পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আলজেরিয়া বাংলাদেশেরে বন্ধুরাষ্ট্র। বাণিজ্য ও অর্থনৈকিত সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য ১৯৭৩ সালে উভয় দেশের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল। বাংলাদেশ আরজেরিয়ার সাথে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। উভয় দেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে এফটিএ অথবা পিটিএ স্বাক্ষর করা হয়ে। একই সঙ্গে ১৯৭৩ সালে সম্পাদিত চুক্তির কোন বিষয় প্রয়োজন হলে সংশোধন করা হবে। উভয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ রপ্তানি বাণিজ্যে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ তৈরী পোশাক রপ্তানিতে পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। আলজেরিয়ায় বাংলাদেশের তৈরী পোশাক, পাট ও চামড়া জাত পণ্য, তামাক এবং ফার্নিচারের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ এগুলো আলজেরিয়ায় রপ্তানি বৃদ্ধি করতে চায়। উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের সফর বিনিময়ের মাধ্যমে রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতি হলে উভয় দেশের মধ্যে সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
আজ বৃহষ্পতিবার (১৩ আগষ্ট) বাণিজ্যমন্ত্রী ঢাকায় সরকারী বাসভবনের অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত রাবাহ লারবি এর সাথে জুম প্লাটফর্ম বৈঠকে এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত রাবাহ লারবি বলেন, আলজেরিয়া বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। উভয় দেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈকিত সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য ১৯৭৩ সালে একটি চুক্তি হয়েছিল। এ মহুর্তে উভয় দেশের বাণিজ্যের পরিমান খুবই কম। বাণিজ্য বাড়াতে বাংলাদেশের সাথে এফটিএ অথবা পিটিএ করতে প্রস্তুত আরজেরিয়া। উভয় দেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। আরজেরিয়ায় বাংলাদেশের বেশ কিছু পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়ে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সবকিছু করতে চায় আরজেরিয়া।
উল্লেখ্য, গত অর্থবছরে আলজেরিয়ায় রপ্তানি হয়েছে ৫ দশমিক ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের বাংলাদেশী পণ্য এবং একই সময়ে আমদানি হয়েছে ৯০ দশমিক ৭৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। বাণিজ্যমন্ত্রী আলজেরিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। এ সময় বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।