ইভিএম-এ ভোট কেন?
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম-এ ১৫০ আসনে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কাকতালীয় কিনা জানি না, ১৫০ সংখ্যাটা আমাদের এর আগে চিনিয়েছিলেন রকিবুল
হোসেন মাহমুদ
চলে গেলেন মোঃ নুরুল হোসেন ভাই। কে কখন চলে যাবে কেউ জানে না। যেতে তো সবাইকে হবেই। কারো যাওয়া আগে, কারো পরে। অনিবার্য সে যাওয়া। তাই চলে গেলেন তিনি। আমরা যারা যাইনি, তারা তাঁর চলে যাওয়ার খবরটি পেলাম। যে মানুষটি ক’দিন আগেও ছিলেন, এখন তিনি নেই। তিনি আজ স্মৃতি। আমাদের ছেড়ে তিনি যোগ দিয়েছেন মোহাম্মদ মূসা ভাই, মিনহাজুর রহমান ভাই ও মোঃ সানোয়ার আলীর সাথে। ইনকিলাবের একেবারে শুরুর দিন থেকে অনেকগুলো বছর বার্তা বিভাগে আমরা যারা এক সাথে কাজ শুরু করেছিলাম তাদের মধ্যে মোঃ নুরুল হোসেনকে নিয়ে চারজন বিদায় নিলেন। তাঁরা চলে গেছেন, রয়ে গেছে তাঁদের কত স্মৃতি, কত কথা।
ইনকিলাবে আমরা কিছু মানুষ এক সময় সাংবাদিকতার পেশায় জড়ো হয়েছিলাম। আজ তাদের অনেকেই নেই। কেউ পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন, কেউ বা নানা কারণে ইনকিলাবে নেই। রিপোর্টিং, স্পোর্টসে পুরনো মুখ নেই, তবে পুরনো ও ইনকিলাবের ইতিহাসের অংশ কিছু মানুষ এখনো সম্পাদকীয় বিভাগে ও ডেস্কে আছেন। ইনকিলাবের নানা ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে। তারপরও ইনকিলাব আছে। সেই ইনকিলাব ভবন আছে, ইনকিলাবের প্রাণভোমরা সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন আছেন। উপলব্ধির প্রকাশটি খুবই ব্যক্তিগত হয়ে যায়, তবুও বলি, আজ আমি ইনকিলাবে যেতে অক্ষম, কিন্তু আমার মনটি এখনো দীর্ঘদিনের কর্মস্থল ইনকিলাবের বার্তা বিভাগেই পড়ে থাকে।
১৯৮৬ সালের কথা। নতুন পত্রিকা দৈনিক ইনকিলাব প্রকাশের আয়োজন চলছে। বিভিন্ন পত্রিকা ও জায়গা থেকে অনেকেই এসে যোগ দিচ্ছেন বার্তা বিভাগে। তখন আরো অনেকের সাথে মোঃ নুরুল হোসেন ভাইও যোগ দিলেন ইনকিলাবে। বার্তা বিভাগে আমাদের সংখ্যা দাঁড়াল অনেক। বার্তা সম্পাদক সুলতান আহমদ, সবার সুলতান ভাই। আমাদের নিউজ ডেস্কে শার্ট-প্যান্ট পরা সাব এডিটর বা সিনিয়র সাব এডিটরদের মাঝে কিছুটা বয়স্ক, মুখে দাড়ি, পাজামা-পাঞ্জাবি পরিহিত, মাথায় পাগড়ি বাঁধা স্বাস্থ্যবান সুদর্শন মানুষটি দিন কয়েক একটু আলাদা হয়েই রইলেন। প্রথমদিকেই বুঝলাম যে, তিনি আমাদের অনেকের মত নন, তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজি তথা পরহেজগার মানুষ। আমরা অনেকেই তখন সিগারেট খাই। বার্তাকক্ষের মধ্যে অবাধে ধোঁয়া ওড়ে। তিনি অস্বস্তি বোধ করেন বোঝা যায়, কিন্তু কিছু বলেন না। তখন যে এটাই চল ছিল। যাহোক, তাঁর সম্পর্কে কিছু কথা জানা হল। তিনি যখন ইনকিলাবে সিনিয়র সহ-সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন তখন তিনি ছিলেন রেডিও বাংলাদেশের পরিচালক (বার্তা)। থাকতেন সোবহানবাগ সরকারী কলোনিতে। চার মেয়ে দু’ ছেলের পিতা। চাকরির পয়সায় সংসার চালাতে অসুবিধা হত বলে তিনি খ-কালীন কাজ করতে ইনকিলাবে এসেছিলেন। তিনি প্রশ্নাতীত সৎ, ঈমানদার মানুষ ছিলেন এবং সৎভাবে বাঁচতে চেয়েছিলেন বলেই একজন পদস্থ কর্মকর্তা হয়েও শুধু সাংসারিক প্রয়োজন মিটাতে অতিরিক্ত পরিশ্রমের একটি সম্মানজনক কাজে যোগ দিয়েছিলেন।
পরবর্তী বছরগুলোতে তাঁর সাথে আমার সম্পর্ক দাঁড়িয়েছিল বড় ভাই আর ছোট ভাইয়ের। কাজের অবসরে জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে আমাকে জ্ঞানগর্ভ উপদেশ দিতেন। নামাজে মনোযোগী হতে বলতেন। আর যেটা করতেন তা শুধু তাঁর পক্ষেই সম্ভব ছিল। তখন আমাদের শিফট শুরু হত বিকেল ৫টায়। তিনি বাসা থেকে হটপটে করে রাতের খাবার নিয়ে আসতেন। সাধারণত ছয় খানা করে সিদ্ধ আটার রুটি, সে সাথে কোনো ভাজি বা অন্য তরকারি থাকত। আর প্রায়ই থাকত পায়েস। তার মধ্যে দু’খানা রুটি-তরকারি ও কিছু পায়েস সপ্তাহের পাঁচ দিন আমার জন্য বরাদ্দ থাকত। তাঁর নিঃস্বার্থ ভালোবাসার দান না খাওয়া সম্ভব ছিল না। তাঁকে দেখেছি, যেদিন যে তরকারি থাকত পরম তৃপ্তি সহকারে তা খেয়ে উঠতেন। বোতলে করে বাসা থেকে যে ফুটানো পানি আনতেন তার প্রতিটি ফোঁটার সদ্ব্যবহার করতেন। আমরা অবশ্য ইনকিলাব কর্তৃপক্ষের দেয়া ওয়াটার পিউরিফায়ার বা কন্টেইনারের পানি খেতাম। মনে পড়ে, ২০০৪ সালের নভেম্বরে আমি কয়েকদিনের জন্য শমরিতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম। একদিন দুপুরে দেখি তিনি বাসা থেকে মুরগির বিরিয়ানি নিয়ে এসেছেন আমার জন্য। বললেন, আমার বেগম সাহেবা আপনার জন্য খাবার পাঠিয়েছেন। আপনার কথা তাকে অনেকবার বলেছি। তিনি আপনার নাম জানেন। সেদিন ভালো লেগেছিল এ জন্য যে তিনি আমাকে সত্যিই ভালোবাসতেন, নইলে খাবার নিয়ে আসতেন না।
তাঁর ভিতরে দেখেছি অসম্ভব ধৈর্য ও কষ্টসহিষ্ণুতা। সিনিয়র সাব এডিটর থাকতে আমাদের প্রচুর কাজ করতে হত। তার মধ্যে কয়েকজনকে আবার নিয়মিত ইনকিলাব বিচিত্রার জন্য ফিচার লিখতে হত। এরমধ্যে আমাকেই লিখতে হত বেশি। এ ফিচার লেখার জন্য প্রথম দিকে কোনো সম্মানী দেয়া হত না। শেষের দিকে অবশ্য কিছু পরিমাণ সম্মানী দেয়ার ব্যবস্থা হয়েছিল। সে সব ফিচারের ম্যাটার সুলতান আহমদ ভাই দিতেন। রাতের কাজের প্রথম পর্যায় শেষ হলে ডেকে নিয়ে টাইমস, নিউজউইক, গার্ডিয়ান বা অন্য কোনো পত্রিকার পছন্দ করা ফিচারটি হাতে দিতেন তিনি। কোনো কোনো সময় তা কষ্টকর কাজ বলে মনে হত। বিরক্ত হতাম না তা নয়, তারপরও করতাম। সুলতান ভাই তাঁকেও মাঝে মধ্যে ফিচার দিতেন অনুবাদের জন্য। তবে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করতেন না। একান্তে বলতেন, ফিচার না করলে সুলতান ভাই মনোক্ষুণœ হবেন। তাতে লাভ নেই। বুঝতাম তিনি যা বলছেন তা সরকারি চাকরি করার অভিজ্ঞতা থেকে বলছেন। আমার বয়স তখনো কম। তাই আবেগ প্রাধান্য পেত, বিচক্ষণতা নয়। উল্লেখ্য, আমি শিফট ইনচার্জ হয়েছিলাম ১৯৯৬ সালে। তিনি শিফট ইনচার্জ হন ২০০০ সালে রেডিওর ডেপুটি টাইরেক্টর জেনারেল (ডিডিজি) পদ থেকে অবসর গ্রহণের পর। শিফট ইনচার্জ হওয়ার পর আমাদের দু’জনেরই কাজের চাপ আরো বেড়েছিল। বলা দরকার মোঃ নুরুল হোসেন ভাই খুব ভালো ইংরেজি জানতেন। বিষয়টি ইনকিলাব সম্পাদক সাহেব অবহিত হন। তিনি মাঝে-মধ্যে তাঁর কাছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইংরেজি অনুবাদের কাজ পাঠাতেন। নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে তা করে তিনি সম্পাদক সাহেবের আস্থা অর্জন করেন। প্রসঙ্গক্রমে বলি, আমার জানামতে ইনকিলাব ডেস্কে ইংরেজিতে এ যাবতকালের সবচেয়ে চৌকস প্রতিভা হলেন বর্তমান যুগ্ম বার্তা সম্পাদক এ এস এম হাফিজুর রহমান। যাকে বলা হয় ইংরেজির মাস্টার, তিনি তাই। তবে কেন যেন তিনি তাঁর এ অসাধারণ প্রতিভার সর্বোচ্চ ব্যবহার করেননি।
মোঃ নুরুল হোসেন ভাই দু’একবার তাঁর জীবন কাহিনীর অংশ বিশেষ আমাকে শুনিয়েছিলেন। সে সুবাদেই জানতে পারি, ’৬০-এর দশকের মাঝামাঝি তিনি এমএ পাশ করে তখনকার তথ্য ক্যাডারে চাকরি পেয়েছিলেন। চাকরি জীবনের প্রথম দিকে বেশ কয়েক বছর পাকিস্তানে ছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ যখন শুরু হয় তখন তিনি সপরিবারে করাচিতে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পাাকিস্তানের বাঙালি চাকরিজীবীরা চাকরিচ্যুত হওয়াসহ বিভিন্ন বিধি-নিষেধের সম্মুখীন হন। এ অবস্থায় ১৯৭২ সালে তিনি পাকিস্তান ত্যাগ করে দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। বহু চেষ্টার পর দু’কন্যা ও স্ত্রীকে নিয়ে তিনি পথে অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করে আফগানিস্তানে পৌঁছেন ও সেখান থেকে দেশে ফেরেন। সেখানে তিনি যে বিচিত্র অভিজ্ঞতার কথা বলেছিলেন তা লিখতে অনুরোধ করেছিলাম তাঁকে। তা আর হয়ে ওঠেনি। আমাকে তিনি বলেছিলেন, প্রথম যৌবনে তিনি কবিতা লিখতেন। মাসিক ‘মোহাম্মদী’ ও আরো কোনো কোনো পত্রিকায় তাঁর কিছু কবিতা প্রকাশিত হয়েছিল। সেগুলো সংগ্রহ করতে বলেছিলাম। করা হয়নি। রেডিওর কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি বেশ কিছু দেশ ভ্রমণ করেন। সম্ভবত ১৯৮৬ সালে তিনি লেবানন গিয়েছিলেন। ছিলেন বৈরুতে। পাখির চোখে ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের দুঃসহ জীবনযাত্রা দেখেছিলেন। ২০০৪ সালে আমি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের শিশু-কিশোর মাসিক ‘সবুজ পাতা’র সম্পাদক ছিলাম। তাঁকে অনুরোধ করেছিলাম ছোটদের জন্য সহজ ভাষায় একটি ভ্রমণ কাহিনী লিখতে। তিনি লিখেছিলেন এবং তা তখন ‘সবুজ পাতা’য় ছাপাও হয়েছিল। মনে পড়ে, সে সময় তিনি আমাকে বলেছিলেন, ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার জন্য তারা নিজেরাও কম দায়ী নয়। তারা কঠোর পরিশ্রম করতে চায় না। অনেকদিন ধরে বাইরের সাহায্য পেতে পেতে এখন পরনির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
নুরুল হোসেন ভাইর উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস ছিল। তার ওপর অব্যাহতভাবে রাতের শিফটে কাজ করা। ২০০৭ সালের মাঝামাঝি একদিন হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপর ডাক্তারের পরামর্শ ও পরিবারের চাপে তিনি ইনকিলাব থেকে অব্যাহতি নেন। তাঁর বড় ছেলেটি ততদিনে ব্যাংক অফিসার পদে নিয়োগ লাভ করেছিল। তিনি কিছুদিন ঢাকায় ছেলের বাসায় থাকার পর স্ত্রীকে নিয়ে নোয়াখালির বেগমগঞ্জে তাঁর গ্রামের বাড়িতে চলে যান। সেখানে সেমিপাকা টিনশেড ঘর করা ছিল, আর পৈতৃক সম্পত্তিও ছিল কিছু। খাওয়া-পরার কোনো সমস্যা ছিল না তাঁর। মাঝে মাঝে ঢাকায় আসতেন। তবে ২০০৭ সালের পর তাঁর সাথে আর দেখা হয়নি। ২০০৯-এর আগস্ট থেকে আমারও ইনকিলাবে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। মাঝে মাঝে মোবাইলে তাঁর সাথে কথা হত। বলতেন, খুব শান্তিতে আছেন। জানতে চাইতাম, সময় কাটে কিভাবে? বলতেন , ইবাদত-বন্দেগী করে। বাড়ির সাথেই মসজিদ। প্রতি শুক্রবারে মুসল্লিদের উদ্দেশে বয়ান করেন। তাছাড়া মুসল্লিরা অনেকেই তাঁর কাছে আসেন। তাদের সাথে দ্বীনি আলোচনায় তাঁর বেশিরভাগ সময় কেটে যায়। তিনি বলতেন, সবাই তাঁর ওয়াজ শুনতে খুব পছন্দ করে। জানতে চেয়েছি, বই পড়েন না? বলতেন, বই পড়তে গেলে মাথায় চাপ সৃষ্টি হয়। সে জন্য পড়া হয় না।
সর্বশেষ তাঁর সাথে আমার কথা হয় ৩০ জুন বৃহস্পতিবার। এদিন বিকেল ৪টায় ইনকিলাবের ভারপ্রাপ্ত বার্তা সম্পাদক এএসএম হাফিজুর রহমান আমাকে জানান, সাবেক সহকর্মী (আমি নিজেও ইনকিলাবে বর্তমানে কর্মরতদের সাবেক সহকর্মী) ইনকিলাবের সাবেক শিফট ইনচার্জ (ইনকিলাব প্রকাশনার প্রথম পর্যায়ের তিন শিফট ইনচার্জের একজন) ও পরে কূটনৈতিক সংবাদদাতা মিনহাজুর রহমান ভাই ২৯ জুন ইন্তেকাল করেছেন। তিনি সবারই প্রিয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। আমি তখনি ফোন করে নুরুল হোসেন ভাইকে খবরটি দিলাম। মিনহাজ ভাইও রেডিও বাংলাদেশের একজন উপ-পরিচালক ছিলেন। নুরুল হোসেন সাহেব ছিলেন তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তবে দু’জনের মধ্যে সুন্দর সম্পর্ক ছিল। মিনহাজ ভাইকে তিনি মিনহাজ বলে ডাকতেন, আর মিনহাজ ভাই তাঁকে ডাকতেন হোসেন ভাই বলে। যাহোক, নুরুল হোসেন ভাই খবরটি শুনে কেঁদে ফেললেন। বললেন, মিনহাজ খুব ভালো মানুষ ছিল। অন্যায় সহ্য করতে পারত না। আমাকে ভালোবাসত। দোয়া করি, আল্লাহ যেন তাকে বেহেশত নসীব করেন। ৩১ জুলাই শেষ বিকেলে হাফিজ ভাই এবার নুরুল হোসেন ভাইর ইন্তেকাল সংবাদ দিলেন। সেদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। জানতাম না তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে ঢাকায় আনা হয়েছিল। কে কাকে জানায়, আর কেই বা কার খবর রাখে! তাই তাঁর সর্বশেষ খবর জানা সম্ভব হয়নি। ১ আগস্ট ইনকিলাবের প্রথম পৃষ্ঠায় তাঁর ইন্তেকালের খবর প্রকাশিত হয়। আমার জানা ও দেখা মতে এ মানুষটি কারো অকল্যাণ চাননি, কোনোদিন কাউকে অপমান করেননি, কারো নিন্দা করেননি, কারো ক্ষতি করেননি, কারো সাথে দুর্ব্যবহার করেননি, নিষ্ঠার সাথে নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন। সত্যিকার অর্থে একজন ভালো মানুষ বলতে যা বোঝায়, তিনি ছিলেন তাই। আমি দোয়া করলাম, আল্লাহ! আপনি নুরুল হোসেন ভাইকে বেহেশত নসীব করুন। আমিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।