Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিখোঁজ কয়েদির হদিস নেই

কাশিমপুর কারাগার

বিশেষ সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৫ আগস্ট, ২০২০, ১২:০১ এএম

কারাগারের ভেতরে চিরুনি সার্চ দিয়েও খোঁজ মেলেনি নিখোঁজ কয়েদি আবু বকর সিদ্দিকের। গত আট দিনেও নিখোঁজ কয়েদির হদিস না মেলায় রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। অত্যন্ত স্পর্শকারত ও কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্যে কাশিমপুর কারাগারের মতো একটি কারাগার থেকে কিভাবে পালিয়ে গেলেন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত একজন কয়েদি। এ ঘটনায় কারা কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন এবং ব্যর্থতার অভিযোগে বরখাস্ত করা হয় কারাগার সংশ্লিষ্ট ১১ জনকে। কারাগার সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টির সুরাহা হওয়া দরকার। নিরাপত্তার জন্য এ ধরনের ঘটনা মারাত্মক হুমকি। যে ব্যক্তি নিখোঁজ হয়েছেন তিনি একজন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। একই কারাগারে ফাঁসির আসামি ও দুর্ধস্ব জঙ্গিরাও রয়েছে। বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সাথে দেখা জরুরী।
কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজনস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তফা কামাল পাশা সাংবাদিকদের বলেন, আবু বকর সিদ্দিক কারাগার থেকে নিখোঁজের পর এখনও তার কোনো খোঁজ মেলেনি। প্রথমে কারা অধিদফতর থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। পরবর্তীতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ও গাজীপুর জেলা প্রশাসন থেকে একজন করে প্রতিনিধি যুক্ত হয়। প্রতিবেদন দেয়ার আজকেই শেষ দিন হলেও অন গ্রাউন্ডে এখনও সবাই কাজ করছেন। তদন্তে কী পাওয়া যায় তা বৈঠকে বসলে জানা যাবে।
অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মো. আবরার হোসেন গতকাল দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, কাশিমপুর কারাগার থেকে কয়েদি আবু বকর সিদ্দিক নিখোঁজের ঘটনায় কারাকর্তৃপক্ষ কাজ করছে। তদন্ত কমিটি গঠন করার পাশাপাশি পুলিশ, র‌্যাব ও অন্যান্য সংস্থা সমন্বয় করে এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। দ্রুতই এর সমাধান হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
কারা সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ আগস্ট সন্ধ্যায় লকাপের আগে গণনায় আবু বকরকে পাওয়া যায়নি। ওই সারারাত খোজাঁখুজি করেও মেলেনি কাশিমপুর-২ কারাগারে থাকা কয়েদি আবু বকর সিদ্দিকের। আবু বকর সিদ্দিক ২০১১ সালে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কাশিমপুর কারাগারে এসেছিলেন ফাঁসির আসামি হিসেবে। ২০১২ সালের ২৭ জুলাই আপিলে তার সাজা সংশোধন করে তাকে যাবজ্জীবন দেয়া হয়। তার বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানার আবাদ চন্ডীপুরে।
সাতক্ষীরা শ্যামনগর থানার ওসি নাজমুল হুদা সাংবাদিকদের বলেন, আবু বকর সিদ্দিক কারাগার থেকে নিখোঁজের পরে শ্যামনগর চন্ডীপুরে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা এসেছিল। নজরদারি অব্যাহত আছে। তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তারা কেউ কিছু বলতে পারেনি।
গাজীপুর পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার বলেন, ঘটনার পরদিন থেকেই পুলিশ কাজ করছে। তদন্তের স্বার্থে অনেক কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে কারাগার থেকে আবু বকর সিদ্দিক পালিয়েছে নাকি কারাগারের ভেতরেই আত্মগোপন করে আছে এখনও তার কোনো ক্লু মেলেনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নিখোঁজ-কয়েদি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ