জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেছেন, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধণ শ্রিংলার আকস্মিক ঢাকা সফরকে ঘিরে দেশবাসীর মনে সন্দেহ ও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের সাথে কি আলোচনা হয়েছে দুই দেশই গোপন রেখেছে। দেশবাসীর সংশয়-সন্দেহ দূর করতে সরকারকে এই বৈঠকের সবিস্তার প্রকাশ করতে হবে।
গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে ভারত বাংলাদেশের চাওয়া পাওয়ার প্রতি কোনরূপ ভ্রুক্ষেপ না করে একতরফাভাবে একে একে সব আদায় করে নিচ্ছে। অথচ ভারতের সাথে বাংলাদেশের প্রতিকূলে বিশাল বাণিজ্য বৈষম্য রয়েই গেল। এটা নিরসনে ভারত বাংলাদেশকে কোনরূপ ছাড় দেয় না। বাংলাদেশকে তিস্তার পানি দেয় না। সীমান্তে বাংলাদেশীদের লাগাতার হত্যা করে যাচ্ছে। সঙ্কটের সময় পেঁয়াজ, চাল বন্ধ করে বাংলাদেশকে বিপদে ঠেলে দেয়। এসব সুস্পষ্ট সঙ্কট নিয়ে আলোচনা না করে ভারতের পরাষ্ট্র সচিব কী নিয়ে আলোচনা করতে আসলেন এবং কিসের ভিত্তিতে বৈঠক সফল হওয়ার দাবি করা হয়, জাতিকে সেটা জানাতে হবে।
আল্লামা কাসেমী বলেন, বলা হচ্ছে হর্ষবর্ধন শ্রিলংকা বলে গেছেন ভারত বাংলাদেশকে অক্সফোর্ডের টিকা দিবে। কিন্তু ভারতের পত্রিকায় দেখলাম তারা রাশিয়ার কাছে টিকা চায়, আরো বিভিন্ন দেশে টিকা খুঁজছে। যে দেশ নিজেদের সঙ্কটই মিটাতে পারছে না, তারা কী করে আমাদেরকে টিকা দেবে? আর অক্সফোর্ডের টিকার দরকার হলে বাংলাদেশ নিজেই তো বৃটেন থেকে সেটা সংগ্রহ করতে পারে, ব্রিটিশ টিকা ভারতের কাছ থেকে নিতে হবে কেন?
জমিয়ত মহাসচিব বলেন, মিডিয়ায় দেখলাম ভারত তাদের অবিক্রিত নিম্নমানের তুলা বাংলাদেশকে গছিয়ে দিতে ওঠেপড়ে লেগেছে। এর কারণ, ভারতে চলতি বছর আগের তুলনায় তুলা উৎপাদন বেশি হয়েছে। আল্লামা কাসেমী বলেন, যখন ভারতের নানা অন্যায় ও আগ্রাসী পদক্ষেপের ফলে দেশের জনগণ উদ্বিগ্ন ও বিক্ষুব্ধ, তখন আমরা দেখেতে পাচ্ছি ঢাকার সেগুন বাগিচা দপ্তর দিল্লির সাউথ ব্লকের প্রতি গভীর অনুগত্য প্রদর্শনে ব্যস্ত। দেশবাসী এতে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠিত।