পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে অচল হয়ে পড়ে পুরো বিশ্ব বাণিজ্য। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে সেবা খাতের রফতানি বাণিজ্যেও। গেল ২০১৯-২০ অর্থবছরে (জুলাই-জুন) দেশের সেবা খাতে রফতানি আয় এসেছে ৬১৩ কোটি মার্কিন ডলার। এই আয় আগের অর্থবছরের তুলনায় ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ কম। এছাড়া এটি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ কম। সোমবার (১৭ আগস্ট) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ইপিবি জানিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সংগ্রহকৃত পরিসংখ্যান থেকে মোট তিনটি ভাগে সেবা খাতে রফতানি আয়ের সংকলন করা হয়েছে। এ তিনটি ভাগ হলো— গুডস প্রকিউরড ইন পোর্টস বাই ক্যারিয়ারস, গুডস সোল্ড আন্ডার মার্চেন্টিং ও সার্ভিসেস। প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, গেল ২০১৯-২০ অর্থবছরের দেশের সেবা খাতে রফতানি আয় এসেছে ৬১৩ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার ডলার। যা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ কম। গেল অর্থবছরে সেবা রফতানি আয়ের লক্ষ্য ঠিক করেছিল ৮৫০ কোটি ডলার।
ইপির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সেবা রফতানি করে দেশ আয় করেছিল ৬৪৯ কোটি ২৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার। ওই অর্থবছরে সেবা রফতানির প্রবৃদ্ধি ভালো ছিল। সেই ধারাবাহিকতায় গেল অর্থবছরে সেবা রফতানির আয়ের লক্ষ্য ঠিক করে সরকার। কিন্তু মহামারি করোনায় পণ্য রফতানির সঙ্গে সেবা রফতানিতেও হোঁচট খেয়েছে বাংলাদেশ। রফতানির এ আয়ের মধ্যে সরাসরি সেবা খাত থেকে এসেছে ৬০৫ কোটি ডলার। বাকিটা দেশের বন্দরগুলোতে পণ্যবাহী জাহাজগুলোর কেনা পণ্য ও সেবা এবং মার্চেন্টিংয়ের অধীনে পণ্য বিক্রির আয়।
সেবার অন্য উপখাতগুলোর মধ্যে ‘অন্যান্য ব্যবসায় সেবা’ থেকে ৮৮ লাখ ৬১ হাজার ডলার, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি থেকে ৪৭ কোটি ৪২ লাখ ডলার, বিভিন্ন ধরনের পরিবহন সেবা থেকে ৫৭ কোটি ৩৯ লাখ ডলার, ভ্রমণ সেবা উপখাত থেকে ৩২ কোটি ডলার এবং বীমা ছাড়া আর্থিক সেবা খাত থেকে ১৬ কোটি ডলার রফতানি আয় করেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ থেকে রফতানি হওয়া সেবাপণ্যের মধ্যে রয়েছে ম্যানুফ্যাকচারিং সার্ভিসেস অন ফিজিকাল ইনপুটস, মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড রিপেয়ার, ট্রান্সপোর্টেশন, কন্সট্রাকশন সার্ভিসেস, ইনস্যুরেন্স সার্ভিসেস, ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, চার্জেস ফর দ্য ইউজ অব ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি, টেলিকমিউনিকেশন সার্ভিসেস, আদার বিজনেস সার্ভিসেস, পার্সোনাল-কালচার-রিক্রিয়েশনাল ও গভর্নমেন্ট গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস।
এদিকে গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ আয় করে তিন হাজার ৩৬৭ কোটি ৪১ লাখ ডলার। পণ্য রফতানির এই আয় আগের অর্থবছরের তুলনায় ১৭ শতাংশ এবং লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৬ শতাংশ কম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।