লিপনা প্রকাশ পেয়েছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের এমন মোড়লিপনা দেশের মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সফরের আড়ালে যেকোনো ষড়যন্ত্র দেশের মানুষ রুখে দেবে ইনশাআল্লাহ।
শায়খে চরমোনাই আরও বলেন, দেশে যখন ছাত্র রাজনীতির নামে সন্ত্রাসবাদের মন্ত্র শেখানো হচ্ছিল, তখন ইশা ছাত্র আন্দোলন এক আলোকবর্তিকা হয়ে আগমন করেছে এদেশে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২৯ বছরের বিপ্লবী পথযাত্রায় সংগঠনটি দেশের শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা গঠন ও নেতৃত্ব বিকাশে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। দেশের জাতীয় নেতৃত্ব তৈরিতে সংগঠনের নেতাকর্মীরা টার্গেটভিত্তিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ইশা ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এম. হাছিবুল ইসলাম বলেন, করোনা সৃষ্ট বিপর্যয়ে বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীর শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। সেদিকে লক্ষ রেখে বিশ্বের গুরুত্বপ‚র্ণ রাষ্ট্রগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ খুলে দেয়া হচ্ছে। সুতরাং বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ করে রাখার কোন সুযোগ নেই। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা এবং বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনতিবিলম্বে খুলে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, দলের রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারী মহাসচিব মুহাম্মাদ আমিনুল ইসলাম, কে এম আতিকুর রহমান, আহমাদ আব্দুল কাইয়ূম, মাওলানা নেছার উদ্দিন ও ইশা ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি বরকত উল্লাহ লতিফ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।