Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গরমে বেড়েছে ওয়ালটনের স্মার্ট ইনভার্টার এসির বিক্রি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ আগস্ট, ২০২০, ৩:৪৩ পিএম

এসি এক্সচেঞ্জ, ফ্রি এসি বা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত নিশ্চিত নগদ ছাড়ের সুবিধা ভাদ্রের তালপাকা গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। তাছাড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে ঘরেই কাটছে সময়। এ অবস্থায় স্বস্তি¡র শীতল পরশ দিতে জুড়ি নেই এয়ারকন্ডিশনার বা এসির। সারা দেশে বেড়েছে দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটনের এয়ার কন্ডিশনার বা এসির চাহিদা ও বিক্রি। সাশ্রয়ী মূল্যে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার সমৃদ্ধ অসংখ্য মডেলের এসির পাশাপাশি বাড়তি ক্রেতা সুবিধা থাকায় এই গরমে গ্রাহক চাহিদার শীর্ষে ওয়ালটন এসি।

জানা গেছে, এবারের গরমে বেশী বিক্রি হচ্ছে ওয়ালটনের স্মার্ট ইনভার্টার এসি। এটি ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। শুধু তাই নয়; এসিতে দৈনিক কিংবা মাসিক বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণও জানা যাচ্ছে। এছাড়া ভয়েস কমান্ডের পাশাপাশি মুঠোফোনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ বা পরিচালনা করা যাচ্ছে ওয়ালটন স্মার্ট এসি। এতে ব্যবহৃত ডুয়েল ডিফেন্ডার প্রযুক্তি রুমকে রাখছে ধূলাবালি, ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসমুক্ত। সর্বাধুনিক এসব প্রযুক্তি ও ফিচারের কারণে এবারের গরমে এসি ক্রেতাদের কাছে ‘হটকেক’ হয়ে উঠেছে ওয়ালটনের স্মার্ট এসি।

গ্রাহকের হাতে উন্নত মানের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এসি তুলে দেয়ার পাশাপাশি বাড়তি ক্রেতা সুবিধাও দিচ্ছে ওয়ালটন। দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিম্বা ই-প্লাজা থেকে একটি এসি কিনে আরেকটি নতুন এসি সম্পূর্ণ ফ্রি পাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রেতারা। এছাড়া সবার জন্য রয়েছে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত নিশ্চিত ক্যাশব্যাক। আছে ফ্রি ইন্সটলেশন সুবিধা। ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৭ এর আওতায় এসব সুযোগ দিচ্ছে ওয়ালটন।

এদিকে অনলাইন ক্রেতাদের জন্য ‘এসি মিড সিজন ক্রেজি ডিল’ শীর্ষক সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন ই-প্লাজা। এর আওতায় ই-প্লাজায় ইনভার্টারসহ মোট ৪০টি নির্দিষ্ট মডেলের এসিতে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য ছাড় পাচ্ছেন ক্রেতারা। এছাড়া আয়োনাইজার প্রযুক্তির ওয়ালটনের দেড় টন এসি মাত্র ৩২ হাজার ৪৩৫ টাকায় এবং ১ টন এসি মাত্র ২৭ হাজার ৬৭৫ টাকায় কেনা যাচ্ছে।

ফ্রি এসি, নগদ ছাড়ের পাশাপাশি ক্রেতাদের ‘এসি এক্সচেঞ্জ’ সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। এর আওতায় গ্রাহকেরা যেকোনো ব্র্র্যান্ডের পুরনো এসি জমা দিয়ে ওয়ালটনের যেকোনো মডেলের নতুন এসি ২৫ শতাংশ ছাড়ে কিনতে পারছেন। ইতোমধ্যে দেশব্যাপী অসংখ্য গ্রাহক তাদের পুরনো এসি বদলে কিনেছেন ওয়ালটনের নতুন এসি।

ওয়ালটন এসির চীফ অপারেটিং অফিসার মাহফুজুর রহমান বলেন, গরমে এসি বিক্রি বেশ ভালো। মূলত বাজারে সাশ্রয়ী দামে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের অসংখ্য মডেলের এসি ছাড়ার পাশাপাশি ক্রেতাদের বাড়তি সুবিধা দেয়ায় করোনা দুর্যোগের মধ্যেও ওয়ালটনের এসি বিক্রি বেড়েছে। বিশেষ করে গতবছরের চেয়ে এবারের গরমে ওয়ালটনের ইনভার্টার স্মার্ট এসি বেশি বিক্রি হচ্ছে।

তিনি বলেন, করোনা ইস্যুতে মানুষের মাঝে এসি নিয়ে অমুলক সন্দেহ ও ভীতি ছিলো। কিন্তু এখন সবাই বুঝতে পারছেন এসির মাধ্যমে কোনোভাবেই করোনা ছড়ানোর নজির নেই। যে কারণে এখন এসির চাহিদা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে।

ওয়ালটন এসি আরএনডি (গবেষণা ও উন্নয়ন) বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী সন্দ্বীপ বিশ্বাস জানান, বাংলাদেশে ওয়ালটনই প্রথমবারের মতো আইওটি বেইজড স্মার্ট এসি নিয়ে এসেছে। এসিতে প্রতিদিন বা মাসিক বিদ্যুৎ বিল কত আসছে? ভোল্টেজ লো না হাই? কম্প্রেসর কি ওভারলোডে চলছে? ওয়ালটনের ইনভার্টার স্মার্ট এসিতে এসবের উত্তর মিলবে সহজেই। রিমোট কন্ট্রোল ছাড়াই গ্রাহক ভয়েস কমান্ডের মাধ্যমে ওয়ালটন স্মার্ট এসির শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বাড়ানো, কমানো, চালু বা বন্ধ করতে পারবেন। মোবাইল ফোনের ইন্টারনেটের মাধ্যমেও বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে ওয়ালটন স্মার্ট এসি নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

তিনি জানান, ওয়ালটন ইনভার্টার স্মার্ট এসিতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয় ৬০ শতাংশ পর্যন্ত। এই এসিতে ঘন্টায় বিদ্যুৎ খরচ হয় মাত্র ৩ টাকা ৭৪ পয়সা। এছাড়া এসির কম্প্রেসরে ব্যবহৃত হচ্ছে বিশ্বস্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব এইচএফসি গ্যাসমুক্ত আর৪১০এ ও আর-৩২ রেফ্রিজারেন্ট। রয়েছে টার্বোমুড ও আয়োনাইজার প্রযুক্তি, যা দ্রুত ঠান্ডা করার পাশাপাশি রুমের বাতাসকে ধুলা-ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্ত করে। ইভাপোরেটর এবং কন্ডেন্সারে মরিচারোধক গোল্ডেন ফিন কালার প্রযুক্তি ব্যবহার করায় ওয়ালটন এসি অনেক টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী।

ওয়ালটন এসি সেলস মনিটরিং বিভাগের প্রধান জাহিদুল ইসলাম, ওয়ালটনের প্রতিটি এসি আন্তর্জাতিকমানের টেস্টিং ল্যাব নাসদাত-ইউটিএস থেকে মান নিয়ন্ত্রণ সনদ পাওয়ার পরে বাজারজাতকরা হয়। আর তাই এসিতে এক বছরের রিপ্লেসমেন্টের পাশাপাশি কম্প্রেসরে ১০ বছর পর্যন্ত গ্যারান্টি সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন।

১, ১.৫ এবং ২ টনের স্পিøট এসির পাশাপাশি স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, হাসপাতাল, হোটেলের মতো মাঝারি স্থাপনার জন্য ৪ ও ৫ টনের ক্যাসেট ও সিলিং টাইপ এসি ব্যাপকভাবে বাজারজাত করছে ওয়ালটন। আর বড় স্থাপনার জন্য ওয়ালটনের রয়েছে ভেরিয়্যাবল রেফ্রিজারেন্ট ফ্লো বা ভিআরএফ (ঠজঋ) এবং চিলার (ঈযরষষবৎ) এসি।

দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় সারা দেশে রয়েছে ৭৪টি সার্ভিস সেন্টার। যেখানে কাজ করছেন আড়াই হাজারেরও বেশি সার্ভিস এক্সপার্টস। ওয়ালটনের দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলী এবং টেকনিশিয়ানগণ প্রতি ১০০ দিন পর পর এসির ক্রেতাদের ফ্রি সার্ভিসিং দিচ্ছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ‌ওয়ালটন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ