পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমন ও বিস্তার রুখতে ৩০আগস্ট পবিত্র আশুরা উপলক্ষে খোলা স্থানে তাজিয়া মিছিল ও সমাবেশ না করার বিষয়ে সকলে উদ্যোগ নিবেন। তবে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরুত্ব মেনে ইনডোরে ধর্মীয় অন্যান্য অনুষ্ঠান পালন করা যাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। গতকাল রোববার ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে পবিত্র আশুরা উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা মহানগর এলাকার নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্তে সমন্বয় সভায় এ সব কথা বলেন তিনি।
আশুরার অনুষ্ঠান স্থলে মাস্ক ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে না দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে ইমামবাড়াগুলোর আয়োজকদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, করোনাভাইরাসের বিস্তার রুখতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে।
এজন্য অনুষ্ঠান স্থলে সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক ছাড়া কাউকে সেখানে প্রবেশ করতে দেবেন না। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য ইমামবাড়াগুলোতে সবাইকে একসঙ্গে না ঢুকিয়ে খন্ড খন্ড দলে বিভক্ত করে প্রবেশের ব্যবস্থা করা হোক। তবে নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে বেশি সেখানে কাউকে অবস্থান করতে না দেয়া পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, পবিত্র আশুরা উপলক্ষে কোনো বিরোধ থাকলে শান্তিপূর্ণভাবে তা মীমাংসা করতে হবে। আশুরার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো। এসময় আশুরা উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় রাজধানীর নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
রাজধানীর নিরাপত্তার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আশুরা কেন্দ্রিক ট্রাফিক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ও স্থানে পোশাক ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যাক পুলিশ মোতায়েন থাকবে। অনুষ্ঠানস্থলে ডগ স্কোয়াড ও বোম ডিসপোজাল ইউনিট দিয়ে সুইপিং করানো হবে। ইমামবাড়াসহ তার আশপাশে সিসি ক্যামেরা দিয়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ও ম্যানুয়ালি তল্লাশি করে আর্চওয়ের মধ্য দিয়ে সবাইকে ইমামবাড়ায় প্রবেশ করতে দেয়া হবে। ইমামবাড়াগুলোতে প্রবেশের ক্ষেত্রে আয়োজক কমিটি পরিচয়পত্রসহ পর্যাপ্ত সেচ্ছাসেবক থাকবে। প্রতিটি ইমামবাড়ার আলাদা আলাদা প্রবেশ পথ ও বর্হিপথ থাকবে। প্রবেশমুখে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বেসিন, পানির ট্যাংক, সাবান ও প্রথকভাবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। এসময় সভায় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ গোয়েন্দা সংস্থা, ফায়ার সার্ভিস, র্যাব, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি এবং লালবাগ, মিরপুর ও তেজগাঁও বিভাগের শিয়া সম্প্রদায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।