পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনার ভয় মোটেও থামাতে পারেনি দক্ষিণ-পশ্চিমের কর্মবীর কৃষকদের কর্মব্যস্ততা। ভয়কে জয় করে কৃষকদের কর্মব্যস্ততা মাঠে মাঠে। গ্রামীণ অর্থনীতি হচ্ছে চাঙ্গা। তারা প্রথম থেকেই শৃঙ্খলার সাথে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাঠে মাঠে করোনার সাথে রীতিমতো যুদ্ধ করে চলেছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক পার্থ প্রতিম সাহা দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, খাদ্যশস্যে উদ্বৃত্ত অঞ্চলটিতে ধান, পাট, সবজি উৎপাদনে বিরাট সফলতা পেয়েছেন কৃষকরা। দেশে সবজির বড় অংশের যোগানদাতা যশোর করোনার মধ্যেও অত্যন্ত শক্তিশালী। বাজার ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আসায় সবজি চাষিরা মূল্যও পেয়েছেন ভালো। শুধু সবজি খাত নয়, সামগ্রিক কৃষি অর্থনীতি অনেকটাই চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। তার কথা, বন্যায় এ অঞ্চলের কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা ও মাগুরার কিছুটা ক্ষতি হয়েছে আমনের। তবে সেটি বড় ধরণের নয়।
সূত্র জানায়, ভয়াবহ করোনাভাইরাস আতঙ্কের ভয়াল থাবার মধ্যেও উৎপাদনের ধারা সচল রাখতে বহুমুখি কার্যক্রম হাতে নেয় সরকার। জরুরিপণ্য হিসেবে কৃষি উপকরণ সরবরাহের ব্যবস্থা নেয়া হয়। সাশ্রয়ী ও ভর্তুকি মূল্যে ফসল রোপন ও কর্তনে খামারযন্ত্র ব্যবহারের ব্যবস্থাও নেয়া হয়। এতে শ্রমিক সঙ্কট মোকাবেলা সহজ হয়। আউশে দেয়া হয় প্রণোদনা। কৃষকরাও দিনরাত সমানতালে নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন। চলমান মহাদুর্যোগ ও সঙ্কটেও গ্রামীণ অর্থনীতির প্রাণশক্তি কৃষিখাতে নীরব বিপ্লব ঘটছে গ্রামে গ্রামে। মাঠের আবাদী জমিই কৃষকদের বড় সম্পদ। স্বাচ্ছন্দ্য, উদ্দীপনা, উদ্যম ও মনের শক্তি নিয়ে দিনরাত মাঠে পরিশ্রম করে অর্থনীতির চাকা ঘুরাচ্ছেন কৃষকরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পরিসংখ্যানে জানা যায়, করোনার ধাক্কায় কৃষি উৎপাদন বেড়ে গেছে। বহু অনাবাদী জমি এসেছে আবাদের আওতায়। শুধু কৃষক নয়, এর সাথে জড়িতরাও আর্থিকভাবে হচ্ছেন লাভবান। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী দেশেরর মধ্যে সবজি, ফুল, রেণুপোনা, খেজুরের গুড়, সাদা সোনা চিংড়ি, মসুর, মরিচ, মটরসহ বিভিন্ন কৃষিজাত পণ্য উৎপাদনে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে অঞ্চলটি। ধান, ভুট্টা উৎপাদনে রয়েছে দ্বিতীয় ও তৃতীয়পর্যায়ে। শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখার প্রাণান্ত চেষ্টা চলছে সবজি উৎপাদনে। করোনার ভয় তাদের স্পর্শ করেনি।
কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতর, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ও বিএডিসি সূত্র জানায়, কৃষি ভাÐার হিসেবে খ্যাত অঞ্চলটি বিভিন্ন কৃষিপণ্য উৎপাদনে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে বরাবরই। যশোর, খুলনা, মাগুরা, নড়াইল, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া ও মেহেরপুরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এ ১০ জেলায় মোট আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ১৩ লাখ ১৪ হাজার ৬৫ হেক্টর। প্রায় ৩ কোটি জনসংখ্যার এই অঞ্চলটিতে ৭ হাজার ৮শ’ ৩০ গ্রাম রয়েছে। এ অঞ্চলে সাময়িক পতিত ও স্থায়ী পতিতসহ অনাবাদী জমি ছিল ১ লাখ হেক্টরেরও বেশি। যার পুরোটা আবাদের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে পুরোদমে। অঞ্চলে খাদ্য চাহিদা রয়েছে ৩০ লাখ ৭৫ হাজার ৬০৯ মেট্রিক টন। গড় হিসাবে ধান ও গমসহ খাদ্যশস্য উৎপাদন হয় ৪১ লাখ ৮ হাজার ২৯০ মেট্রিক টন। খাদ্য উদ্বৃত্ত থাকে ১০ লাখ ৩২ হাজার ৬৮১ মেট্রিক টন।
যশোর এম এম কলেজের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক নাসিম রেজা জানান, করোনার ধাক্কায় অনেক কিছুরই নতুন শিক্ষা দিয়েছে। কৃষি জমিই গ্রামীণ অর্থনীতির একমাত্র ভরসা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।