পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনীতির সব চেয়ে ভালো সূচক প্রবাসীদের আয় রেমিট্যান্সের গতি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। চলতি আগস্ট মাসের প্রথম ১৩ দিনে ৮৬ কোটি মার্কিন ডলার সমপরিমাণ প্রবাসীদের আয় বৈধ পথে দেশে এসেছে। চলতি মাসে যে হারে রেমিট্যান্স আসছে তার গতি না বাড়লে জুলাইয়ের তুলনায় আগস্টে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ অনেক কমে যাবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনার প্রার্দুভাবে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের অর্থনীতি অচল হয়ে পড়ে। মার্চ-এপ্রিলে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। কর্মহীন হয়ে পড়েন অনেক প্রবাসী শ্রমিক। পরে মে মাস থেকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে থাকে। আস্তে আস্তে বিশ্ব পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। অচলাবস্থা কাটিয়ে অনেক দেশের অর্থনীতি স্বাভাবিক হয়ে গেছে। খুলে দেয়া হয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য। ফলে রেমিট্যান্স প্রবাহও বাড়তে থাকে।
এছাড়া ঈদকে কেন্দ্র করে দেশের স্বজনদের জন্য ধার-দেনা করে বেশি রেমিট্যান্স পাঠাতে থাকেন প্রবাসীরা। ঠিক ওই সময় করোনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সব কিছু বন্ধ থাকায় অবৈধ হুন্ডিও প্রায় বন্ধ ছিল। পাশাপাশি বৈধ পথে অর্থ পাঠালে ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা মিলছে। এসব কারণে চলতি বছরের জুন ও জুলাইয়ে বৈধপথে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স আসে বাংলাদেশে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সউদী আরবে করোনার কারণে হজের স্বাভাবিক কার্যক্রম না থাকায় হোটেল-রেস্তোরাঁসহ অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। ফলে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন প্রবাসী শ্রমিকরা। অনেকে দেশে ফিরে এসেছেন। আবার কেউ অপেক্ষায় রয়েছেন ফিরে আসার। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশেও অবস্থা খুব ভালো নয়। এসব কারণে আগামীতে রেমিট্যান্সের গতি ধরে রাখা কঠিন হবে। এজন্য বৈধ পথে রেমিট্যান্স আহরণ সহজ করাসহ নানা সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো জরুরি বলছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সব শেষ তথ্য বলছে, চলতি আগস্ট মাসের প্রথম ১৩ দিনে ৮৬ কোটি ৩১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় (বিনিময় হার ৮৫ টাকা) যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৭ হাজার ৩৩৬ কোটি টাকা। চলমান এ ধারায় রেমিট্যান্স এলে আগস্টে ২০০ কোটি ডলারের নিচে চলে আসবে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ।
চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিরা প্রায় ২৬০ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে একক মাস হিসাবে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ। এর আগে চলতি বছরের জুনে একক মাসে ১৮৩ কোটি ডলারের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে বাংলাদেশে। তারও আগে এক মাসে সর্বোচ্চ ১৭৪ কোটি ৮১ লাখ ডলার রেমিট্যান্সের রেকর্ড ছিল গত বছরের মে মাসে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সদ্য সমাপ্ত ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রবাসীরা মোট এক হাজার ৮২০ কোটি ৪৯ লাখ ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন। দেশীয় মুদ্রায় যা এক লাখ ৫৪ হাজার ৭৪২ কোটি টাকা দাঁড়ায় (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে)। এর আগে কোনো অর্থবছরে এত অর্থ দেশে আসেনি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স আহরণে রেকর্ড হয়। ওই সময়ে প্রবাসীরা এক হাজার ৬৪২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। সেই হিসাবে আগের অর্থবছরের তুলনায় সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১৭৮ কোটি ৫৩ লাখ ডলার বা ১৫ হাজার কোটি টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।