পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অবশেষে সিনহা মো. রাশেদ হত্যা মামলায় পুলিশের চার সদস্য ও এই ঘটনায় পুলিশের দায়ের হত্যা মামলার তিন সাক্ষীকে রিমান্ডে নিয়েছে র্যাব। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে র্যাবের একটি বহর তাদের নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিচ্ছ বলে জানা গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই সেই তথ্য প্রকাশ করছে না র্যাব।
সিনহা হত্যা মামলার এই সাত পুলিশ আসামি হলেন, কনস্টেবল সাফানুল করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সহকারী উপ-পরিদর্শক লিটন মিয়া। আর পুলিশের মামলা তিন সাক্ষী মো. আয়াছ, নুরুল আমিন ও নাজিম উদ্দিন।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, আলোচিত মেজর (অব) সিনহা হত্যা মামলায় প্রথম রিমান্ড শুনানিতে ‘আত্মসমর্পণ’ করা টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ, এসআই লিয়াকত ও এএসআই নন্দদুলালের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত এবং অন্য চার আসামিকে দুইদিন করে জেলগেইটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেয়। অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ১০ আগস্ট তাদের রিমান্ড আবেদন করা হয়। ১২ আগস্ট তাদের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
অন্যদিকে সিনহা হত্যা মামলায় পুলিশের দায়ের করা তিন সাক্ষী মো. আয়াছ, নুরুল আমিন ও নাজিম উদ্দিনকে মেজর সিনহা হত্যা ঘটনায় পবিরারের দায়ের করা মামলা আসামি করেছে র্যাব। গত ১১ আগস্ট এই তিনজনকে গ্রেফতার করে র্যাব। ওই দিনই আদালতে তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। পরে ১২ আগস্ট শুনানিতে তাদের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড আবেদনের দুইদিন পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিলো র্যাব। তবে ওসি প্রদীসহ তিনজনকে এখনো রিমান্ডে নেয়া হয়নি। তারা বর্তমানে কক্সবাজার জেলা কারাগারে রয়েছে।
এদিকে টেকনাফে সেনাবাহিনীর মেজর (অব) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় নতুন তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নতুন আইও হচ্ছেন মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম। তিনি র্যাবে কর্মরত বাংলাদেশ পুলিশের একজন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার।
৩১ জুলাই রাতে নিহত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌসের করা জিআর : ৭০৩/২০২০, যার টেকনাফ থানার ৯/২০২০ নম্বর মামলায় গতকাল ১৩ আগস্ট তাকে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এরআগে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জামিল আহমেদ মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
জানা গেছে, আইও হিসাবে নতুন নিয়োগ পাওয়া সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম একজন মেধা সম্পন্ন দূরদর্শী ও বিচক্ষণ কর্মকর্তা। অতীতে বেশকিছু চাঞ্চল্যকর মামলার আইও হিসাবে তিনি সুনাম ও সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। ইতোমধ্যেই নতুন আইও র্যাবের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম নেতৃত্বে রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া আসামি বরখাস্ত হওয়া ৪ পুলিশ সদস্য কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়া। এছাড়া সন্দেহজনক তিন আসামি টেকনাফের বাহারছরার মারশবনিয়া এলাকার নাজিম উদ্দিন নাজু›র পুত্র নুরুল আমিন, নজির আহমদের পুত্র নিজাম উদ্দিন ও জালাল আহমদের পুত্র মোহাম্মদ আয়াছকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আইও এর হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
গত ৮ ও ৯ আগস্ট কক্সবাজার কারাগার ফটকে ৪ আসামি-কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায় আইও। ফলে তাদেরকে আরো ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করলে ১২ আগস্ট শুনানি শেষে তাদের প্রত্যেকের জন্য ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তামান্না ফারাহ্।
ঈদের আগের দিন গত ৩১ জুলাই রাতে পুলিশের গুলিতে খুন হন সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হলে তার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস গত ৫ আগস্ট পুলিশের ৯ সদস্যকে আসামি করে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (টেকনাফ) এর আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
অন্যদিকে, পুলিশ ও নুরুল আমিন নামক একজন আসামির পক্ষে এর আগে রামু ও টেকনাফ থানায় পৃথক ৪টি মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশের করা ওই মামলার তিন আসামিকে সিনহা হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকা সন্দেহে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ড নিয়েছে র্যাব।
এদিকে মেজর সিনহা হত্যাকান্ডে গঠিত তদন্ত কমিটি আগামীকাল রোববার মেজর সিনহা নিহত হওয়ার ঘটনাস্থল টেকনাফ বাহারছরা শামলাপুরে গণশুনানির আয়োজন করেন। গণশুনানিতে অংশ গ্রহণের জন্য এলাকাবাসীকে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।