পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মেজর (অব.) সিনহা হত্যা মামলার প্রধান আসামী ইনস্পেক্টর লিয়াকত, বরখাস্ত ওসি প্রদীপ ও এসআই নন্দ দুলালসহ ১০ আসামীর জিজ্ঞাসাবাদ চলছে র্যাব হেফাজতে। পরে গ্রেপ্তার হওয়া আরো তিন আসামী এপিবিএন সদস্য এখনো রিমান্ডে নেয়া হয়নি। এটি এক প্রকার নিশ্চিত বিষয় যে আসামীরা সবাই মেজর (অব.) সিনহা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত। তবে জিজ্ঞাসাবাদে কে কিভাবে জড়িত ছিলো সেটাই এখন খতিয়ে দেখছে মামলার দতন্ত সংস্থা র্যাব।
একটি সূত্রে জানা গেছে, ৩১ জুলাই টেকনাফ বাহারছরা শামলাপুর পুলিশ চেকপয়েন্টে পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা হত্যাকান্ডের সময় ওসি প্রদীপ ও ইনস্পেক্টর লিয়াকতের গতিবিধি ও ফোনালাপ জিজ্ঞাসাবাদে বেশী গুরুত্ব পাচ্ছে। ওই দুইটি বিষয় পরিস্কার হলে ওসি প্রদীপ ও ইনস্পেক্টর লিয়াকত আলীর সাথে সিনহা হত্যার সাথে আর কে কিভাবে জড়িত ছিলো তা পরিষ্কার হবে। ইতোমধ্যে ব্যাপক আলোচনায় এসেছে ৩১ জুলাই সন্ধ্যার পর থেকে ইনস্পেক্টর লিয়াকত, পুলিশের মামলার সাক্ষী ও হত্যা মামলার আসামী মারিশবনিয়ার নুরুল আমিন, ওসি প্রদীপ ও এসপি মাসুদ হোসেনের সাথে ফোনালাপের বিষয়টি। সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব : সেনাবাহনীর (অব.) মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহত হওয়ার ওই রাত এবং আগে-পরের মোট ১১ দিনের টেকনাফ থানার সব সিসি ক্যামেরার ফুটেজ গায়েব হয়ে গেছে টেকনাফ থানা থেকে। টেকনাফের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি থানার ফুটেজ হাওয়া হয়ে যাওয়া নিয়ে রহস্যেজনক মনে করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনুসন্ধানে এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে বলে জানা গেছে ।
এদিকে গত মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে কারাগারে থাকা আসামি সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অবসরপ্রাপ্ত সিনহা হত্যা মামলায় এপিবিএনের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর র্যাব আদালতে হাজির করলে তাদের প্রত্যেককে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তারা এখন কারাগারে আছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঘটনার রাতে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাসের গতিবিধির তথ্য তদন্তে গুরুত্ব পাচ্ছে। কারণ ওসি প্রদীপ ঘটনাস্থলের আশপাশে ছিলেন নাকি থানা থেকে বেরিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেন এই প্রশ্নের উত্তর তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এ কারণে বিপদ আঁচ করতে পেরে প্রদীপ কুমার দাস হয়ত তানার ফুটেজ নষ্ট করে ফেলতে পারেন বলে ধারণা তদন্তকারীদের।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, স্থানীয় একজন আইটি টেকনিশিয়ানকে গত ১৫ আগস্ট টেকনাফ থানায় নেওয়া হয়। থানায় সাবেক ওসি প্রদীপের কক্ষে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংরক্ষণের জন্য থাকা সরঞ্জাম পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যাচাই-বাছাই করে মতামত দেন তিনি। ওই মতামতে গত ২৫ জুলাই থেকে ৬ আগস্ট পর্যন্ত ১১ দিনের কোনো ফুটেজ পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়।
মতামতে লেখা হয়, থানার পূর্বপাশের দেয়ালে ১টি এনভিআর বক্স (ডাহুয়া কোম্পানি) পরীক্ষা করে কোনো হার্ডডিস্ক পাওয়া যায়নি। হার্ডডিস্ক না থাকায় কোনো ফুটেজও নেই। এ ছাড়া ওসির টেবিলের পশ্চিম পাশে সংরক্ষিত একই ধরনের বক্সের ভেতর এক টেরাবাইট হার্ডডিস্ক পাওয়া গেলেও তা নষ্ট ছিল। এ জন্য সেখানেও কোনো ফুটেজ পাওয়া যায়নি। গুরুত্বপূর্ণ ওই রাতসহ থানার ১১ দিনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ কোথায় গেল এ সম্পর্কে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গেছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
শিপ্রার হাইকোর্টে রিট : থানা বা ট্রাইব্যুনাল নয়, মামলা নিয়ে আপাতত উচ্চ আদালতের অপেক্ষায় রয়েছেন নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের টিম সদস্য শিপ্রা দেবনাথ। সে কারণে গতকাল দুপুুুর ১২টার দিকে রামু থানায় মামলা করতে গিয়েও মাঝ পথ থেকে ফিরে এসেছেন শিপ্রা। এর আগে মঙ্গলবার কক্সবাজার সদর মডেল থানায়ও মামলা করতে গিয়েছিলেন শিপ্রা। কিন্তু কক্সবাজার সদর থানায় তার মামলা গ্রহণ করেনি।
শিপ্রার আইনজীবী মাহবুবুল আলম টিপু এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অপপ্রচারের অভিযোগে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলার চেষ্টা করছেন নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের সহযোগী শিপ্রা দেবনাথ।
যাদের বিরুদ্ধে শিপ্রা মামলা করতে চায় তারা হলেন, সাতক্ষীরার এসপি মোস্তাফিজুর রহমান ও এপিবিএন এর এসপি মিজানুর রহমান শেলীসহ আরো দেড় শতাধিক সারাদেশের অজ্ঞাত ব্যক্তি। যারা তাকে নিয়ে অপপ্রচার চালিয়েছে। তাই মঙ্গলবার রাতে মামলা করতে তিনি কক্সবাজার সদর মডেল থানায় গিয়েছিলেন। কিন্তু থানা মামলা নেয়নি। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রামু থানা বা ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার পরামর্শ দেন তাকে। সে মোতাবেক গতকাল বুধবার (১৯ আগষ্ট) দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজার শহর থেকে রামু থানার দিকে যান তিনি। কিন্তু মাঝপথে ঢাকা থেকে শিপ্রার আইনজীবিরা তাকে রামু থানায় মামলা করতে বারণ করেন। তাই তিনি আবার কক্সবাজার ফিরে আসেন।
এ প্রসঙ্গে শিপ্রার আইনজীবী কক্সবাজার আইনজীবী সমিতির সদস্য এড মাহবুবুল আলম টিপু জানান, এই ঘটনায় হাইকোর্টে একজন আইজীবি ২ পুলিশ সুপারের রিরুদ্ধে রীট পিটশন দাখিল করেছেন। হাইকোর্ট রীটের শুনানী শেষে আজ বৃহস্পতিবার আদেশ দেবেন বলে জানা গেছে। এ কারণে শিপ্রা রামু থানায় মামলা করতে যায়নি। ওই আদেশের প্রেক্ষিতেই পরে মামলা করা হবে। শিপ্রা এখন সেই আদেশের অপেক্ষায় রয়েছে। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।