পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রামে ওয়ার্ড কাউন্সিলর কবির আহমেদের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ
চট্টগ্রাম ব্যুরো : খেলার মাঠ নেই। মাঠ থাকলেও খেলাধুলা নেই। আর এই কারণেই তরুণ সমাজের একাংশ মাদক ও জঙ্গিবাদের দিকে ঝুঁকছে। তাদের বিপদগামী হওয়া ঠেকাতে ব্যক্তিক্রমী এক উদ্যোগ নিয়েছেন চট্টগ্রামের এক জনপ্রতিনিধি। নগরীর ১৪ নং লালখান বাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এ এফ কবির আহমেদ (মানিক) মনে করেন খেলাধুলাই পারে তরুণদের সুপথে ফিরিয়ে আনতে। যুবকরাই আগামী দিনের বাংলাদেশ। তারা বিপদগামী হবে আর একজন সচেতন অভিভাবক হয়ে তিনি তা নীরবে মেনে নেবেন- এমন কথা তিনি চিন্তাও করতে পারছে না।
আর তাই নিজ উদ্যোগে শুরু করেছেন ফুটবল বিতরণ কর্মসূচি। নিজ ওয়ার্ডের পাশাপাশি নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে পর্যায়ক্রমে ফুটবল বিতরণ করবেন তিনি। লালখান বাজার ওয়ার্ডের কিশোর-যুবকদের দিয়েই শুরু এই অভিনব কর্মসূচি। নগরীর বিভিন্ন ক্লাব, পাঠাগার, সামাজিক সংগঠন সকলের মাঝে তিনি বিতরণ করছেন ফুটবল। সেই সাথে তিনি কিশোর-যুবকদের খেলামুখি করার আহ্বানও জানিয়ে আসছেন। নগরীর সকল অভিভাবক ও শিক্ষকদের প্রতি তার উদাত্ত আহ্বান কিশোর যুবকদের খেলামুখি করুন। তাদের মাদক আর জঙ্গিবাদের কালো থাবা থেকে দূরে রাখুন।
জঙ্গিবাদের ভয়ঙ্কর উত্থানে দেশব্যাপী চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে জঙ্গিবিরোধী নানা কর্মসূচি চলছে। এর মধ্যেই গত ১১ জুলাই তিনি নিজ উদ্যোগে এই ফুটবল বিতরণ কর্মসূচি শুরু করেন। ইতোমধ্যে তিনি অনেকের হাতে ফুটবল তুলে দিয়েছেন। চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনও তার ফুটবল বিতরণ কর্মসূচির প্রসংশা করেছেন। একটি এমন একটি কর্মসূচিতে মেয়র নিজেও উপস্থিত ছিলেন।
করিব আহমেদ মানিক বলেন, আমি মনে করে কিশোর যুবকদের খেলার মাঠে ফিরিয়ে আনতে পারলে মাদক আর জঙ্গিবাদের ছোবল থেকে তাদের রক্ষা করা যাবে। খেলার মাঠে থাকলে তাদের শরীর স্বাস্থ্য যেমন ভাল থাকবে, তেমনি তারা সৃজনশীল হয়ে উঠবে। ফুটবল তাদের মধ্যে নৈতিক মানবিক মূল্যবোধ সেই সাথে ধর্মীয় চেতনার জাগ্রত করবে। দেখা যাবে খেলার মাঠে তাদের উপস্থিতি যেমন বাড়বে তেমনি মসজিদের তাদের সংখ্যা বাড়ছে। তারা প্রকৃত ধর্মীয় অনুশীলন মেনে চলছে।
তিনি বলেন, আমি ফুটবল বিতরণ করছি। কোন ক্লাব বা সংগঠনের উদ্যোগে আমার কাছ থেকে ফুটবল সংগ্রহ করতে পারবে। ব্যক্তিগতভাবেও কেউ যোগাযোগ করলে তাদের কাছে ফুটবল পৌঁছে দেয়া হবে। তিনি বলেন, যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন এই কাজ করে যাব। তিনি নগরীর সব ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও জনপ্রতিনিধিদের এধরনের কর্মসূচি নিয়ে যুবসমাজের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এমন উদ্যোগ তেমন একটা ব্যয়বহুল নয়। তবে সদিইচ্ছা আর আন্তরিকতা থাকলে মানুষ অনেক কিছুই করতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।