Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

না’গঞ্জে ৫ খুন জবাই নয়, মাথায় আঘাত ও শ্বাসরোধ

প্রকাশের সময় : ১৮ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : শহরের বাবুরাইল এলাকার একই পরিবারের ৫ জনকে জবাই নয়, মাথায় প্রচ- আঘাতের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা হয়েছে। গতকাল দুপুর আড়াইটায় লাশগুলোর ময়নাতদন্ত শেষে এমনই তথ্য জানান, নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা: আসাদুজ্জামান। তিনি আরো জানান, প্রাপ্ত বয়স্ক তিনজনকে মাথায় প্রচ- আঘাতের পর শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। আর শিশু দুই জনকে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ধর্ষণের কোন আলামত পাওয়া যায়নি। তবে খুনীরা পেশাদার নয়। বিকালে ৩ সদস্যের কমিটি এ ময়নাতদন্তের কাজ সম্পন্ন করেন। আরো দুইজন হলেন ডা: তোফাজ্জল হোসেন, ডা: মফিজ উদ্দিন। রবিবার দিনগত রাত সাড়ে ৩টায় সুরতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।
৭ খুনের পর নারায়ণগঞ্জে আবারো ঘটলো ৫ খুনের মত নৃশংস ঘটনা। গত শনিবার রাত ২নং বাবুরাইল খানকার মোড় এলাকার ইসমাইল মিঞার একটি ফ্ল্যাট থেকে একই পরিবারের ৫ জনের লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। নিহতরা হলেন, তাসলিমা (৩৫), তার ছেলে শান্ত (১০), মেয়ে সুমাইয়া (৫), জাঁ লামিয়া (২৫) ও ভাই মুরশেদুল (২৫)। তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার চর ভেলামারি গ্রামে।
এদিকে বাবুরাইলে একই পরিবারের ৫জন খুনের ঘটনায় সদর থানায় মামলা হয়েছে। নিহত তসলিমার স্বামী শফিকুল ইসলাম শনিবার সকাল ১১টায় অজ্ঞাত আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত তাসলিমার মা মোর্শেদা বেগম বলেন, ‘কেন অগরে মারলো আমি কইতে পারতাছিনা। তবে ওরা এক মাস আগে ঢাকার কিছু লোকের হুমকির কারণে নারায়ণগঞ্জে চলে আসে একেবারে।’ কাদের হুমকি, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘তাসলিমা ঢাকার বাহাদুর, বাদশা, বাদলসহ প্রায় আট-দশ জনের কাছ থেকে সুদে বেশ কিছু টাকা আনে। এই টাকা পরিশোধ করতে না পারায় তাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিতো বাহাদুররা। তারা টাকার জন্য তাসলিমার স্বামীকে (শফিকুল) দু’দিন পর পর আটকে রেখে নির্যাতন করত এবং টাকা চাইত। গত এক মাস আগে তাকে আটকে রেখে তাসলিমাসহ সকলের ঠিকানা জানতে চায় তারা।’
তিনি বলেন, ‘আমি এই লেনদেনের কথা জানতে পেরে গ্রামের দুটি জমি বিক্রি করে তাদের টাকা দেই। তবুও তারা কেন অগরে মারল বুঝতাসিনা।’
নিহত তাসলিমার মা মোর্শেদা আরো জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে নান্দাইল থানার চরবেলাবাড়ি এলাকায়। তিনি ঢাকার ধানম-ি ৭ নম্বরে খালার বাড়িতে থাকেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার ছেলে মোরশেদুলের সঙ্গে তার সবশেষ কথা হয়। এরপর থেকে সারাদিন মেয়ে তাসলিমা ও ছেলে মোরশেদুলের নম্বর বন্ধ ছিল।
শনিবার রাত ৭টার দিকে নিহত তাসলিমার দেবর শরীফ মিয়া কিশোরগঞ্জের পাহাটি এলাকা থেকে বেড়াতে এসে দরজা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। পরে তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে মোরশেদুলের খালাতো ভাই দেলোয়ার হোসেনসহ অন্যদের ডেকে আনেন। তারা বাড়ির অন্য ভাড়াটিয়াদের উপস্থিতিতে দরজার তালা ভেঙ্গে ভেতরে ৫টি লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন।
মোর্শেদা বেগম জানান, ‘মোর্শেদুল আমাকে কয়েক দিন আগে ফোন করে বলেছিলেন যেন তার নানির কাছ থেকে এক লাখ টাকা নিয়ে দেই। এই টাকা দিয়ে সে ব্যবসা করবে। পরে ফিরিয়ে দিবে। কিন্তু আমি তখন বুঝতে পেরেছিলাম যে তাদেরকে ঢাকা থেকে টাকার জন্য হুমকি দিচ্ছে, আর তাই জরুরি টাকার দরকার।’
তাসলিমার ননদ শহরের খানপুরের বাসিন্দা হাজেরা বেগম জানান, তাসলিমার স্বামী শফিক মিয়া গাড়ি চালক। তিনি ঢাকায় প্রাইভেটকার চালান। তিনি সপ্তাহে একদিন বাড়িতে আসেন। ছেলে-মেয়ে নিয়ে বাবুরাইল এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছয়তলা বাড়ির নিচতলায় কয়েক মাস আগে ভাড়া নেন। তার ভাই ময়মনসিংহ থেকে এসে দরজা বন্ধ দেখতে পেয়ে সবাইকে খবর দেন। পরে তালা ভেঙ্গে পাঁচজনের গলাকাটা লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। তবে কখন এই হত্যাকা- ঘটেছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি।
নিহত তাসলিমার খালাতো ভাই দেলোয়ার বলেন, ‘আমি শুনে এখানে এসেছি, এত নির্মম কিভাবে হয় মানুষ। বাচ্চাদেরকেও অনেক কষ্ট দিয়ে মেরেছে। জামাইরে ঢাকায় খবর দিছি অই শুইন্না অজ্ঞান হইয়া গেছে। অই সকালে আইলে বুঝতে পারমু আসলে কি অইছে।’
বাড়ির মালিক আমেরিকা প্রবাসী ইসমাইলের চাচাতো ভাই হাজী মোহাম্মদ হোসেন জানান, গত নভেম্বর মাসে শফিক ও তার স্ত্রী তাসলিমা ২ রুমের ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেয়। মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে রাত ৮টার দিকে নিহতের স্বজনরা ঘরটির তালা ভেঙ্গে পাঁচজনের লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
পাশের বাড়ির আরেক ভাড়াটিয়া গৃহিণী রহিমা বেগম জানান, উনাদের কাছে এরকম খারাপ কিছু দেখিনি। আমি ১৫ দিন হলো এই বাড়ীতে ভাড়া এসেছি। তবে খুনের পর বাইরে থেকে কে বা কারা তালা দিয়েছে তাও জানিনা। রাতে কিভাবে তারা বাড়িতে ঢুকল তাও বলা যাচ্ছেনা। কারণ গেটের চাবিতো বাইরের কারো কাছে থাকে না।’
পুলিশের ঢাকা জোনের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) মোহাম্মদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিহতদের হত্যাকারীদের পেশাদার মনে হয়নি। বাচ্চাদের গায়েও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমরা পারিবারিক নাকি অন্য ঘটনা তা খতিয়ে দেখছি। আশা করছি খুব শিগগিরই হত্যাকারীদের সনাক্ত করতে পারব।’
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি পারিবারিক বিরোধ নিয়েই এ হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটেছে। যারা হত্যা করেছে তারা অপেশাদার খুনী বলেই আমাদের মনে হয়েছে এবং তারা পূর্ব পরিচিত ছিল। একই ফ্লোরে তিনজনের লাশ পড়ে ছিল, এটি পারিবারিক দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।’
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ হাজী ওবায়েদুল্লাহ জানান, তিনি খবর পেয়ে ওই কক্ষের ভেতরে প্রবেশ করেছিলেন সেখানে একটি কক্ষে তিনজনের লাশ ও অপরকক্ষে দুইজনের লাশ দেখতে পেয়েছেন। তাদেরকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। খবর পেয়ে প্রশাসনের লোক এসে তাদেরকে ওই কক্ষ থেকে বের করে দিয়ে ভেতর থেকে আটকে দিয়ে তদন্ত কাজ শুরু করেছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেহাম্মদ শাহজালাল জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আনা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্তের স্বার্থে এখন পরিষ্কার কিছু বলা যাচ্ছে না। রহস্য উদঘাটন হলে আপনাদেরকে জানাব।
সুরতহাল শেষে নারায়ণগঞ্জ সিআইডির এএসপি মোঃ এহসানউদ্দিন চৌধুরী জানান, ‘হত্যাকারীরা একাধিক ছিল, তবে তারা পেশাদার ছিলনা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। দুজন মহিলা ও ছেলের গলায় ফাঁস ছিল। আর মেয়ে শিশুর মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল।
তিনি বলেন, আমরা ঘরের তৈরি করা খাবার হালুয়া, রুটি তাজা পেয়েছি। তাতে ধারণা করা হচ্ছে হত্যাকা- ৬/৭ ঘন্টা আগে ঘটানো হয়েছে। তবে সিআইডির ফরেনসিক রিপোর্ট পাবার পর সম্পূর্ণভাবে জানা যাবে। আমরা কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। আশা করি আসামিরা দ্রুতই গ্রেফতার হবে।
বাসা থেকে সংগ্রহ করা খাদ্যের নমুনা ঢাকায় সিআইডির ল্যাবরেটরীতে পাঠানো হয়েছে
সিআইডির নারায়ণগঞ্জ জোনের সহকারি পুলিশ সুপার এহসান উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে ঘরে থাকা রুটি, হালুয়া, রক্তমাখা কাপড়, চুল, দেয়ালে দৃশ্যমান রক্তের দাগ, মেঝেতে থাকা রক্তের ছাপ উল্লেখযোগ্য। সিআইডির এ কর্মকর্তা বলেন, খুনিরা সংখ্যায় অন্তত তিনজন ছিল। তবে এর চেয়ে বেশিও হতে পারেন বলে তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন। তবে খুনিরা নিহতদের পরিচিত এবং নিহতদের বাসায় নিয়মিত যাতায়াত ছিল বলেও তাদের ধারণা। যে কারণে খুনিরা সহজেই ওই বাসায় প্রবেশ এবং ঘটনা ঘটিয়ে নির্বিঘেœ বের হয়ে যেতে পেরেছে। খুনিরা নিহতদের মাথায় ভোজালী (ভারী ও ভোঁতা কোন বস্তু) জাতীয় কিছু দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়। হত্যার আগে তাদের অচেতন করা হয়েছিল কি না তা নিশ্চিত হতে ওই বাসা থেকে সংগ্রহ করা খাদ্যের নমুনা ঢাকায় সিআইডির ল্যাবরেটরীতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
লাশ হস্তান্তর : ৪জনকে পাইকপাড়া কবরস্থানে দাফন করার সিদ্ধান্ত
একই পরিবারের ৫ জন নিহতদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় নিহত লামিয়ার লাশ তার স্বামী শরিফুলের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়। রাতেই লামিয়ার লাশ গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইলে নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। তাছলিমাসহ অপর চারজনের লাশ হস্তান্তর করা হয় শফিকুলের কাছে। তাদের লাশ নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়া কবরস্থানে দাফন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মামলার বাদী নিহত তাসলিমার স্বামী শফিকুল।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে র‌্যাবের মহা-পরিচালক ও ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি
এদিকে সকালের শুরুতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে র‌্যাবের মহা-পরিচালক বেনজির আহাম্মেদ ও ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি নুরুজ্জামান উপস্থিত হন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে র‌্যাবের মহা-পরিচালক বেনজির আহাম্মেদ সাংবাদিকদের জানান, সুষ্ঠু তদন্ত করে আসামীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। খুনের পেছনের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর জনগণের আতঙ্ক খুব শিঘ্রই দূর করা হবে। এদিকে, পেশাদার খুনিরা এটি ঘটিয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্তের স্বার্থে এখন কিছু বলতে চাচ্ছিনা। তবে বিষয়টি আমাদের বিবেচনায় রয়েছে।
দেশের শিশুদের খুনের ঘটনার অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি নুরুজ্জামান বলেন, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় হত্যার সাক্ষী বা প্রত্যক্ষদর্শী মিটিয়ে দিতে দুর্বৃত্তরা শিশুদের হত্যা করে থাকে। তবে এ ঘটনায় শিশুদের কি কারণে হত্যা করা হয়েছে তা অতি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এদিকে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতা চলছে। তবুও জনমনে আতঙ্কের রেশ এখনো কাটেনি। নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, ঘটনার তথ্যানুসন্ধানে আরো ৭জনকে আটক করা হয়। গতকাল রাতে ৩জনকে আটক করা হয়েছিল।
আটক ৭
এদিকে এই হত্যার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। এরা হলেন, তাসলিমার খালাত ভাই দেলোয়ার, শাহাদাৎ ও শফিকুল ইসলামের ভাগনা মাহফুজসহ ৭জন। এদিকে ঘটনাস্থলে পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেসটিগেশন ডিপার্টমেন্টের (সিআইডি) একটি ক্রাইম টিম তদন্তের কাজ শুরু করেছে। শনিবার (১৬ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে তারা (সিআইডি) ঘটনাস্থলে আসেন। সিআইডির এএসপি আবদুস সালাম এই টিমে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তারা আলামত সংগ্রহের কাজ করছেন।
শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন বাবুরাইল এলাকার একটি বাসার নিচ তলা থেকে পাঁচজনের গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন, তাসলিমা (৩৫), তার ছেলে শান্ত (১০), মেয়ে সুমাইয়া (০৫), তাসলিমার ভাই মোরশেদুল (২২) ও জা লামিয়া (২৫)। ওই বাসার ঠিকানা- ২নং বাবুরাইল, বাসা নং ১৩১/১১; যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ইসমাইল হোসেনের বাড়ি। বাড়িটি স্থানীয় খানকাহ শরীফের পাশে। গতবছর (২০১৫ সাল) নভেম্বরে এ বাড়িতে ভাড়া আসেন তারা।
শনিবার রাতে ২ নং বাবুরাইল এলাকার ইসমাইল হোসেনের ১৩১/১১ নং বাড়িতে ৫ জন খুন হন। তারা হলেন তাসলিমা (৩৫), তার ছেলে শান্ত (১০), মেয়ে সুমাইয়া (৫), তাসলিমার ছোটভাই মোরশেদুল (২২) ও তার জা লামিয়া বেগম (২৫)।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: না’গঞ্জে ৫ খুন জবাই নয়
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ