পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : নিখোঁজ রাবেয়া আক্তার টুম্পা ও সায়মা আক্তার মুক্তা গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের করফা গ্রামের মৃত ছলেমান শেখের মেয়ে। টুম্পা ও মুক্তাদের গ্রামের বাড়িতে তাদের বংশের দূর সম্পর্কের চাচা আসাদ শেখ স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বসবাস করেন।
আসাদ দিনমজুরের কাজ করেন। তিনি কামলা খাটতে যশোর গেছেন। আসদের স্ত্রী বিউটি বেগম জানান, ছলেমান শেখের ছেলে মেয়ের সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই। ছলেমান শেখ খুলনায় ব্যবসা করতো। গ্রামের বাড়িতে তার জায়গা জমি আছে। কিন্তু বাড়ি ঘর নেই। তিনি গ্রামে খুবই কম আসতেন। তার ছেলে মেয়েরা খুলনার ইকবাল নগরের মুচিপাড়ায় বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছে। সেখানেই তারা বড় হয়েছে। পাকুড়তিয়া গ্রামের একেএম আবুল হাসনাতের ছেলে শরিফুল হক ইমনের সাথে রাবেয়া আক্তার টুম্পা ও সাইফুল হক সুজনের সাথে সাইমা আক্তার মুক্তাকে বিয়ে দিয়েছে। আমরা গবির বলে তারা আমাদের সাথে সম্পর্ক রাখেনি। আমরাও সম্পর্ক রাখি না।
পাকুড়তিয়া গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠ বায়জিত মিয়া বলেন, আমাদের গ্রামের একেএম আবুল হাসনাতের ছেলে ও সাইমা আক্তার মুক্তার স্বামী সাইফুল হক সুজন সিরিয়ায় আইএসের আস্তানায় রুশ হামলায় গত বছর নিহত হয়। এ ঘটনার পর জঙ্গি অর্থায়নে সহযোগিতা করার সন্দেহে পুলিশ সুজনের পিতা একেএম আবুল হাসনাতকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে। সে এখন জেলহাজতে রয়েছে। গ্রামের বাড়িতে তারা কেউ থাকে না। সবাই ঢাকা সেটেল।
তিনি আরো জানান, নিখোঁজ দুই বোন টুম্পা ও মুক্তার শ্বশুর একেএম আবুল হাসনাত প্রথমে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার ঘাঘর বাজারে চেম্বার নিয়ে দাঁতের চিকিৎক হিসেবে পেশা শুরু করেন। পরে তিনি খুলনা চলে যান। সেখানে তিনি দাঁতের চিকিৎসা করতেন। আবুল হাসনাত টুঙ্গিপাড়া উপজেলার লেবুতলায় চিংড়ির হ্যাচারী স্থাপন করে ব্যবসা করতেন। এছাড়া তার ঢাকার কারওয়ান বাজারে সফট্ওয়্যারের ব্যবসা রয়েছে।
করফা গ্রামের মোঃ মোস্তফা শেখ জানান, করফা সামসুল উলুম খাদেমুল ইসলাম মাদ্রসায় তিনি ২ বিঘা জমি দিয়েছেন। তার জমিতেই ১৫ বছর আগে মাদ্রাসা স্থাপন করা হয়।
টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি মোঃ মাহামুদুল হক বলেন, অভিযুক্তরা খুলনা ও ঢাকা সেটেল। তাদের সাথে টুঙ্গিপাড়ার পাকুড়তিয়া ও করফা গ্রামের কোন যোগাযোগ নেই। করফার পৈতৃক বাড়িতে তাদের কোন বাড়িঘর নেই। দূর সম্পর্কের এক চাচা সেখানে বসবাস করেন। মুক্তার স্বামী সাইফুল হক সুজন সিরিয়ায় আইএসবিরোধী হামলায় মৃত্যু বরন করেছে। এ সময় তিনি আইএস ঘাঁটিতে ছিলেন। সুজনদের পাকুড়তিয়া বাড়িতে কেউ বসবাস করে না। তারপরও আমরা এ ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিচ্ছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।