পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
টেকনাফের মেজর (অব.) সিনহা হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের দেশ-বিদেশে রয়েছে সম্পদের পাহাড়। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ায় গড়ে তুলেছেন সম্পদ-সাম্রাজ্য। ঘুষ, দুর্নীতি, ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মাধ্যমে তিনি বিপুল সম্পত্তি অর্জন করেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে উঠে এসেছে প্রদীপ কুমার দাশের বিপুল অবৈধ সম্পদের তথ্য।
দুদক সূত্র জানায়, সিনহা হত্যা মামলার আসামি টেকনাফের গ্রেফতারকৃত ওসি প্রদীপ কুমারের নামে-বেনামে থাকা সম্পদের অনেক তথ্য এখন দুদকের হাতে। ইতিমধ্যে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য সংস্থাটি সংগ্রহ করেছে। এছাড়া নিজস্ব গোয়েন্দা ইউনিটও অনেক তথ্য সংগ্রহ করেছে। বিষয়টির অনুসন্ধানে একটি বিশেষ টিম কাজ করছে। এর আগে ২০১৮ সালে প্রদীপের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করে দুদক। এ সময় দুদকে নিজের সম্পদ বিবরণীও দাখিল করেন প্রদীপ। তবে অদৃশ্য ইশারায় সেই অনুসন্ধান ধামাচাপা পড়ে ছিল।
মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যার ঘটনা আলোচনায় এলে প্রদীপ কুমার দাশের ফাইলটি আবার সচল হয়। দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত গতকাল রোববার সাংবাদিকদের বলেন, তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। দেশে এবং বিদেশে বিশেষ করে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এবং অস্ট্রেলিয়ায় তার সম্পদ রয়েছে। এসব তথ্য এখন দুদকের হাতে। একটি বিশেষ টিম এ নিয়ে কাজ করছে।
দুদক সূত্র আরও জানায়, ২০১৮ সালে প্রদীপের সম্পদ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। সেখানে সম্পদের তিনি যে তথ্য দিয়েছেন তাতে অধিকাংশ তথ্যই তিনি গোপন করেছেন। ওই তথ্যের বাইরেও চট্টগ্রামের লালখান বাজারে ফ্লাট, কক্সবাজারে দুটি হোটেলের মালিকানা, দেশের বিভিন্ন স্থানে জায়গা-জমি ও ভবন রয়েছে। এছাড়া ভারতের আগরতলা, কলকাতার বারাসাত, গৌহাটি এবং অস্ট্রেলিয়ায় তার বাড়ি রয়েছে।
সূত্রমতে, তার অবৈধ আয়ের অর্থ দিয়ে স্ত্রী চুমকির নামে বেশি সম্পদ কিনেছেন। বোয়ালখালীতে স্ত্রীর নামে কয়েক কোটি টাকার সম্পদ কিনেছেন। বোয়ালখালী সারোয়াতলী ইউনিয় এলাকায় মাছের খামার রয়েছে। বিলাসবহুল বাড়ি-গাড়ি, বিপুল পরিমাণ কৃষি-অকৃষি জমি। চুমকির নামে প্রদীপ ব্যাংকে রেখেছেন বিপুল অঙ্কের টাকা। বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে। চুমকি গৃহিণী হলেও দুদকে জমা দেয়া হিসাব বিবরণীতে তাকে মৎস্য খামারি হিসেবে দেখানো হয়েছে। ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূলধনে শুরু করা মৎস্য খামারে চুমকি প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা আয় করেছেন। মৎস্য চাষের লাভের টাকায় কিনেছেন চট্টগ্রাম নগরীতে জমি, গাড়ি-বাড়ি।
হিসাব বিবরণীতে চুমকির স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে-নগরীর পাথরঘাটা এলাকায় চার শতক জমি (দাম ৮৬ লাখ ৭৬ হাজার টাকা)। এ জমিতে গড়ে তোলা ৬ তলা ভবনের (মূল্য ১ কোটি ৩০ লাখ ৫০ হাজার), পাঁচলাইশে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে কেনা হয় ৬ গন্ডা ১ কড়া জমি (দাম এক কোটি ২৯ লাখ ৯২ হাজার ৬০০ টাকা); ২০১৭-১৮ সালে কেনা হয় কক্সবাজারে ঝিলংজা মৌজায় ৭৪০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট (দাম ১২ লাখ ৩২ হাজার টাকা)। সব স্থাবর সম্পদের মূল্য দেখানো হয়েছে তিন কোটি ৫৯ লাখ ৫১ হাজার ৩০০ টাকা। এছাড়া অস্থাবর সম্পদের মধ্যে দেখানো হয়েছে- প্রাইভেটকার (দাম পাঁচ লাখ টাকা), মাইক্রোবাস (দাম সাড়ে ১৭ লাখ টাকা) ও ৪৫ ভরি স্বর্ণ। ব্যাংকে ৪৫ হাজার ২০০ টাকা দেখানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।