পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর শায়খুল হাদীস আল্লামা ইসমাঈল নূরপুরী বলেছেন, বানভাসি মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে। বন্যা কবলিত এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য সামগ্রীর অভাবে মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোনো ত্রাণ তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। বানভাসি মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসা ঈমানী ও নৈতিক দায়িত্ব। তিনি আলেম উলামা ও ইসলামী সংগঠনগুলোর পাশা পাশি রাজনৈতিক দল, শিক্ষক, চাকরিজীবি ও বিত্তশালী ব্যক্তিদেরকে বন্যা কবলিত মানুষের দুর্যোগে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
তিনি আরও বলেন, আল্লাহর জমিনে আল্লাহর বিধান তথা খেলাফত প্রতিষ্ঠা করা প্রতিটি মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব। মাছ যেমন পানি ছাড়া বেশিক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে না কোনো মুসলমান খেলাফত রাষ্ট্র ব্যতিত ঈমানের উপর অটল থাকতে পারে না। ব্যক্তিগত জীবনে পূর্ণাঙ্গ ইসলামী অনুশাসন মেনে চলার পূর্ব শর্ত ইসলামী খেলাফত ব্যবস্থা। এর জন্য গণমানুষকে সম্পৃক্ত করে খেলাফত প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে বেগবান করতে হবে।
তিনি গতকাল শনিবার বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সাধারণ অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। পুরানা পল্টনস্থ দারুল খিলাফাহ মিলনায়তনে সংগঠনের মহাসচিব মাওলনা মাহফুজুল হকের পরিচালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর মাওলানা আফজালুর রহমান, মাওলানা রেজাউল করীম জালালী, মাওলানা খুরশিদ আলম কাসেমী, মুফতি সাঈদ নূর, সাবেক মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা কোরবান আলী কাসেমী, মাওলানা আব্দুল আজীজ, মুফতী শরাফত হোসাইন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক ও অফিস সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মূসা। সভায় আরব আমিরাত ও ইসরাইল চুক্তি বাতিল, রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বসহ পুনর্বাসন, খেলাফত প্রতিষ্ঠার আহবানসহ এগারো দফা প্রস্তাব পাশ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।