পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সব হিসাব ওলট-পালট করে দিয়েছিল করোনাভাইরাস। দেশ ও বিদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় ছাড়া অন্য সব পণ্যের চাহিদা কমে গিয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই শিল্পকারখানার উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। কর্মী ছাঁটাইয়ের মতো ঘটনা বেড়েছে। এমনকি আর্থিক সংকটে পড়ে কারখানাও বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু করোনার ধাক্কা কাটিয়ে ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধারের পথে এগোচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতি। বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই। করোনাকে উপক্ষো করেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োপযোগী নেতৃত্বে দ্রুত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশের অর্থনীতি। দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈশ্বিক এই মহামারীর কারণে সংকটের পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্য টানার যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তাকে কাজে লাগাতে বিনিয়োগের আকর্ষণীয় পরিবেশ তৈরির পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে উন্নয়নকাজ দ্রুত গতিতে বাস্তবায়নে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণেরও কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
যদিও ইতোমধ্যে করোনায় থেমে যাওয়া অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলোর অন্যতম অভ্যান্তরীণ বাণিজ্যে গতি ফিরেছে। কয়েকদিন আগেও নিজেদের ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা, ছোট-বড় ব্যবসায়ী যাঁরা ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন, তাঁদের শঙ্কা কাটতে শুরু করেছে। ব্যবসায়ীদের আস্থা ফিরছে বলেও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং’র (সানেম) গবেষণায় উঠে এসেছে। দীর্ঘদিন পর পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা আস্থা ফিরে পেয়েছে। গতকালও বাজারে বড় উল্লম্ফন দেখা দিয়েছে। একদিনেই প্রায় সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকার ওপরে বাজার মূলধন ফিরে পেয়েছে ডিএসই। ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক বেড়েছে প্রায় ২০০ পয়েন্ট। অব্যাহত রয়েছে ওষুধ রফতানিতে প্রবৃদ্ধি। চামড়া ও চামড়াপণ্য রফতানিতেও রয়েছে বড় সুযোগ। সফটওয়্যার রফতানিতেও প্রবৃদ্ধি বজায় রয়েছে। এক্ষেত্রে দীর্ঘদিন যেসব দেশ ভারতের সাথে সফটওয়্যার বাণিজ্য করতো তাদের সাথে দেশটির যাচ্ছে-তাই ব্যবহারে ভারতের প্রতিষ্ঠানগুলোকে না করে দিচ্ছে। সেসব দেশগুলোও ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সাথে সফটওয়্যার ব্যবসায় আগ্রহ প্রকাশ করছে। এদিকে করোনার মধ্যেও স্বাভাবিক ছিল পোশাক কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম। এর সুফল হিসেবে গত জুলাই মাসে তৈরি পোশাক খাতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রফতানি আয় বেশি হয়েছে। আরও স্বস্তির খবর হচ্ছে, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, তৈরি পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানেই আছে।
সম্প্রতি ঈদ উৎসবে গ্রামীণ অর্থনীতিতে চাঙ্গাভাব দেখা গেছে। সড়কে যানবাহনের ভীড় বুঝিয়ে দিচ্ছে দেশের সবকিছু যেন আগের মতোই স্বাভাবিক হয়ে গেছে। দৈনন্দিন কাজকর্মেও আসছে গতি। আর দেশের রফতানি-রেমিট্যান্সের ইতিবাচক ইঙ্গিত প্রাণ ফেরার আভাস দিচ্ছে অর্থনীতিতে। যা স্বাভাবিক সময়ের চেয়েও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য বলছে, গত বছরের জুলাই মাসের চেয়ে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৬৩ শতাংশ। আর গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রফতানি আয়ও বেশি হয়েছে তিন কোটি মার্কিন ডলার। এছাড়া দীর্ঘদিন থেকে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে দেশের বিভিন্নস্থানে ১০০টি ইকোনমিক জোন, ২৮টা হাইটেক পার্ক তৈরিসহ অবকাঠামো নির্মাণ চলমান রয়েছে। অবকাঠামোগত উন্নয়নে গুরুত্ব দেয়ার কারণ নিয়ে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অবকাঠামো উন্নয়ন না হলে কখনোই বিনিয়োগ আসতে পারে না। রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে নৌপথ, রেল, আকাশ পথ সবই যাতে উন্নত হয় সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আর এসব পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশের শীর্ষ বাণিজ্যিক অংশীদার চীন, জাপান, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশগুলোর চোখ এখন বাংলাদেশ। চীন ইতোমধ্যে বিনিয়োগসহ আগের ৩ হাজার ৯৫টি পণ্যের সঙ্গে সম্প্রতি নতুন করে ৫ হাজার ১৬১টি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে। যার মধ্যে তৈরি পোশাকসহ বাংলাদেশের প্রধান রফতানিকৃত ১৭টি পণ্য আছে। এছাড়া করোনা-পরবর্তী বদলে যাওয়া বিশ্ব প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে আসতে পারে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। যা বাংলাদেশের রফতানি খাত তথা অর্থনীতির জন্য আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সা¤প্রতিক সময়ে চীন থেকে জাপানের কারখানা স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশের সামনেও একটি সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার ফলে চীন থেকে বিনিয়োগ গুটিয়ে নেয়া বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
আর এসবের প্রভাবে জুলাইয়ে বাংলাদেশের রফতানিতে আশাব্যঞ্জক প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। করোনার মধ্যেও কয়েক মাস ধরে আসছে রেকর্ড রেমিট্যান্স। যদিও এই গতি অর্থনীতিকে কতোটা আগের অবস্থানে ফেরাতে ভ‚মিকা রাখবে সেটিই বড় প্রশ্ন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ সুযোগ কাজে লাগাতে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এক্ষেত্রে যদিও, সরকার এবং ব্যবসায়ীরা আশা করছে, প্রত্যাশার চেয়েও কম সময়ে ঘুরে দাঁড়াবে অর্থনীতি।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএস এর গবেষক ড. জায়েদ বখত বলেছেন, রফতানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ার সুফল মিলবে পুরো অর্থনীতিতে। গুরুত্বপূর্ণ এই দুটি খাত শক্তিশালী হলে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে টেনে তুলতে সাহায্য করবে। রেমিট্যান্স দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়াতে সহায়তা করবে। ছোট ছোট উদ্যোক্তা তৈরি করবে। আর রফতানি আয় বিনিয়োগ বাড়াতে সহায়তা করবে। এছাড়া কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে যে বিরূপ প্রভাব পড়ার কথা ছিল রফতানি বাড়ার কারণে সেটা হবে না।
জানতে চাইলে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র সভাপতি শেখ ফাহিম বলেন, বাংলাদেশের উৎপাদন খরচ কম। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ, পানির মতো পরিষেবার মূল্য কম। আর এসব বিষয় মিলিয়ে বাংলাদেশ অবশ্যই বিনিয়োগের একটি আকর্ষণীয় জায়গা। তিনি বলেন, আমরা বিনিয়োগে আগ্রহী বিভিন্ন দেশকে বলেছি, সব ধরনের সহযোগিতা করব, বিনিয়োগ করুন।
ইপিবি’র তথ্য অনুযায়ী, করোনা মহামারির মধ্যে শুরু হওয়া নতুন অর্থবছরের (২০২০-২০২১) প্রথম মাস জুলাইয়ে আগের বছরের (২০১৯ সালের স্বাভাবিক সময়ে) একই সময়ের তুলনায় রফতানি আয় বেশি হয়েছে অন্তত তিন কোটি মার্কিন ডলার। শুধু তাই নয়, করোনার বাস্তবতা সামনে রেখে রফতানি আয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল তার চেয়ে ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেশি আয় হয়েছে। ইপিবি বলছে, অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইতে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৪৪ কেটি ৯০ লাখ ডলার। অথচ এই খাতে আয় হয়েছে ৩৯১ কোটি ডলার। অর্থাৎ প্রথম মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় বেড়েছে ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ। একই সঙ্গে অর্জিত রফতানি আয় আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে বেড়েছে শূন্য দশমিক ৫৯ শতাংশ। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে রফতানি থেকে আয় হয়েছিল ৩৮৮ কোটি মার্কিন ডলার।
তবে ধারণা করা হচ্ছে, করোকানাকালে রফতানি আয়ের এই সাফল্যের পেছনে বড় ভ‚মিকা রেখেছেন গার্মেন্ট মালিক ও এই খাতের শ্রমিকরা। তারা শ্রোতের বিপরীতে অর্থাৎ করোনার ভয়াবহতার মধ্যেও কারখানা খোলা রেখে উৎপাদনে ছিলেন। এদিকে একক দেশ হিসেবে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থান দখল করা নিয়ে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে একধরনের অঘোষিত লড়াই চলছে কয়েক বছর ধরে। তবে আপাতত স্বস্তির খবর হচ্ছে, বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানেই আছে। যদিও তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভিয়েতনাম বাংলাদেশের ঘাড়ের ওপর নিশ্বাস ফেলছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ‘ওয়ার্ল্ড স্ট্যাটিসটিক্যাল রিভিউ ২০২০’ প্রতিবেদনে এমন চিত্রই উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, চীন বরাবরের মতো তৈরি পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষে অবস্থান করছে।
ইপিবি’র তথ্য বলছে, জুলাইয়ে তৈরি পোশাক খাতে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২৮৪ কোটি ২০ লাখ ডলার। সেখানে আয় হয়েছে ৩২৪ কোটি ৪৯ লাখ ডলার। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আয় বেশি হয়েছে ১৪ দশমিক ১৮ শতাংশ।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, করোনার এই সময়ে প্রতিদিনই প্রবাসীরা আগের যে কোনও সময়ের চেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। গত বছরের জুলাই মাসের চেয়ে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৬৩ শতাংশ। আর গত জুন মাসের চেয়ে বেড়েছে ৪২ শতাংশ। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইতে প্রবাসীরা ২৬০ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। গত বছরের জুলাইতে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন ১৫৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। এই হিসেবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স বেড়েছে এক বিলিয়ন ডলারের মতো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, একক মাস হিসেবে বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনও এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি। গত জুন মাসে প্রবাসীরা ১৮৩ কোটি মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন। জুন মাসে এটি ছিল রেকর্ড। তবে সেই রেকর্ড ভেঙে জুলাইতে ২৬০ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। রেমিট্যান্স প্রবাহ অব্যাহতভাবে বাড়ার ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৭ দশমিক ২৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সবোর্চ্চ রেকর্ড অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে যা এ যাবতকালের মধ্যে সর্ব্বোচ্চ।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, করোনার কারণে কিছুটা স্থবিরতা এসেছিল পুঁজিবাজারে। নতুন কমিশনাররা বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছেন। করপোরেট গভর্ন্যান্সে জোর দিয়েছেন। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ এবং অর্থ রক্ষায় দ্রæত পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাজারের ওপর মানুষের আস্থা ফিরেছে। বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে ৮০ ভাগ স্থানীয় বিনিয়োগ। এই ধারা অব্যাহত থাকলে খুব শিগগিরই বিদেশী বিনিয়োগ আসবে। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এতোদিন যে আস্থার যে ফাটল ছিল, তা ফিরিয়ে আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে বলে উল্লেখ করেন প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত।
বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, করোনা সমস্যা নিয়েই এগুতে হবে। তবে পুরোদমে অর্থনীতিতে গতিশীলতা আনতে করোনা নিয়ন্ত্রণ জরুরি। কারণ করোনার কারণে আমরা বিদেশে যেতে পারছিনা। বিদেশিরা দেশে আসতে পারছেনা। বিনিয়োগে আগ্রহী ওইসব দেশে রোড-শো, সেমিনার ও ওয়ার্কশপ করা দরকার যা সম্ভব হচ্ছে না। একই সঙ্গে মুজিব বর্ষে বিনিয়োগ সামিট করার কথা তাও করোনার কারণে হচ্ছে না। তারপরও চেষ্টা চলছে ডিজিটাল মাধ্যমে সবকিছু এগিয়ে নেয়ার কাজ। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য অবশ্যই বিদেশি বড় বিনিয়োগ প্রয়োজন। আমাদের দেশিয় বিনিয়োগ ভালো আছে। এখন বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে। মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে জাপানের সঙ্গে বিনিয়োগের বিষয়ে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। এ মাসেই সিঙ্গাপুরের সঙ্গে আলোচনা রয়েছে। আগামী মাসে সাউথ চায়নার সঙ্গে স্টান্ড্যার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের একটি বড় বিনিয়োগের সুযোগ আছে। এছাড়াও অন্যান্য দেশের সঙ্গে বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।