পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পদোন্নতির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বরাবর তৃতীয়বারের মত স্মারকলিপি দিয়েছেন রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বঞ্চিত মেডিকেল অফিসার ও গবেষণা সহযোগীরা। প্রায় দুই শতাধিক পোস্ট গ্রাজুয়েট কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) এ কর্মসূচি পালন করেন।
দেড় যুগের বেশি সময় ধরে পদোন্নতি বন্ধ থাকায় এর আগে গত ১ ডিসেম্বর ২০১৯ প্রথম দফা আন্দোলন করেন তারা। সেদিন প্রথম স্মারকলিপি দেন এই চিকিৎসকরা। এরপর গত ১৪ জানুয়ারি আরও একবার স্মারকলিপি দিয়ে দাবি দাওয়া পেশ করেন এই চিকিৎসকরা। এবার তৃতীয়বারের মতো আন্দোলনে নেমেছেন তারা।
বিএসএমএমইউর মেডিসিন, নিউরোমেডিসিন, নিউরোলজি, নিউরোসার্জারি, গাইনি, কার্ডিওলজি, অর্থোপেডিকস, রিউম্যোটোলজিসহ প্রায় ৫৪টি বিভাগের চিকিৎসকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তির দপ্তরে অবস্থান নিয়ে স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে দাবি পেশ করেন। এ সময় তাদের পদোন্নতির ব্যাপারে ভিসিসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে অনুরোধ জানিয়ে দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশা পূরণের আহŸান করেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিএসএমএমইউ একটি বিশ্ববিদ্যালয় হলেও স্থায়ীভাবে নিয়োগকৃত চিকিৎসকদের পদোন্নতির সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরবর্তীতে যারা পোস্ট গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করবেন, এ ধরনের চিকিৎসকদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে একটি নীতিমালা ছিল যেখানে পোস্ট গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করার পরে তাদেরকে স্ববেতনে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেয়া হতো।
পরবর্তীতে ডিপার্টমেন্টের প্রয়োজন অনুযায়ী সেই পদে আত্মীকরণ করা হতো কিন্তু ২০১২ সালে সেই আইনটি অজানা কারণে রহিত হওয়ার অভিযোগ করা হয়। এর থেকে দুই শতাধিক চিকিৎসক পদোন্নতিবঞ্চিত অবস্থায় আছেন।
আন্দোলনকারীদের ভাষ্যমতে, যারা পদোন্নতিবঞ্চিত আছে তাদের অনেকের অবসরে সময় নিয়ে আসছে। এবং প্রায় ৮ বছর যাবৎ অনেকে পদোন্নতি না পেয়ে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন। যদিও তাদের অনেকের এফসিপিএস ও এমডি নামক বাংলাদেশের সেরা ডিগ্রিগুলো সম্পন্ন করা আছে।
তাদের অভিযোগ, সরকারি সেক্টরে যেসব চিকিৎসক কর্মরত তারা চিকিৎসাক্ষেত্রে উচ্চতর ডিগ্রি সম্পন্ন করলেই দ্রæত কনসালটেন্ট পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। পরবর্তীতে ডিপিসি এর মাধ্যমে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি প্রকিয়া অনুসরণ করা হয়। কিন্তু বিএসএমএমইউতে কর্মরত প্রায় দুই শতাধিক পোস্ট গ্রাজুয়েশন চিকিৎসক তাদের ওপর অর্পিত দাযয়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলেও পদোন্নতি বঞ্চিত।
আন্দোলনরত বিএসএমএমইউ’র চিকিৎসকদের দাবি, করোনার এই পরিস্থিতিতেও টেলিমেডিসিন সেবা, বহির্বিভাগের সেবা, ইনডোরে রাউন্ড, করণা আক্রান্ত রোগীদের জন্য বিশেষায়িত ফিভার ক্লিনিক এবং কোভিড ইউনিটের রোগীদের সেবা প্রদানসহ সহকারী অধ্যাপক পদের সমমানের কাজে ব্যস্ত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্যসেবার মান কে সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে যাচ্ছেন।
তারা জানান, চিকিৎসকদের পদোন্নতি বঞ্চনার এই বিষয়টি মানবিকভাবে বিবেচনা করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি, কোষাধ্যক্ষ, সব সিন্ডিকেট সদস্য, সব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কেন্দ্রিয় সভাপতি, বিশ্ববিদ্যালয় স্বাচিপের সভাপতি সেক্রেটারি ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এবিএম আব্দুল্লাহসহ সব পর্যায়ের নীতি নির্ধারণী ব্যক্তিদের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে।
এর প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি’র উপস্থাপনায় সিন্ডিকেট সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে একটি সিন্ডিকেট কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তী সিন্ডিকেট মিটিং এর আগে তাদেরকে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট মতামত প্রদান করার ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু সেই কমিটির মেয়াদ ৬ মাসের অধিক পার হওয়ার পরেও সুনির্দিষ্ট রিপোর্ট প্রদান না করে বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখা হয়। এই অবস্থার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার মৌন মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে বাধ্য হয়েছে তারা।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়য়ের একটি সিন্ডিকেট বৈঠকে বিএসএমএমইউ’র বিধিমালা থেকে চিকিৎসকদের পদোন্নতি সংক্রান্ত ১৯৯৯ সালের নীতিমালাটি বাদ দেওয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।