পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দস্যুদের দুইটি স্থাপনা ও ওয়াচ টাওয়ার ধ্বংস
মংলা সংবাদদাতা : সুন্দরবনে নৌদস্যু ও বনদস্যু নির্মূল করতে কোস্টগার্ড ও বনবিভাগ যৌথভাবে পরিচালিত অপারেশন্স পাইরেটস হান্ট এর ২য় দিনে নৌদস্যু ও বনদস্যুদের বিভিন্ন স্থাপনা ও ওয়াচ টাওয়ার ধ্বংস করা হয়েছে বলে কোস্টগার্ড দাবি করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাইরেঞ্জের হারবারিয়া এলাকা থেকে লেফটেনেন্ট এম সেলিম বিশ্বাসের নেতৃত্বে ওই অপারেশন শুরু হয়। এ সময় বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও বনবিভাগের জাহাজসহ যৌথবাহিনীর ৮০ সদস্য এ অভিযানে অংশ নিয়েছেন। হারবারিয়া থেকে শুরু হওয়া ওই অপারেশন সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন চর এলাকায় অভিযান চালাবে বলে জানা গেছে।
কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের স্টাফ অফিসার অপারেশন্স লেফটেন্যান্ট এম ফরিদুজ্জামান খান জানান, সুন্দরবনে নৌদস্যু ও বনদস্যু নির্মূল করতে কোস্টগার্ড ও বনবিভাগ যৌথভাবে অপারেশন্স পাইরেটস হান্ট-এর ২য় দিনে (শুক্রবার) নৌদস্যু ও বনদস্যুদের বিভিন্ন স্থাপনা ও ওয়াচ টাওয়ার ধ্বংস করেছে। সুন্দরবনের এই স্থাপনাসমূহ হতে জেলেদের উপর অত্যাচার, মুক্তিপণ আদায়, নৌকা ও অন্যান্য মালামাল লুণ্ঠন করত। এসব ধ্বংসের ফলে স্থানীয় জেলে ও মৌয়ালরা নৌদস্যুদের হাত থেকে রক্ষা পাবে। পূর্ব সুন্দরবনে হারবারিয়া এলাকা হতে এই অপারেশন্স শুরু হয়। এই সময় বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও বন বিভাগের সদস্যগণ যৌথভাবে সুন্দরবনে সাধারণ জেলে, মৌয়াল ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে নৌদস্যুদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য এই অপারেশন্স পাইরেটস হান্ট ২য় দিনের মত পরিচালনা করছে। বনদস্যু ও নৌদস্যু নির্মূলে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড অভিযান জোড়দার করা হয় ।
কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন মেহেদী মাসুদ বলেন, সম্প্রতি সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ বনদস্যু মাস্টার বাহিনী, ইলিয়াস বাহিনী ও মজনু বাহিনীর আত্মসমর্পণের পর সুন্দরবন উপকূলে আবারও ছোট ছোট কয়েকটি দস্যুবাহিনী মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। যে কারণে সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল উপকূলীয় জেলে-বাওয়ালীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যৌথভাবে এই অভিযান শুরু হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত জেলে-বাওয়ালীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর এ অভিযান চলবে বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।