পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর গুলিস্তান বঙ্গবাজার এলাকায় চাঁদাবাজ ও মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে অনুরোধ করেছেন গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি একটি চক্র ওই এলাকায় বেপরোয়া চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসা করছে। তাদের বিরুদ্ধে মমালা ও সাধারণ ডায়েরি থাকার পরও তাদের চাঁদাবাজি থামছে না। গুলিস্তান শপিং কপ্লেক্সের ব্যবসায়ীদের পক্ষে আশরাফ আলী স্বাক্ষরিত আবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
আবেদনে বলা হয়, গুলিস্তান, বঙ্গবাজার, ফুলবাড়িয়া ও আনন্দবাজারসহ আশপাশের এলাকায় জনৈক আবুল হোসেন ওরফে মহাজন লিটনের নাম ভাঙিয়ে তার সহযোগীরা চাঁদাবাজি করছে। এলাকার হকার ও ছোট বড় ব্যবসায়ী কেউ চাঁদাবাজদের হাত থেকে নিস্তার পাচ্ছে না। এমনকি চাঁদাবাজ ছিনতাইকারীদের দৌরাত্মে সাধারণ মানুষও রাস্তায় নির্বিঘেœ চলতে পারছে না। চাঁদাবাজ চক্রের বিরুদ্ধে মহানগর দায়রা জজ আদালত, প্রথম অতিরিক্ত জজ আদালত, মতিঝিল ও মোহাম্মদপুর থানায় কয়েকটি মামলা রয়েছে। পুলিশ এই চক্রের কয়েক সদস্যকে গ্রেফতার করলে তারা জামিনে মুক্তি পেয়ে ফের চাঁদাবাজি শুরু করে।
আবেদনে আরো বলা হয়, চাঁদাবাজি ও মাদকের কারবার চক্রে রয়েছে মহাজন লিটন, লালন, বাদশা, কালাম, মাসুম, খিজা, জসিম, মঞ্জু, আলগীর, ল্যাংড়া আবুল, সুজন পাটোয়ারী, শরিফ, মোতালেব হাজারী, উজ্জ্বল, টাবুসহ আরো কয়েকজন। তাদের মধ্যে খিজার বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মাদক দ্রব্য আইনসহ বিভিন্ন অভিযোগে তিনটি মমালা রয়েছে। লালনের বিরুদ্ধে ডেমরা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা রয়েছে। লিটনের শ্বাশুড়ি করিমন বিবি মাদকের মামলায় ৩০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। এছাড়া চাঁদাবাজির ও হামলার অভিযোগে ৮ জনের বিরুদ্ধে গত ১২ আগস্ট সন্ত্রাসী হামলা ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে থানায এজহার দেন গুলিস্তানের ব্যবসায়ী ইব্রাহিম খলিল। তারা বহিরাগত হওয়ায় পুলিশ মামলা নেয়নি।
তবে চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে আবুল হোসেন ওরফে মহাজন লিটন বলেন, এলাকায় যুবলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়েছে। তারা শাহবাগ থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দিয়েছে। যারা এসব অভিযোগ করছে তারা সম্রাট বাহিনীর লোক এবং ক্যাসিনো কারবারে সম্পৃক্ত। তারা সম্রাট বাহিনীর বিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।
গুলিস্তান এলাকায় চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসা বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান বলেন, গত ১২ আগস্ট গুলিস্তান এলাকায় যুবলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হওয়ার পর দু’পক্ষেই অভিযোগ নিয়ে থানায় আসে। তারা কেউই শাহবাগ থানা এলাকার বাসিন্দা নয় বরং বহিরাগত। তাই মামলা নেইনি। তবে কারো বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।