পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ দেওয়া পর্বতারোহী ও সাইক্লিস্ট রেশমা নাহার রত্না হত্যার বিচারের দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সেভ দ্য রোড আয়োজিত সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সেভ দ্য রোড-এর মহাসচিব শান্তা ফারজানা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছা আমাদেরকে আশাবাদী করেছে নিরাপদ ৪ পথের জন্য। কিন্তু তার মন্ত্রী-সচিব-আমলাদের কারণে নিরাপদ পথ-এর কর্মচেষ্টা ভেস্তে গেছে। এ কারণে এই পথে লক্ষ লক্ষ মানুষকে আমরা হারিয়েছি। অনেকেই পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। সবার আগে দেশ; আর সেই দেশের নিরাপদ পথ। কিন্তু কারা এই পথকে ডাস্টবিনে রুপান্তরিত করে; কারা এই পথকে মৃত্যুফাঁদে পরিণত করে তা এখন জনগন জেনে গেছে। অনতিবিলম্বে রেশমার ঘাতক চালকের গ্রেফতার ও সাইকেল লেন বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে আন্দোলন হবে ঘরে-বাইরে। ‘কিশোর আন্দোলন’-এর কথা ভুলে গেলে চলবে না।
সেভ দ্য রোড-এর প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদীর সভাপতিত্বে সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করেন অনলাইন প্রেস ইউনিটির ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব রানা, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনজুমান আরা শিল্পী, বাংলাদেশ মেস সংঘের মহাসচিব আয়াতুল্লাহ আকতার, প্রোগ্রেসিভ হিউমেনিস্ট জার্নির প্রেসিডেন্ট অভিনেত্রী শ্রুতি খান, সেভ দ্য রোড-এর সাংগঠনিক সম্পাদক মহিদুল ইসলাম, সদস্য সাজিয়া রহমান, শেখ ইকবাল, কন্ঠশিল্পী চম্পাবতী এন মারাক, সাইক্লিস্ট সিয়াম, সামির, সাদমান, সোহেল খন্দকার প্রমুখ।
এদিকে, একই দাবিতে গতকাল সকাল ৭টায় রাজধানীতে সাইকেল রাইড করেছেন সাইক্লিস্টরা। এ সময় অর্ধশতাধিক সাইক্লিস্ট মানিক মিয়া এভিনিউ সড়ক থেকে হাতিরঝিল পর্যন্ত সাইকেল রাইডে অংশ নেন। সাইক্লিস্টদের সংগঠন অভিযাত্রী এই রাইড আয়োজন করে। এ সময় তারা রেশমাকে চাপা দেওয়া মাইক্রোবাসের চালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। একইসঙ্গে সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করারও দাবি তোলেন।
উল্লেখ্য, পর্বতারোহী রেশমা নাহার রত্না পেশায় একজন শিক্ষক ছিলেন। একইসঙ্গে তিনি দৌড়বিদ ও সাইক্লিস্টও ছিলেন। সাত মহাদেশের সর্বোচ্চ চূড়ায় প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে লাল-সবুজের পতাকা ওড়ানোই ছিল রেশমার লক্ষ্য।
সে কারণেই কঠোর অনুশীলন করতেন সবসময়। এর মধ্যে গত ৭ আগস্ট সকালে চন্দ্রিমা উদ্যানের লেক রোডে সাইক্লিংয়ের সময় একটি দ্রুতগামী মাইক্রোবাস চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যান রত্না। এ ঘটনায় শেরে বাংলানগর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হলেও এখনো কোনো আসামি গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। গতকাল বিকেলে শেরেবাংলা থানার ওসি জানে আলম মুন্সীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে অভিযান অব্যাহত আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।