পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এ কে এম আব্দুল্লাহ, নেত্রকোনা থেকে : নেত্রকোনার প্রত্যন্ত অঞ্চলে উৎপাদিত নজরকাড়া সুস্বাধু বিদেশী ফল রাম্বুটান ক্রমেই দেশের জনগণের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
রাম্বুটান মূলত দেশীয় ফল নয়, এটি বিদেশী ফল। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় ব্যাপক ভাবে উৎপাদিত হয়। দেখতে অনেকটা কদম ফুলের মতো। কাঁচা অবস্থায় সবুজ দেখালেও পাঁকলে লাল দেখায়। ফলের গা থেকে শক্ত ও পুরো খোসা ছাড়িয়ে নিলেই মনে হবে দেশীয় ফল লিচু। কিন্তু এটি আসলে লিচু নয়। সুস্বাদু এই ফল একবার খেলে আরেকবার খেতে ইচ্ছে করে। রাম্বুটান খেতে ইচ্ছে হলে এখন আর থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ায় যেতে হবে না। নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামে চাষ হচ্ছে রাম্বুটান। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, পল্লী চিকিৎসক ওসমান গনি গাছ থেকে রাম্বুটান ফল সংগ্রহ করছেন। তার সাথে কথা বললে তিনি জানান, সংসারের অভাব অনটন দূর করতে তিনি মালয়েশিয়ায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে যান। ১৯৯৩ সালে প্রবাস জীবন শেষে দেশে ফিরে আসার সময় তিনি পরিবারের জন্য ২ কেজি রাম্বুটান ফল কিনে নিয়ে আসেন। ফল খেয়ে বীজ ফেলে দেয়ার বেশ কিছুদিন পর দেখা যায় সেখান থেকে দুটি চারা জন্ম নিয়েছে। সেই চারা দুটির প্রয়োজনীয় যতœ নেয়ায় ১৯৯৯ সালে প্রথম ফলন দেয়। একেকটি রাম্বুটানের ওজন সর্বনিম্ন ৩৫ গ্রাম থেকে সর্বোচ্চ ৫৫ গ্রাম পর্যন্ত হয়। প্রথম বছরই গাছে ৪০ থেকে ৫০ কেজি উৎপাদিত হয়। দিন দিন এর উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি প্রতি কেজি বিক্রি করেন সাড়ে তিন শত টাকা থেকে চার শত টাকা করে। ফল বিক্রির সময় হলে প্রতি বছর দূর দূরান্তের জেলা উপজেলা থেকে ভোজনরসিক মানুষজন রাম্বুটান সংগ্রহের জন্য তার বাড়িতে ভিড় করেন। অনেকেই মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে প্রিয়জনের জন্য উপহার হিসেবেও ফলটি নিয়ে থাকেন। এতে তার বেশ আয় হচ্ছে। তার দেখা দেখি গ্রামের অন্যান্য লোকেরাও তার কাছ থেকে ফল কিনে নিয়ে চারা উৎপাদনের মাধ্যমে রাম্বুটান চাষে এগিয়ে আসছে।
নেত্রকোনা জেলা শহর থেকে ‘রাম্বুটান’ কিনতে আসা নেত্রকোনা সরকারি কলেজের সাবেক জি এস হাবিবুর রহমান খান রতন, আইনজীবী নূর-ই-এলাহি খান এই সুস্বাদু ফলটির প্রশংসা করে বলেন, ফলটি পাকলে প্রতি বছরই তারা পরিবার পরিজন ও বন্ধু-বান্ধবের জন্য কিনে নিয়ে যান।
নেত্রকোনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিলাস চন্দ্র পাল জানান, এটি রাম্বুটান হিসেবে পরিচিত হলেও এর বৈজ্ঞানিক নাম নেফেলিয়াম লেফাসিয়াম। এটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল। গাছে ও ফলে তেমন কোন রাসায়নিক সার ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। তিনি আরও বলেন, এই ফলটি চাষ করে কৃষকরা কম পরিশ্রমে আর অল্প সময়ে অধিক লাভবান হতে পারেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।