পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ইফা মহাপরিচালক সামীম মো. আফজাল ক্যান্সারে আক্রান্ত। চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যাবেন। তাই তড়িঘড়ি করে তিনি গত মঙ্গলবার সিলেকশন কমিটির সভা ডাকলেন। পরিচালকসহ বিভিন্ন পদে তার কয়েকজন নিকট আত্মীয়কে পদোন্নতি দেয়া মূল লক্ষ্য। ওই পদসমূহে পদোন্নতির ওপর হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। মিটিং শুরু হলে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার কপি বোর্ড সদস্যদের হাতে আসে। আদালতে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ১৫ জনের শর্ট লিস্টে ২০০১ সালে যোগদান করা জুনিয়র অফিসারদের নাম ছিল দেখে বোর্ড সভার সদস্যগণ এ বিষয়ে সভা আহ্বান না করতে সাবধান করে দেন মহাপরিচালককে। ফলে ১০ মিনিটের মধ্যে বাতিল হয়ে যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পদোন্নতির সভা।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটিতে পরিচালক, উপপরিচালক, সহকারী পরিচালকসহ বিভিন্ন পদে পদোন্নতির জন্য মঙ্গলবার এ সভার আয়োজন করা হয়। এতে পরিচালক পদে পদোন্নতির জন্য মহাপরিচালকের ফুফাতো ভাই, ভায়রা ভাই, পীরভাইসহ ১৫ জনের ১টি শর্ট লিস্ট প্রস্তুত করা হয়। এ লিস্টে অন্যান্যের মধ্যে রয়েছেন বরিশালের ইমাম প্রশিক্ষণের উপ-পরিচালক ফজলুর রহমান, সিলেটের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ, ঢাকার গণ-শিক্ষার উপ-পরিচালক এ বি এম শফিকুল ইসলাম, হিসাব বিভাগের উপ-পরিচালক মফিজুর রহমান, উপ-সচিব জালাল আহমেদ এবং প্রকাশনা বিভাগের উপ-পরিচালক শাহ মো. এমরান। জ্যেষ্ঠক্রম তালিকায় এ ১৫ জনের বেশিরভাগেরই অবস্থান ৫০ জন সিনিয়র কর্মকর্তার নিচে। কারো কারো অবস্থান সম্মিলিত জ্যেষ্ঠক্রম তালিকায় ১০০ জনেরও নিচে। তাদেরকে পদোন্নতির যোগ্য শতাধিক কর্মকর্তাকে অযোগ্য বলে সভায় কাগজপত্র উপস্থাপন করা হলে বোর্ড সদস্যগণের অনেকে আপত্তি তোলেন। আর এ বিষয়ে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার প্রশ্ন উত্থাপিত হলে মহাপরিচালক বলেন, পরিচালক তাহের হোসেন তাকে বিষয়টি জানাননি। এ অবস্থায় বোর্ড সদস্যরা হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি গোপন করে এরূপ সভা আয়োজনের প্রতিবাদ করে দ্রুত সভা শেষ করে দেন।
উল্লেখ্য, ইসলামিক ফাউন্ডেশনে নিয়োগ এবং পদোন্নতি নিয়ে অনিয়ম এবং দুর্নীতি এখন প্রকাশ্য রূপ লাভ করেছে। মহাপরিচালকের ঘনিষ্ঠ ২ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ চক্র মোটা টাকার বিনিময়ে এ নিয়োগ ও পদোন্নতি নিয়ন্ত্রণ করছে বলে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। মঙ্গলবার সিলেকশন কমিটির সভায় পরিচালক পদে পদোন্নতির জন্য প্রস্তুত করা ১৫ জনের শর্ট লিস্টের ১ জন হচ্ছেন মাদরাসা-ই-আলিয়া, ঢাকার সাবেক শিবির ক্যাডার। কিন্তু মহাপরিচালকের ভায়রা ভাই হওয়ার সুবাদে তার নামও পরিচালক পদে পদোন্নতির লিস্টে রাখা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।