Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

খালেদা জিয়া ‘ঐক্য-ঐক্য’ খেলা শুরু করেছেন -হানিফ

প্রকাশের সময় : ৬ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জঙ্গি-সন্ত্রাসবিরোধী ইস্যুকে জাতীয় ঐক্যের নামে নতুন খেলা শুরু করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
গতকাল রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমীতে শহীদ শেখ কামালের ৬৭তম জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত সংবাদ চিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, গুলশান হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার পর যখন দেশের সাধারণ মানুষ জঙ্গি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে; তখন নতুন করে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া রাজনৈতিক অঙ্গনে খেলা শুরু করেছেন। এই খেলার নাম হচ্ছে ‘জাতীয় ঐক্য-ঐক্য খেলা’। তিনি বলেন, তিনি (খালেদা) তো এই ঘটনাকে রক্তাক্ত অভ্যুত্থানই বলবেন? কারণ তিনি এই রকম ঘটনাকে সমর্থন করেন। এজন্য অভ্যুত্থান বলে দাবি ও আখ্যায়িত করে প্রকান্তরে তিনি এই ঘটনাকে সমর্থন করেছেন। এরপরে যখন আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানালেন, তখন দুই দিন পরে খালেদা জিয়াও জাতীয় ঐক্যের কথা বললেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে হানিফ বলেন, আপনি কিসের ঐক্য চান বেগম জিয়া? দেশবাসীও জিজ্ঞাসা করে আপনি কিসের ঐক্য চান? আমরা তো বহুবার বলেছি, আপনার সঙ্গে ঐক্যের প্রয়োজন নেই। এই ঐক্যের ধুয়া তুলে এক মাস ধরে শুধু আপনার দল খবরের কাগজেই আছে। এটাই আপনার সফলতা।
তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্যের আগে আপনার দলে মধ্যে যারা সন্ত্রাসী আছে, যারা হত্যা-ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করে ব্যর্থ হয়েছে; আগে তাদের তালিকাটি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দেন। আপনার জোটের মধ্যে যারা মানবতাবিরোধী আছে তাদের অপরাধ সম্পর্কে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে তথ্য দেন। তাহলে জাতীয় ঐক্য নয়, এতেই জঙ্গি-সন্ত্রাস নির্মূল হবে।
জাতীয় ঐক্য নিয়ে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের সমালোচনা করে হানিফ বলেন, আমাদের দেশে কিছু তথাকথিত সুশীল সমাজ আছেন। যারা খালেদা জিয়ার এই কথা শুনে আগ বাড়িয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে গেলেন। এরপর এই এক মাস জাতীয় ঐক্যের ধুয়া তুলে প্রতিদিন সংবাদ মাধ্যমে নিউজ করাচ্ছেন। বাংলাদেশের উন্নয়নে বড় বাধা হচ্ছে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতি আজ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। জঙ্গি দমনে সরকার সফলতা অর্জন করছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হানিফ বলেন, শেখ কামাল অসাধারণ ব্যক্তি ছিলেন। ক্ষমতা তাকে কখনই স্পর্শ করেনি। শেখ কামাল একজন দক্ষ সংগঠক ছিলেন। ক্রীড়াঙ্গন, সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সমান পদচারণা ছিলো। তিনি নিজে সেতার বাজাতে জানতেন।
যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, শেখ কামালকে যখন হত্যা করা হয়, তখন তার বয়স মাত্র ২৬ বছর। মৃত্যুর মাত্র এক মাস আগে তার বিয়ে হয়। আজ তার জন্মদিনে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামালকে বিনম্র শ্রদ্ধা। তিনি আরও বলেন, শেখ কামাল হলেন বহুমাত্রিক গুনে গুনান্বিত যুবক। তারুণ্যের দীপ্ত উদাহরণ, অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। আমরা আমাদের যুব সমাজকে যেভাবে দেখতে চাই, শেখ কামাল যেন তারই প্রতীক। শেখ কামাল একজন আদর্শ সন্তান। পিতা-মাতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও দায়িত্ববান। শেখ কামাল উজ্জ্বল মেধাবী এক শিক্ষার্থী। একজন সংস্কৃতিবান তরুণ, শিল্প সংস্কৃতি ও সাহিত্যের অঙ্গনে যিনি একজন মনোযোগী কর্মী। একজন ক্রীড়ানুরাগী, খেলাধুলাকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য যিনি উদীপ্ত তরুণ প্রাণ। একজন দক্ষ সংগঠক, নেতৃত্বের অনবদ্য ব্যক্তিত্ব যার প্রতিটি পদক্ষেপে। সবচেয়ে বড়কথা তিনি একজন সাহসী মানুষ। দেশের জন্য তিনি নিজের প্রাণ উৎসর্গ করতেও প্রস্তুত। বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি হলেন আমাদের স্বপ্নের যুবক। আমাদের প্রত্যাশিত, কাক্সিক্ষত যুব অবয়ব। একারণেই শেখ কামালকে স্মরণ করা আমাদের জরুরী।
বিশেষ অতিথি শহীদ শেখ কামালের বন্ধু নুরুল মজিদ হুমায়ুন শেখ কামালের স্মৃতিচারণ করেন।
যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত প্রমুখ।
সভা পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খালেদা জিয়া ‘ঐক্য-ঐক্য’ খেলা শুরু করেছেন -হানিফ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ