ভাদ্রের গোড়াতেই বৃষ্টিপাতে ব্যাপক তারতম্য অব্যাহত রয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগে বৃষ্টির ফোঁটা পড়েনি। ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে অল্পস্বল্প বৃষ্টি ঝরেছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম বিভাগে মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ, অতিবৃষ্টি হয়েছে। বরিশাল বিভাগে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়।
এ সময় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় টেকনাফে ১৬৪ মিলিমিটার। ঢাকায় ৫, চট্টগ্রামে ৬৪ মি.মি. বৃষ্টিপাত হয়। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৫ ডিগ্রি সে.। সেখানে ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত মাত্র ১০ মি.মি.।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

আজ বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। সারাদেশে তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় এবং বায়ুচাপে পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এ কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

দেশের অভ্যন্তরীণ নদী বন্দরসমূহের জন্য সতর্কতায় বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং
সিলেট অঞ্চলের উপর দিয়ে দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেই সাথে বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। এসব এলাকার নদী বন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে।