পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করা ও করোনাভাইরাস থেকে মুক্তিলাভে সহায়তা হিসেবে ৩ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি ২৭ হাজার ২৮২ কোটি টাকা)-এর সমপরিমাণ ৩৩৮ দশমিক ২৪৭ ইয়েন দিচ্ছে জাপান। জাপানের ৪১তম সরকারি উন্নয়ন সহায়তা-ওডিএ-র আওতায় ৭টি প্রকল্পের জন্য এ ঋণ দেয়া হচ্ছে। এ উপলক্ষে গতকাল ঢাকায় একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন নিজ নিজ সরকারের পক্ষে স্বাক্ষরিত নোট বিনিময় করেন। ১৯৭৪ সালের পর থেকে বাংলাদেশকে দেয়া এটি জাপানের বৃহত্তম ঋণ। বাংলাদেশে জাপান দূতাবাস থেকে গতকাল দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়েছে।
বাংলাদেশের অফিসের জাইকা’র প্রধান প্রতিনিধি হায়কাওয়া ইউহো এবং মিসেস ফাতিমা ইয়াসমিন এ সংক্রান্ত ঋণ চুক্তিতে নিজ নিজ দেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন। জাপান ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশের একক বৃহত্তম দ্বিপাক্ষিক দাতা এবং ইয়েন ঋণ হিসাবে তার সহায়তার মোট পরিমাণ ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে (প্রতিশ্রæতি ভিত্তিতে) পৌঁছেছে।
বিনিময়কৃত ৪১তম নোটে নিম্নলিখিত প্রকল্পগুলো রয়েছেঃ
(১) যমুনা রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্পে ঋণের পরিমাণ ৮৯.০১৬ বিলিয়ন ইয়েন, (২) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর স¤প্রসারণ প্রকল্পে ঋণের পরিমাণ ৮০ বিলিয়ন ইয়েন, (৩) ঢাকা মাস র্যাপিড ট্রানজিট উন্নয়ন প্রকল্পে ঋণের পরিমাণ ৭২.১৯৪ বিলিয়ন ইয়েন, (৪) ঢাকা মাস র্যাপিড ট্রানজিট উন্নয়ন প্রকল্প (লাইন ৫ উত্তরাঞ্চলীয় রুট)-এ ঋণের পরিমাণ ৫৫.৬৯৬ বিলিয়ন ইয়েন, (৫) চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হাইওয়ে ইমপ্রæভমেন্ট প্রজেক্টে ঋণের পরিমাণ ১.৯০৬ বিলিয়ন ইয়েন, (৬) ফুড ভ্যালু চেইন উন্নয়ন প্রকল্পে ঋণের পরিমাণ ১১.২১৮ বিলিয়ন ইয়েন এবং (৭) নগর উন্নয়ন ও নগর প্রশাসন প্রকল্পে ঋণের পরিমাণ ২৮.২১৭ বিলিয়ন ইয়েন।
সুদের হার বার্ষিক ০.৬৫% (পরামর্শদাতাদের অর্থ প্রদানের অংশ বার্ষিক ০.০১%)। দশ বছরের অনুগ্রহের পরে বিশ বছরে এ ঋণ পরিশোধ করা যাবে।
বর্তমানে জাপান সরকার আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় জরুরি সহায়তা হিসাবে প্রায় ১৩ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে এবং জাইকার মাধ্যমে হাসপাতালে পিপিই সরবরাহ করেছে। অধিকন্তু ১৬ জুলাই জাপান এবং বাংলাদেশ সিটি স্ক্যানার, এক্স-রে মেশিনসহ চিকিৎসা সরঞ্জামের জন্য জাপানি অনুদান সহায়তা ‘অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন প্রোগ্রাম’-এ প্রায় ১০ মিলিয়ন ডলার-এর বিনিময় নোটে স্বাক্ষর করেছে। এসব সহায়তা বর্তমানে মেডিকেল এবং স্বাস্থ্য খাতে নোভেল করোনাভাইরাস মোকাবিলার জন্য দেয়া হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট উভয় দেশই কোভিড-১৯ সঙ্কট মোকাবিলায় জরুরি সহায়তা ঋণের (আনুমানিক ৩৩১ মিলিয়ন ডলার) বিনিময় নোটে স্বাক্ষর করে, যা জাপান থেকে বাংলাদেশে প্রথম সহায়তা। আর্থিক সহায়তার উদ্দেশ্য হ’ল অর্থনৈতিক উদ্দীপনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত আর্থিক ব্যয়ের জন্য অর্থ সরবরাহ করা। শতাব্দীর এ দশকে এশিয়ায় সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের পথে এগিয়ে যাওয়ায় জাপান বাংলাদেশের উন্নয়নে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।