পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মেজর সিনহা (অব.) যখন গুলিবিদ্ধ হন, সে সময় তার পাশেই ছিলেন তার তথ্যচিত্রের কাজের সহকর্মী সাহেদুল ইসলাম সিফাত। পরে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে গিয়ে সিফাতকে হাতকড়া পরিয়েই রাখা হয় কয়েক ঘন্টা। করা হয় জিজ্ঞাসাবাদ। সেই জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিওতেই বোঝা যায় কী ঘটেছিলো সেদিন।
সিনহার সহকর্মী সাহেদুল ইসলাম সিফাত বলেন, না কোন অস্ত্র ছিলো না। আমাদের হাতে ট্রাইপড ছিলো ওইটাকে উনারা ভুল বুঝতে পারেন। কিন্তু পাহাড় থেকে নামার সময় কোন অস্ত্র ছিলো না। আমি হাত তোলা দেখে পিছনে চলে এসেছি। আমাদের আগেই গাড়ি থেকে নামতে বলেছিলো। শামলাপুর চেকপোস্টে পরিচয় জানার পর গাড়ির সামনে ড্রাম ফেলে আটকে দেয়া হয় তাদের।
সিফাত আরও বলেন, আমরা প্রথম যখন পৌঁছেছি আমাদের বলা হলো আপনাদের সম্বন্ধে জানান। আমরা গাড়ির গ্লাস ওঠানোর সময় উনি আসলেন। এসে উনি বললেন, দাঁড়ান আবার বলেন। তারপর উনি দৌড়ে গিয়ে ড্রামটা সামনে দিয়ে দিলেন। উনাদের গায়ে পুলিশের ইউনিফর্ম ছিলো না। তারা ৪-৫ জন ছিলো। তারপরই গাড়ি থেকে বের হতে বলে পুলিশ। সাহেদুল ইসলাম সিফাত জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে চিৎকার ছিলো যে, বের হ গাড়ি থেকে। আমি যখন গাড়ি থেকে নেমে পিছনে হাঁটা শুরু করি, উনিও গাড়ি থেকে নামেন। তারপর বলেন কাম ডাউন, কাম ডাউন। এরপর আমি গুলির শব্দ শুনি। তারপর আমি দেখলাম সিনহা স্যার মাটিতে পড়া। তখন আমি ভেবেছিলাম শরীরে লাগেনি, হয়তো ফাঁকা আওয়াজ করেছেন, উনি হয়তো মাটিতে শুয়ে পড়েছেন। তারপর দেখলাম উনার শরীর থেকে রক্ত বের হচ্ছে।
সিনহার অবস্থান এবং অস্ত্র কোথায় ছিলো? এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী সিফাত জানান, সিনহা স্যার যখন গাড়ি থেকে নামেন আমি দেখেছি উনি পিস্তলটা গাড়িতে রেখে নেমেছেন। আমি দেখেছি উনি দু›হাত তুুলে গাড়ি থেকে নেমেছেন। আমিতো পিছনে ছিলাম তাই আমি শুধু দেখেছি উনি নিচু হয়ে ছিলেন। তাই উনার পদক্ষেপটা আমি দেখতে পাইনি। সিফাত জানান, গুলি করার সময় আশেপাশে তেমন কোন লোকজন ছিলো না। দূরে হয়তো ছিলো তবে প্রথমদিকে কোন ভিড় হয়নি। প্রথমে পেছনে একটা বা দুুইটা গাড়ি ছিলো। পরে ক্রাউড হয়েছিলো। এই সিফাত সিনহা হত্যা মামলার অন্যতম সাক্ষী।
জেলখানায় বসেও ফেসবুক চালান ইন্সপেক্টর লিয়াকত!
জেলখানায় বন্দি থেকেও ফেসবুক চালাচ্ছেন বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর (আইসি) লিয়াকত আলী। সিনহাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার ফেসবুক আইডি ‘অ্যাকটিভ’ দেখাচ্ছে। গতকাল রাতেও ফেসবুক মেসেঞ্জারে তার আইডি অনলাইনে পাওয়া যায়। এমনকি গত ৬ আগস্ট আদালত থেকে কারাগারে যাওয়ার দিনও তার আইডির ‘ প্রোফাইল পিকচার’ পরিবর্তন করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।