পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : হিন্দুত্ববাদ কায়েমের চক্রান্ত রুখে দিয়ে শিক্ষার সর্বস্তরে ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঘোষিত মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ ৫ আগস্ট শুক্রবার সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচি পালন করেছে। বিক্ষোভ পূর্ব জমায়েতগুলোতে জেলা নেতৃবৃন্দ বলেন, ভারতের প্রেসক্রিশন অনুযায়ী সংবিধান থেকে আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস তুলে দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতা স্থাপন করার পর সরকারের মদদে কতিপয় হিন্দু ও নাস্তিক সিলেবাসে পরিবর্তন এনে হিন্দুত্ব ও নাস্তিক্যবাদ কায়েমে আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছে। এসব কর্মসূচিতে জেলা নেতৃবৃন্দ নি¤েœাক্ত বিষয়গুলো অন্তর্ভূক্ত করে আমাদের সন্তানদের মুসলমানিত্ব ধ্বংস করে হিন্দুত্ব ও নাস্তিক্যবাদে নিয়ে যাচ্ছে বলে তা বাতিলের দাবি জানান। অন্যথায় আমাদের ঈমান ও আমলের হেফাজতের স্বার্থে দেশবাসীকে সাথে নিয়ে সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তেলা হবে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দেশের অধিকাংশ জেলা সদরেই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কোথাও কোথাও পুলিশী বাধা এবং সরকার দলীয় সন্ত্রাসীদের তোপের মুখে কর্মসূচি পালিত হয়েছে। যেসব জেলায় স্মারকলিপি পেশ হয়েছে সেগুলো হলো- ঢাকা জেলা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মাদারীপুর, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, শরীয়তপুর, শেরপুর, গাজীপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, টাঙ্গাইল, জামালপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম মহানগর, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, নোয়াখালী, কুমিল্লা জেলা পশ্চিম, কুমিলা জেলা পূর্ব, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বি-বাড়ীয়া, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, খুলনা, ঝিনাইদহ, যশোর, নড়াইল, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, রাজশাহী, জয়পুরহাট, বগুড়া, পাবনা, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাও, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, ঝালকাঠী, বরগুনা জেলাসহ প্রায় সকল জেলায়। কোন কোনো জেলায় পুলিশের বাধা সত্ত্বেও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা মহানগর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তরের যৌথ উদ্যোগে বিতর্কিত শিক্ষানীতি বাতিলের দাবিতে গতকাল বিকাল ৪টায় বায়তুল মুকাররম উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর উত্তরের সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাও. শেখ ফজলে বারী মাসউদ। উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাও. গাজী আতাউর রহমান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন ৯৫ ভাগ মুসলমানের দেশে সরকার মানুষের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি খেয়াল না রেখে সর্বনাশা হিন্দুত্ববাদী ও নাস্তিক্যবাদী শিক্ষানীতি চাপিয়ে দেয়ার পাঁয়তারা করছে। তাই সরকারকে জনগণের মনের ভাষা উপলব্ধি করে বিতর্কিত শিক্ষানীতি ও শিক্ষা আইন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। তা না হলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা অভিমুখী লং মার্চসহ কঠিনতর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাও. ইমতিয়াজ আলম, আলহাজ আলতাফ হোসেন, আলহাজ আনোয়ার হোসাইন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সহ-সভাপতি আলহাজ আব্দুর রহমান, মুহা. মোশারফ হোসেন, মাও. এবিএম জাকারিয়া, মুফতি ফরিদুল ইসলাম, এইচ এম সাইফুল ইসলাম, মাছউদুর রহমান, শেখ নুরুন্নবী প্রমূখ।
ঢাকা জেলা
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক হাফেজ মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন বলেছেন, বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী বাম হওয়ার সুবাদে ধর্মনিরপেক্ষ চেতনাকে সিলেবাসে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে এবং ৯২ ভাগ মুসলমানের চিন্তাচেতনায় কুঠারাঘাত করা হয়েছে। কাজেই এই নাস্তিক্যবাদী ও হিন্দুত্ববাদী সিলেবাস মুসলমানরা মেনে নিতে পারে না। তিনি বলেন, অবিলম্বে হিন্দুত্ববাদী সিলেবাস বাতিল করতেই হবে, অন্যথায় আমাদের ঈমান ও আমলের হেফাজতের স্বার্থে দেশবাসীকে সাথে নিয়ে সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪টায় কেরাণীগঞ্জের কদমতলী চৌরাস্তায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা জেলার বিশাল বিক্ষোভ পূব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ঢাকা জেলা সভাপতি আলহাজ সৈয়দ আলী মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।