পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘শাস্তিমুক্ত বিদ্যালয়, শিক্ষালাভে সহায় হয়’, শিশুর জন্য বেত ছাড়ি, সৃজনশীল বাংলা গড়ি’, ‘আদর আর ভালোবাসা, দিতে পারে সুশিক্ষা’ এবং ‘শিখবে শিশু হেসে খেলে, শাস্তিমুক্ত পরিবেশ পেলে’
স্টাফ রিপোর্টার : শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের শারীরিক ও মানসিক শাস্তি বন্ধের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে চারটি স্লোগান ঠিক করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর ও সংস্থা থেকে মাঠপর্যায়ে পাঠানো সব চিঠিতে পর্যায়ক্রমে এসব স্লোগান সন্নিবেশিত করার নির্দেশ দিয়ে আদেশ জারি করেছে অধিদপ্তর।
এসব স্লোগান হলোÑ শাস্তিমুক্ত বিদ্যালয়, শিক্ষালাভে সহায় হয়। শিশুর জন্য বেত ছাড়ি, সৃজনশীল বাংলা গড়ি। আদর আর ভালোবাসা, দিতে পারে সুশিক্ষা। শিখবে শিশু হেসে খেলে, শাস্তিমুক্ত পরিবেশ পেলে। শিশুদের ওপর শারীরিক ও মানসিক শাস্তি বন্ধ সম্পর্কিত সচেতনামূলক স্লোগান ঠিক করে তা সব চিঠিতে যুক্ত করার এই সিদ্ধান্ত হয় গত ১৯ মার্চ। এরপর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সাত সদস্যের একটি কমিটি করে ৩৩টি স্লোগান রচনা ও সংগ্রহ করে। তার মধ্য থেকে পরে চারটি স্লোগান প্রচারের জন্য চূড়ান্ত করা হয়। ২০১১ সালের ১৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক শাস্তি দেয়ার নামে নির্যাতনকে সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করে। পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বন্ধে নীতিমালা চূড়ান্ত করে তার আলোকে ব্যবস্থা নিতে সরকারকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এরপর ২০১১ সালের ২৬ এপ্রিল সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ১১ ধরনের শারীরিক ও মানসিক শাস্তি নিষিদ্ধ করে সরকার। নিষিদ্ধ শারীরিক শাস্তিগুলো হলোÑ শিক্ষার্থীদের হাত-পা বা কোনো কিছু দিয়ে আঘাত বা বেত্রাঘাত, চক বা ডাস্টারজাতীয় বস্তু ছুড়ে মারা, আছাড় দেয়া ও চিমটি কাটা, শরীরের কোনো স্থানে কামড় দেয়া, চুল টানা বা কেটে দেয়া, হাতের আঙুলের ফাঁকে পেন্সিল চাপা ও মোচড় দেয়া, ঘাড় ধাক্কা দেয়া, কান টানা বা ওঠবস করানো, চেয়ার-টেবিল বা কোনো কিছুর নিচে মাথা দিয়ে দাঁড় করানো বা হাঁটু গেড়ে দাঁড় করিয়ে রাখা, রোদে দাঁড় করে বা শুইয়ে রাখা কিংবা সূর্যের দিকে মুখ করে দাঁড় করানো এবং শ্রম আইনে নিষিদ্ধ কোনো কাজ শিক্ষার্থীদের দিয়ে করানো।
শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মা-বাবা, বংশ পরিচয়, গোত্র-বর্ণ ও ধর্ম সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য, অশোভন অঙ্গভঙ্গি করা বা শিক্ষার্থীদের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে এমন বিষয়গুলোও মানসিক শাস্তি হিসেবে চিহ্নিত হবে বলে সেখানে জানানো হয়। কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ ধরনের শাস্তি দেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া যাবে। প্রয়োজনে ফৌজদারি আইনেও সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাবে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের সময় তাদের নিয়োগপত্রে কোনো শিক্ষার্থীকে শারীরিক ও মানসিক শাস্তি দেয়া যাবে নাÑ এই শর্ত অন্তর্ভুক্ত করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের কাছ থেকে অঙ্গীকারনামা নেয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।