পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জামালপুর জেলা সংবাদদাতা : বন্যার পানিতে ভেসে আসা ভারতীয় বন্যহাতি এখন জামালপুরের সরিষাবাড়ি পৌর এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। গত ৪ দিন সাতপোয়া ইউনিয়নের সোনাকান্দা গ্রামে থাকার পর বৃহস্পতিবার রাতে স্থান পরিবর্তন করে পৌরসভার ফুলবাড়িয়ায় চলে আসে। হাতিটি গত সন্ধ্যায়ও গ্রামে অবস্থান করায় আক্রমণের ভয়ে আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার ভারতীয় ৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল জামালপুরে এসে দুপুর ১টায় জেলা প্রশাসকের সাথে বৈঠক করেন। পরে তারা সরিষাবাড়ির সোনাকান্দা এলাকায় গিয়ে হাতির অবস্থান দেখেন। প্রতিনিধিদলের প্রধান ডা. কিশোয়াল কুমার শর্মা বলেন, আমরা হাতিটি ফেরত নিতে আসিনি। আমরা দেখতে এসেছি তার আচরণ এবং শারীরিক অবস্থা। তিনি বলেন, ভারতে আসামে প্রতি বছর হাতির আক্রমণে কমপক্ষে ২শ’ জন প্রাণ হারায়। তাই ভারতীয় কোন অঞ্চলের এই হাতি তা নির্ণয় করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, হাতিটি যেহেতু বাংলাদেশে অবস্থান করছে এখন এটা বাংলাদেশের সম্পদ। তবে তারা মনে করেন, হাতিটি যে স্থান থেকে এসেছে সে একাই তার স্থানে চলে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। বন্যার পানি চলে গেলে হয়তো হাতিটি আর বাংলাদেশে থাকবে না।
শুক্রবার সকাল ১১টায় ভারতীয় দলের সদস্যরা সরিষাবাড়ির পৌর এলাকার ফুলবাড়িয়ায় হাতিটি পর্যবেক্ষণ করেছেন। গত ২৮ জুন ভারতের আসাম রাজ্যের গহীন অরণ্য থেকে উজানে পানিতে ভেসে আসা হাতিটি প্রথমে আটকা পড়ে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের নয়াচরে। সেখান থেকে হাতিটি জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ হয়ে বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ জেলার যমুনা নদীর দুর্গমচরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ছুটে বেড়ায় নিরাপদ আশ্রয় ও খাবারের খোঁজে। স্থানীয় প্রশাসন ও বন বিভাগ হাতিটির খোঁজখবর রাখছে।
বন্য হাতিটি এভাবে ঘুরতে ঘুরতে বুধবার রাতে চলে আসে জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলা বড়বাড়িয়া গ্রামের একটি বিলে। বিলের চারদিকে লোকালয় হওয়ায় হাতিটি নিরাপদ আশ্রয় ও খাবার খুঁজতে বারবার ডাঙ্গায় ওঠার চেষ্টা করে। তবে স্থানীয়দের বাধার মুখে পানিতেই থাকতে হচ্ছে তাকে। বন্যহাতিটি দেখার জন্য উৎসুক জনতা ভিড় করছে। আতঙ্কে রয়েছে গ্রামবাসী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।