পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, করোনা পরবর্তী রফতানি বাণিজ্যের সুযোগ গ্রহণ করতে দূতাবাসগুলোকে কাজ করতে হবে। এজন্য বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
‘সউদী আরব, কুয়েত ও উজবেকিস্তান বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র। এখানে বাংলাদেশি পণ্যের বেশ চাহিদা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে বাণিজ্যের সুযোগ নিতে হবে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রদূতদের গতানুগতিক কাজের বাইরে গিয়ে দেশের রফতানি বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে হবে।
গতকাল ঢাকায় সরকারি বাসভবনের অফিস কক্ষে সউদী আরবে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারী, কুয়েতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) আসিক এবং উজবেকিস্তানে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূতদের উদ্দেশ্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের সফর বিনিময়ের মাধ্যমে বাণিজ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব। রাষ্ট্রদূতদের বাণিজ্য প্রসারে অবদান রাখতে হবে। করোনারকারণে পরিবর্তিত বিশ্ববাণিজ্যে বাংলাদেশের সামনে সুযোগ এসেছে। এ সুযোগ দক্ষতার সঙ্গে কাজে লাগাতে হবে। ইতোমধ্যে রফতানি বাণিজ্যে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বমন্দা অর্থনীতির মধ্যেও গত বছরের জুলাই থেকে এ বছর জুলাই মাসে বাংলাদেশের রফতানি আয় ২৩ দশমিক ০৬ মিলিয়ন বেশি হয়েছে।
রাষ্ট্রদূতদের গতানুগতিক কাজের বাইরে গিয়ে দেশের রফতানি বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে হবে— বলেন টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে স্পেশাল ইকোনমিক জোনগুলোর নির্মাণকাজ দ্রæত এগিয়ে যাচ্ছে। এগুলোতে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। এগুলো বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে তুলে ধরতে হবে।
টিপু মুনশি বলেন, রাশিয়া একটি বড় বাজার। এ বাজারে প্রবেশ করতে আমরা কাজ করছি। এজন্য উজবেকিস্তান বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উজবেকিস্তানও বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। উভয় দেশ বাণিজ্য জটিলতা দূর করতে কাজ করছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করতে হবে।
এ সময় বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) মো. ওবায়দুল আজম, অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) শরিফা খান উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।