পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পুলিশি হয়রানি ও বাড়তি ঝামেলা এড়াতে ব্যাচেলরদের কেউ ভাড়া দিচ্ছেন না
পুলিশ বলছে জঙ্গি দমনের লক্ষ্যে বর্তমান প্রেক্ষাপটে সন্দেহ হলেই ব্লক রেইড
উমর ফারুক আলহাদী : রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ। এইচএসসির রেজাল্টের অপেক্ষায় আছেন। তার ইচ্ছা বুয়েটে ভর্তি হওয়া। তিনি রাজধানীর পশ্চিম ধানমন্ডির ৭/এ রোডের একটি মেসে থাকতেন। ২৯ জুলাই গভীর রাতে ওই মেসে পুলিশ ব্লক রেইড দেয়। খবর পেয়ে তার মা রোমানা বেগম এরপর দিন মেস ছেড়ে দিতে বলেন রিয়াজুলকে। পরদিনই সে বাধ্য হয়ে মেস ছেড়ে চলে যান গ্রামে। এসএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস পাওয়া রিয়াজুল বুয়েটে ভর্তির আশায় সিরাজগঞ্জ থেকে ঢাকায় এসে ভর্তি হয়েছেন কোচিং সেন্টারে। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান রিয়াজুল কোচিং-এ ক্লাস করার পাশাপাশি ধানমন্ডি এলাকায় টিউশনি করেন। এক ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। দুই বছর আগে জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে তার বাবা মারা গেছেন। তিনি টিউশনি করে নিজের লেখাপড়ার খরচ বহন করেন। মায়ের আশা লেখাপড়া শেষে একদিন বড় ইনঞ্জিনিয়ার হবে, ছেলে অভাবী সংসারের হাল ধরবে। রিয়াজুলের চোখেও এমন স্বপ্ন খেলা করে রাতদিন। এ স্বপ্ন বুকে ধারণ করে তিনি ঢাকা আসেন। কিšুÍ সে স্বপ্ন সিঁড়িতে পা রাখার আগেই একটা বড় ধাক্কা খেল। পুলিশের ব্লক রেইড তার মনে ছড়িয়ে পড়েছে বড় ধরনের ভীতি আর আতঙ্ক। তাই ঢাকার লেখাপড়ার পাঠ চুকিয়ে তিনি গতকাল ফিরে গেছেন গ্রামের বাড়িতে মায়ের কাছে। গতকাল দুপুরে কমলাপুর রেল স্টেশনে তিনি এসব কথা বলার সময় বার বার চোখের পানি মুছছিলেন। তার কান্না যেন থামছিল না। শুধু রিয়াজুল ইসলাম নয়, তার মত হাজার হাজার শিক্ষার্থী, চাকুরীজীবী ও ব্যবসায়ীকে মেস ছেড়ে দিতে হচ্ছে। কারণ, রাজধানীর মেস ও বাড়ির মালিকেরা এখন আর বেচেলরদের বাসা ভাড়া দিতে আগ্রহী নন। ফলে বিপাকে পড়েছেন ঢাকা মহানগরীতে মেসে বসবাসরত কয়েক লাখ বাসিন্দা। পুলিশের ব্লক রেইডের ভয়ে মেসের মালিক ও ভাড়াটিয়াদের মধ্যে দেখা দিয়েছে অজানা আতঙ্ক। প্রতি রাতেই চলছে ব্লক রেইড। পুলিশী হয়রানি ও বাড়তি ঝামেলা এড়াতে ব্যাচেলরদের কাছে কেউ বাসা বাড়া দিচ্ছেন না। মেস বন্ধ করে মালিকেরা খুঁজছেন ফ্যামিলি ভাড়াটিয়া। অসহায় হয়ে পড়ছেন রাজধানীর বিভিন্ন মেসে বসবাসরত কর্মজীবী ও শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার লাখ লাখ বাসিন্দা।
পুলিশ বলছে, মেস ভাড়া দেবার বিষয়ে তারা কোনো বিধি-নিষেধ আরোপ করেনি। সকল প্রকার ভাড়াটেদের তথ্য থানায় জমা দেবার জন্য বাড়ির মালিকদের তাগাদা দেয়া হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে।
মেসের মালিকদের কয়েকজন জানিয়েছেন, সঠিক গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালালে তাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই গত কয়েক দিনে রাজধানীর অনেক বাড়িতে ব্লক রেইড দেয়া হয়েছে। তল্লাশির নামে হয়রানিরও অভিযোগ উঠেছে। তারা আইনশৃংখলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি অনুরোধ করে বলেছেন বিনা কারণে ব্লক রেইড যেন বন্ধ করা হয়। বাড়ির মালিকদের কেউ কেউ বলেছেন, রাত হলেই অজানা আতঙ্ক। মধ্যরাতে পুলিশের বুটের লাথিতে দরজা খোলে অসহায় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এ কারণে অনেকেই ভয়ে মেস ছেড়ে দিচ্ছেন। এছাড়া পুলিশের অলিখিত নিষেধাজ্ঞার কারণে ব্যাচেলরদের বাসা ভাড়া দেয়া হচ্ছে না। কারণ জঙ্গি গ্রেফতারের নামে যে কোন সময় শুরু হয় আইন শৃংখলা বাহিনীর ব্লক রেইড।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া বলেন, পুলিশ সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই অভিযান চালাচ্ছে। কল্যাণপুরে অভিযান চালানোর আগে পুলিশ ও গোয়েন্দারা জঙ্গিদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে নিশ্চিত হয়েই অভিযান চালায়। এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কমিশনার বলেন, ব্যাচেলরদের কাছে বাসা ভাড়া দেয়া-না দেয়ার ব্যাপারে মালিকদের কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। তবে ভাড়াটিয়াদের সব তথ্য সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে।
ধানমন্ডির ৭/এ নম্বর রোডের যে মেসে অভিযান চালানো হয়েছিল ওই বাড়ির মালিক জানান, অভিযান চলাকালে পুলিশ মেসের বাসিন্দাদের অনেকের সঙ্গে আসামির মতো আচরণ করছে। মেস মালিকদেরও অভিযানের সময় রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। মেসের মালিকদের কয়েকজন জানিয়েছেন, সঠিক গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালালে তাদের কোনো আপত্তি নেই। তথ্যপ্রমাণ ছাড়া তল্লাশীর নামে তারা হয়রানি না করার জন্য আইনশৃংখলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি অনুরোধ করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর বিভিন্ন ছাত্রাবাস ও মেসে প্রতি রাতেই চলছে পুলিশের বিশেষ অভিযান ‘ব্লক রেইড’। জঙ্গিবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে চলছে পুলিশের এ অভিযান। আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বুটের শব্দে ঘুম ভাঙছে ছাত্রাবাস ও মেসের বাসিন্দাদের। গভীর রাতের এ অভিযানে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে এক ধরনের আতঙ্ক। তবে বেশিরভাগ অভিযান শেষে শূন্য হাতেই ফিরছেন আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। কোনো কোনো এলাকায় পুলিশের পক্ষ থেকেও মেস উঠিয়ে দেয়ার জন্য মালিকদের তাগাদা দেয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে পুলিশি ঝামেলা এড়াতে মেস সদস্যদের বাসা ছেড়ে দেয়ার নোটিশও দিচ্ছেন মালিকরা।
বাড়ির মালিকরা ব্যাচেলদের বাড়ি ভাড়া দিচ্ছে না। অন্যদিকে দু একটা জায়গায় ব্যাচেলররা ভাড়া পেলেও গুণতে হচ্ছে দ্বিগুণ টাকা। অনেকে লেখাপড়ার সাথে সাথে চাকরি করে অফিস থেকে বাসায় ফিরতে রাত ১১টা বেজে যায়। আর বাসায় আসার পথে কোনো কোনো সময় তল্লাশীর শিকার হতে হয়। আর মধ্য রাতে হয় মেসে তল্লাশী। এতে বিপাকে পড়েছেন রাজধানীর বিভিন্ন মেসে বসবাসরত প্রায় ২০ লাখ বাসিন্দা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া শাখার প্রধান উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, ব্যাচেলরদের বাসা বা মেস ভাড়া দিতে পুলিশের কোন বাধা নিষেধ নেই। ব্লক রেইডের ব্যাপারে তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে সন্দেহ হলেই যে কোন বাড়িতে পুলিশ ব্লক রেইড দিতে পারবে। কারণ জঙ্গি বিরোধী অভিযানে যে কোন সময় মেস বা বাসা বাড়িতে রেইড দেয়ার সরকারী নির্দেশনা রয়েছে।
এদিকে গত কয়েকদিনের ব্লক রেইডে ঢাকার দুটি অপরাধ বিভাগের বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে অন্তত ৪৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে বিভিন্ন সূত্র জানায়, প্রতিরাতেই কমপক্ষে শতাধিক ব্যক্তিকে মেস থেকে আটক করে পুলিশ নিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে পুলিশ বলছে আটক করলেও যাচাই বাছাই করে নিরপরাধ ও নিরীহদের ছেড়ে দেয়া হচ্ছে।
রাজধানীতে পুলিশের ৮টি অপরাধ বিভাগ রয়েছে। স্থানীয় থানা পুলিশের পাশাপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্সের সদস্যরাও ব্লক রেইডে অংশ নিচ্ছেন। ঢাকা মহানগরীতে কয়েক হাজার মেস ও ছাত্রাবাস রয়েছে। এসব মেসে ছাত্র ছাড়াও চাকরিজীবী, চাকরিপ্রত্যাশী বেকার ও নিম্ন আয়ের মানুষ বসবাস করেন।
রাজধানীতে মেসের জন্য সুপরিচিত আরামবাগ, ফকিরাপুল ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন ভবনে ‘টু-লেট’ ঝুলছে। তবে ব্যাচেলরদের ভাড়া দেয়া হয় না লিখে ট-ুলেটের সাথে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছৈ। যে সব বাসায় মেস রয়েছে সে গুলোতে এখন ফ্যামিলি ভাড়া দেওয়া হবে লেখা টু-লেট লাগানো হয়েছে। বাড়ির মালিকেরা জানান,মেসে অনেক সমস্যা। সে কারণে আগামী মাস থেকে ফ্যামিলি ভাড়া দেওয়া হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার পরও মালিক তাদের আগামী মাসে বাসা ছেড়ে দিতে বলেছেন বলে জানিয়েছেন মেসের একজন সদস্য।
গত সোমবার রাত পৌনে একটা থেকে পৌনে ২টা পর্যন্ত রমনা থানার মগবাজার অয়্যারলেস গেট এলাকায় ব্লক রেইড চালায় পুলিশ। রেলগেটের পাশের একটি ভবনে তল্লাশি চালানো হয়। মাঝরাতে হঠাৎ করে পুলিশ দেখে আতঙ্কিত হওয়ার কথাও জানান তারা। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে ধানমন্ডি এলাকায় ব্লক রেইড চালায় পুলিশ। স্টার কাবারের পেছনের দিকের ১০-১২টা বাড়িতে তল্লাশি করা হয়। এ সময় সেখানকার একটি বাসা থেকে জামায়াত-শিবিরের ১৩ জনকে জিহাদি বই, চাঁদা তোলার রশিদসহ আটক করে পুলিশ।
২৯ জুলাই একযোগে অভিযান চালানো হয় রাজধানীর রায়েরবাজার. হাজারীবাগ, মধুবাজার, জিগাতলা, পশ্চিম ধানমন্ডির ৭/এ নম্বর সড়কের বিভিন্ন মেসে। একই রাতে শুধু রায়েরবাজারে ১১টি ভবনে এবং হাজারীবাগে ১২টি ভবনে অভিযান চালানো হয়।
পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে ১৮৯ মধুবাজার হোল্ডিংয়ের বাড়ির নিচতলায় ‘ব্লক রেইড’ চালিয়ে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পাশাপাশি সেখান থেকে বিপুল সংখ্যক উগ্র মতবাদের বই ও সরকারবিরোধী লিফলেটও উদ্ধার করা হয়েছে। নাশকতার পরিকল্পনা করার জন্য তারা সেখানে বৈঠক করছিল ।
রাজধানীর আফতাবনগর জহিরুল ইসলাম সিটি আবাসিক এলাকার বি ব্লকে ৩ নম্বর রোডে একটি বহুতল ভবনের (পিস তাজমহল) একটি ফ্ল্যাটে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির কয়েকজন ছাত্র কয়েক বছর ধরে মেস হিসেবে ব্যবহার করছেন। পুলিশি ঝামেলা এড়াতে ওই ফ্ল্যাটটির মালিক ইতিমধ্যে তাদের বাসা ছেড়ে দেয়ার নোটিশ দিয়েছেন। হঠাৎ করে বাসা ছেড়ে দেয়ার নোটিশে এ মেসের বাসিন্দারা পড়েছেন বিপাকে।
এদিকে সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ মিরপুরের পল্লবীতে ব্যাচেলরদের বাড়ি ভাড়া দিতে নিষেধ করেছেন। এই নির্দেশের পর অনেক বাড়িওয়ালা বাড়ি থেকে মেসই উঠিয়ে দিচ্ছেন। গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার পর শুধু মিরপুর নয়, সারাদেশেই মেস ভাড়ায় আগের চেয়ে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
এমপি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ বলেছেন, মিরপুরকে জঙ্গিমুক্ত রাখতে সকল মেস উঠিয়ে দিতে হবে। সবার নিরাপত্তার স্বার্থেই এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, শেওড়াপাড়ার যে বাসায় জঙ্গিদের আস্তানা ছিল, তাতে বাঙলা কলেজের ছাত্ররাই থাকত। মিরপুরের হাজার হাজার ছাত্র ও চাকরিজীবী ব্যাচেলররা কোথায় যাবেন? এমন প্রশ্নে এমপি বলেন, তাদের ফ্যামিলি নিয়ে থাকতে হবে। না হলে মিরপুরে তাদের পরিচিত কোনো ফ্যামিলি থাকলে তাদের সঙ্গে থাকতে হবে। তিনি বলেন, যার পরিচিত কেউ নেই, সে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আমার কাছে আসবে। ভালো মনে করলে থাকতে পারবে। আমাকে না পেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর কিংবা স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কাছে যাবে। যদি তারা খোঁজ-খবর করার পর দেখেন কোনো সমস্যা নেই, তাহলেই মেস দেওয়া হবে।
মেস সংঘ নামে মেসবাসীর একটি সংগঠন রয়েছে। সংগঠনটির দাবি, তারা গোটা ঢাকার সব মেসবাসীর প্রতিনিধি। এর মহাসচিব আয়াতুল্লাহ আকতার বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে মেসের সদস্যের কেন, সবারই তথ্য পুলিশের কাছে থাকা উচিত। গুটিকয় জঙ্গির অপরাধের দায় লাখ লাখ মেস সদস্যের ওপর দেওয়া উচিত নয়। কারণ, জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে আমলা, পুলিশ তারাও একদিন মেসে থেকেই পড়াশোনা করেছেন। মেস উচ্ছেদ করা হলে তা হবে অমানবিক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।