পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নোয়াখালী ব্যুরো ও কোম্পানিগঞ্জ সংবাদদাতা : কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নে দুর্বৃত্তের গুলিতে আবু সুফিয়ান (৩৬) নামক স্থানীয় এক যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে চৌধুরীহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবু সুফিয়ান একই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের আবদুর রশিদের ছেলে। সে চরপার্বতী ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছিল বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে বিক্ষুব্দ লোকজন হত্যাকারী আজাদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং উক্ত বাড়ি থেকে অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাতে চৌধুরীহাট বাজারের আল সালাম হোটেলের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন যুবলীগ নেতা আবু সুফিয়ান। এসময় হোটেলের পাশে আগে থেকে ওঁৎপেতে থাকা সন্ত্রাসী আজাদ ও তার লোকজন সুফিয়ানের মাথায় গুলি করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন আবু সুফিয়ানকে উদ্ধার করে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে রাত ১১টার দিকে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুফিয়ানকে মৃত ঘোষণা করেন।
চরপার্বতী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন কামরুল জানান, নিহত সুফিয়ান ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা। আজাদ এর আগেও চীন শাখা আওয়ামী লীগের নেতা জাহেদুল আলম মারুফ হত্যার সাথে জড়িত ছিল। বর্তমানে সে জামিনে রয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সৈয়দ মোঃ ফজলে রাব্বী জানান, মারুফ হত্যা মামলার আসামি আজাদ কয়েকদিন আগে জামিনে বের হয়ে এসেছিল। যুবলীগ নেতা আবু সুফিয়ানকে মাথায় গুলি করে হত্যা করেছে আজাদ।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৯ মার্চের রাতে আজাদ, ইয়াছিন ও বেলালসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী চৌধুরীহাট বাজারে চীন শাখা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদুল আলম মারুফকে গুলি করে হত্যা করে। পরে ওই ঘটনায় পুলিশ আজাদসহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।