পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : সারা দেশে অব্যাহত বন্যায় কৃষি জমি প্লাবিত হওয়ার অজুহাতে বাড়ছে সবজিসহ কাঁচা পণ্যের দাম। বিশেষ করে মরিচের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি প্রায় ২০ টাকা। সেই সাথে অন্য সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও বেড়েছে। বিক্রেতারা বলছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা ও টানা বৃষ্টির কারণে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। উত্তরাঞ্চলের বন্যার কারণে কাঁচা পণ্যের সরবরাহ কম থাকায় পণ্যের দাম বেড়েছে। এ রকম চলতে থাকলে কাঁচা বাজারের দাম বাড়তেই থাকবে।
রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচাপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। গত সপ্তাহের তুলনায় কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ, বেগুনের দাম বেড়েছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। এছাড়া কয়েকটি সবজির দাম বেড়েছে। বরাবরের মতো কারওয়ান বাজারের পাইকারী বাজারের তুলনায় স্থানীয় বাজারগুলোতে সবজি দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর স্থানীয় বাজারগুলোতে ঢেঁড়স, রেখা, মুলা, ঝিঙা, জালি, বরবটি, ধুনধুল, পটোল ও টমেটো বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ৫০ টাকা থেকে ৭০ টাকা করে। বেগুনের দাম বেড়ে ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি। কচুরমুখী ৬০ টাকা, ধনেপাতা ১৬০, কাঁচামরিচ ১২০, করলা ৬০, পেঁপে ৪০, শসা ৫০, গাজর ৫০, কাঁচাকলা ৩০ টাকা হালি, লেবু ২০ টাকা হালি, মিষ্টি কুমড়া (ছোট) ৩০ টাকা পিস, লাউ ৪০ টাকা, প্রতিকেজি আলু ২৫ টাকা। এছাড়া বাজারে নতুন শিম পাওয়া যাচ্ছে কেজি প্রতি ১০০ টাকা করে। লাল শাকের মুঠো ১৫ টাকা, পুঁই শাকের ২০ টাকা, লাউ শাক ২০ টাকা করে পাওয়া যাচ্ছে।
তবে কাঁচাবাজারে দাম বাড়ার প্রবণতা থাকলেও রাজধানীর বাজারে এ সপ্তাহে গোশতের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্রয়লার প্রতিকেজি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। লেয়ার ১৮০ টাকা প্রতিকেজি। আকারভেদে দেশি মুরগি কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকা। পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ২২০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা। এ সপ্তাহে গরুর গোশত (বাজারভেদে) ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা। খাসির গোশত ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে বন্যার প্রভাবে বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। এছাড়া রসুন, চিনি ও ডালের চাহিদা দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। পেঁয়াজ (দেশি) ৫০ টাকা, পেঁয়াজ (আমদানি) ৪৫ টাকা। এ সপ্তাহে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭২ টাকা। মসুর ডাল (দেশি) মানভেদে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, (আমদানি) মানভেদে ১০০ থেকে ১৩০ টাকা। মুগ ডাল (মানভেদে) ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চালের দাম গত সপ্তাহে যে দাম বেড়েছে তা স্থিতিশীল রয়েছে।
এছাড়া মাছের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা। তবে ক্রেতাদের দাবি এ সপ্তাহে মাছের দাম একটু বেড়েছে।
এছাড়া মাছের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানান ক্রেতা-বিক্রেতারা। বাজারে মাছের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। আকার ভেদে প্রতি কেজি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা, কাতল ২৫০-৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, প্রকার ভেদে চিংড়ি ৬৫০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা, টেংরা ৪৫০ টাকা, সিলভার কার্প ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, এবং দেশি মাগুর ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি গরুর গোশত ৪৪০-৪৫০ টাকা, খাসির গোশত ৬০০-৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।