Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেনা-পাওনা দ্বন্দ্বে স্ত্রীর ভাইয়ের হাতে খুন

আবাসন ব্যবসায়ী হত্যা রহস্য উদ্ঘাটন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ আগস্ট, ২০২০, ১২:০২ এএম

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় আবাসন ব্যবসায়ী আবুল খায়ের হত্যার মূলহোতা মো. মিলনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি নিহতের স্ত্রী রুপালী বেগমের বড় ভাই। এছাড়া আবুল খায়েরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সজিব বিল্ডার্সে রড বাইন্ডার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন মিলন। মূলত তাদের দুজনের মধ্যে দেনা-পাওনার দ্বন্দ্বে রাগান্বিত হয়ে মিলন প্রথমে রড এবং পরে কাঠ দিয়ে মাথায় একের পর এক আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করে আবুল খায়েরকে। গতকাল ডিএমপির গুলশান বিভাগের ডিসি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানানো হয়।
গুলশান বিভাগের ডিসি সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, গত শুক্রবার সকালে রাজধানীর ভাটারা থানার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এম ব্লকে একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সজীব বিল্ডার্সের মালিক আবুল খায়েরের (৫২) রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে ওই ঘটনায় আবুল খায়েরের মেয়ে খাদিজা আক্তার স্বর্ণা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত শনিবার রাতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে মূলহোতা মো. মিলনকে (৪৪) গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আসামি মিলন হত্যার দায় স্বীকার করেন এবং আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো জানান, মিলন ও আবুল খায়ের দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে একসঙ্গে কাজ করতেন। প্রথমে দুজনই ছিলেন নির্মাণ শ্রমিক। পরবর্তীতে তারা নির্মাণ প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। প্রতিষ্ঠানের এমডি হন আবুল খায়ের। আবুল খায়েরের ভাগ্য ফিরলেও ফেরেনি মিলনের। তিনি এখনো নির্মাণ শ্রমিকই। দৈনিক ৬শ’ টাকা মজুরিতে মিলন মূলত সজীব বিল্ডার্সেই রড বাইন্ডার হিসেবে কাজ করতেন।
জিজ্ঞাসাবাদে মিলন জানায়, তিনি তার প্রাপ্য মজুরি হিসেবে প্রায় ৮ লাখ টাকা আবুল খায়ের কাছ থেকে পেতেন। মিলন ক্ষোভ ছিল ভগ্নিপতি আবুল খায়েরের ওপর। ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে যে মুনাফা আসতো তার কোনো ভাগই আবুল খায়ের মিলনকে দিতেন না। একই প্রজেক্টে তিনি কাজ করেন তার ভগ্নিপতিও কাজ করেন। ভগ্নিপতি মুনাফা পাচ্ছেন কিন্তু তিনি পাচ্ছেন না। তাছাড়া শ্রমিক হিসেবেই মিলনকে ট্রিট করতো আবুল খায়ের।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে একটি ফোন পেয়ে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসা থেকে বের হন আবুল খায়ের। প্রতিদিন সন্ধ্যার মধ্যে বাসায় ফিরলেও সেদিন ফেরেননি। তার ফোনও বন্ধ ছিলো। পরে তার স্ত্রী রুপালী বেগম বিষয়টি পুলিশকে অবগত করে। পরদিন সকালে বসুন্ধরা এম বøকের একটি নির্মাণাধীন ভবনে স্বামীর বন্ধুদের নিয়ে যান রুপালী। ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় উপুড় হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় আবুল খায়েরকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশ গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হত্যা-রহস্য-উদ্ঘাটন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ